Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ দেখা যাবে সুপার ব্লাড উলফ মুন ‘পূর্ণ উষ্ণ রক্তিম চাঁদ’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১৫ পিএম

সোমবার (২১ জানুয়ারি) আবারও পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসছে চাঁদ। এদিন বড় আর রক্তিম রূপে চাঁদকে দেখতে পাবে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোর বাসিন্দারা। একে ডাকা হচ্ছে 'পূর্ণ উষ্ণ রক্তিম চাঁদ' (সুপার ব্লাড উলফ মুন) নামে। 


চাঁদ পৃথিবীর সবথেকে কাছে চলে আসার দিনটিকে সুপারমুন আখ্যা দিয়ে থাকে জ্যোতির্বিজ্ঞান। এদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে চাঁদকে বেশি বড় দেখায়। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ কখনও পুরোপুরি অন্ধকার হয় না। সূর্যের খানিকটা আলো পৃথিবী থেকে প্রতিসৃত হয়ে চাঁদে পৌছায় এবং চাঁদ রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। এ ধরনের চাঁদকে ব্লাডমুন ডাকা হয়ে থাকে। জানুয়ারি মাসে দেখা যাওয়া পূর্ণ চাঁদকে ডাকা হয়ে থাকে উলফ নামে। আর এর সব কিছুরই সমন্বয় দেখা যাবে সোমবারের (২১ জানুয়ারি) পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণে। এ চাঁদকে তাই সুপার ব্লাড উলফ মুন নামে ডাকা হচ্ছে।

এ বছর দৃশ্যমান হতে যাওয়া তিনটি সুপারমুনের প্রথমটি এটি। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবী থেকে চাঁদের নিকটতম অবস্থানকে অনুভূ বা পেরিজি বলা হয়। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০২ কিলোমিটার। সোমবার দৃশ্যমান হতে যাওয়া চাঁদটির অবস্থান হবে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে। ১৯ ফেব্রুয়ারি দৃশ্যমান হতে যাওয়া সুপারমুন আরও খানিকটা কাছাকাছি অবস্থান করবে। আর মার্চের সুপার সুপারমুন থাকবে আরও বেশি কাছাকাছি।


নতুন বছরের শুরুতে একই মাসে একবার সূর্যগ্রহণ এবং দু’বার চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকতে চলেছে দুনিয়া। তবে ২০১৯-এ এই রবিবার প্রথম আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে। দু’সপ্তাহ পরেই ২০ ও ২১ জানুয়ারি হবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণের সময় চাঁদ অন্যদিনের তুলনায় অনেকটা বড় থাকবে। বিজ্ঞানীরা এই চাঁদের নাম দিয়েছেন সুপার উলফ ব্লাড মুন। এই বছর মোট ছ’টি চন্দ্রগ্রহণ হবে। তবে ভারত থেকে অধিকাংশ গ্রহণই দেখা যাবে না। ‘ফুল উলফ’ চাঁদ বিষয়টি কী! কোথায় ও কখন দেখা যাবে?

মহাজাগতিক দুনিয়ায় এই বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকার আগে সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নেওয়া উচিত। গ্রহণ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন। ৬ জানুয়ারি বছরের প্রথম আংশিক সূর্যগ্রহণ হচ্ছে। সূর্যের কিছু অংশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে। কিন্তু এই গ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবে না। এই গ্রহণ নিয়ে নাসা গুগল ম্যাপ ধরে একটি ম্যাপ তৈরি করেছে। যেসব এলাকা এই গ্রহণ মানচিত্রের মধ্যে পড়ছে, সেখান থেকেই দেখা যাবে। উত্তর-পূর্ব এশিয়া, চিন, সাইবেরিয়ার কিছু অংশ, কোরিয়া, জাপানে দেখা যাবে এই আংশিক গ্রহণ। ভারতীয় সময় সকাল ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলবে গ্রহণ। নাসা জানিয়েছে, গ্রহণের সানগ্লাস লাগিয়ে তবেই এই গ্রহণ দেখুন। খালি চোখে এই গ্রহণ না দেখার অনুরোধ করেছেন বিজ্ঞানীরাও। মোবাইল ফোনের স্ক্রিন, টেলিভিশন, ক্যামেরার স্ক্রিন, টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখলে কোনও সমস্যা নেই। খালি চোখে দেখলে চোখ খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে ভারতীয়দের এত পরিশ্রমের কোনও প্রয়োজন নেই। রবিবার এই গ্রহণ দেখতে হলে টিভি বা অনলাইন মাধ্যমই ভরসা।
২০ ও ২১ জানুয়ারি মহাকাশে চাঁদের জোড়া গ্রহণ আছে। যার বৈজ্ঞানিক নাম সুপার ব্লাড উলফ মুন। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এটি সাধারণ ঘটনা নয়। বিশেষ কিছু হতে চলেছে এই গ্রহণে।

ফুল উলফ মুন কী ?

মহাজগতের বিরলতম ঘটনা এই সুপার উলফ ব্লাড মুন। এই গ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথের সবথেকে কাছে চলে আসবে। এটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফুল উলফ মুন। আর প্রত্যেক পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণেই চাঁদের রং লাল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এই নামকরণ করা হয়েছে। এক ঘণ্টা দু’মিনিট পূর্ণগ্রাস থাকবে চাঁদ। আর আংশিক গ্রহণ থাকবে তিন ঘণ্টা ১৭ মিনিট।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর গোলার্ধের মানুষ সোমবার সুপার ব্লাড উলফ মুন দেখতে পাবে। এদিন গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, পর্তুগাল এবং ফরাসি ও স্প্যানিশ উপকূলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায়ও দৃশ্যমান হবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই গ্রহণ ইউরোপের বাকি অংশ ও আফ্রিকা থেকে আংশিকভাবে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। তবে সোমবার সুপার ব্লাড মুন দেখার সুযোগ হবে না এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দাদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদ

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->