Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ ঠেকাতে নপুংসক ইনজেকশন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৯, ৭:৩৭ পিএম

নারীদের প্রতি অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, অনিয়ন্ত্রিত যৌন লালসার কারণে বিশ্বে প্রচুর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিশুরাও। বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডেই একাধিক কন্যাশিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এসব বন্ধে অনেক দেশেই কঠোর অবস্থানে গেলেও এই অভিশাপ থেকে মুক্তি মেলেনি। তবে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যে শিশু ধর্ষণ রুখতে নতুন এক আইন পাস করেছে।

অ্যালাবামার এই আইন অনুযায়ী, ১৩ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করলে ধর্ষককে ইনজেকশন দিয়ে বা রাসায়নিকভাবে খোজাকরণ (নপুংসক) করে দেয়া হবে। সোমবার প্রাদেশিক গভর্নর কে আইভে অ্যালাবামা আইনের আওতায় চুক্তিভিত্তিক এই সাজা রেখে একটি বিল পাস করেন। চলতি বছরের পহেলা সেপ্টেম্বরের পর থেকে কন্যাশিশু ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে এটা কার্যকর হবে।

শিশুদের ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে এই আইন করা হয়েছে। তবে, এই আইন কার্যকরে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এই ইনজেকশন একবার পুশ করলে ধর্ষক দ্বিতীয়বার কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না৷ তাকে সারাজীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হবে এই পাপের শাস্তি। এই আইনের আওতায় একজন বিচারক যদি কোনো অপরাধীকে নপুংসক করতে রাসায়নিক চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেয় তাহলেই কেবল এটা কার্যকর হবে। আর এই শাস্তির প্রক্রিয়ার যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় ধর্ষককেই বহন করতে হবে।

আইন অনুযায়ী, কোনো অপরাধী যদি জেলে থাকেন তবে তাকে তখন ইনজেকশন দেয়া হবে না। তবে, প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার পর তার শরীরে এটি পুশ করা হবে। কোনো কারণে তিনি যদি ইনজেকশন নিতে রাজি না হন, তাহলে আজীবন তাকে জেলেই থাকতে হবে৷ কখনোইও বাইরে আসতে পারবেন না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধর্ষণের এক দেশ, দেশটি ধর্ষণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এমন শাস্তি খুব বিরল হলেও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্যের আইনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদিও এই শাস্তি খুব কমই প্রদান করা হয়। যৌন নির্যাতন বন্ধে শাস্তি প্রদানই মুখ্য নয়, প্রয়োজন পর্যাপ্ত শিক্ষা ও নারীদের স্বতন্ত্রভাবে শ্রদ্ধার সংস্কৃতি তৈরি করা। মার্কিন মার্শাল এসিএলইউএ এর নির্বাহী পরিচালক র‍্যান্ডাল মার্শাল বলেন, ‘যৌন নির্যাতনকে আমার যৌনতার চেয়ে অনেক বেশি কিছু মনে হচ্ছে। এটা ক্ষমতা প্রদর্শন, অপেক্ষাকৃত একজন শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রদর্শনই যৌনতা।’ সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।



 

Show all comments
  • মোঃ ফিরোজ খান ১১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:০৮ পিএম says : 0
    নারী ও শিশুদেরকে ধর্ষণের হাত থেকে রুখতে হবে। দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনায় জাতি আজ উদ্বিগ্ন। চলমান নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে যেন আর কোন নারী ও শিশুকে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। নারীর উপর সহিংসতা নতুন কোন বিষয় নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের নারী যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে; ছেলে শিশুরা ও বলাৎকার থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ঘরে, বাইরে, রাস্তাঘাটে, যানবাহনে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টা বা যৌন হয়রানি, উত্যক্তকরণ, এসিড আক্রমণ সহ নানাবিধ সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। দেশের প্রতিটি নারী ও শিশু সহিংসতার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মূল কারণ নারীকে মানুষ হিসাবে গণ্য না করার দৃষ্টিভঙ্গী ও আচরণ। আদিকাল থেকে সমাজের চিন্তা-চেতনা নারীকে অধস্তন অবস্থানে রাখে। নারী বিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গী ও সংস্কৃতি এক দিকে নারীর উপর সহিংসতা করার প্রবণতা তৈরি ও লালন করে এবং প্রয়োগ করে,অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার নারীকেই দোষারোপ করে। সহিংসতাকারী বিনা বিচারে পার পেয়ে যায় বা বিচারের আওতায়ই আসে না। নারীর উপর নির্যাতন এবং সহিংসতার মাত্রা, ধরন ও নিষ্ঠুরতা বেড়েছে বহুগুণ। নারী বিদ্বেষী মানসিকতা, আচরণ ও সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। এ আচরণ যেই করুক, যেখান থেকেই আসুক, এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীর উপর সংঘটিত প্রতিটি অপরাধের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। ঘটনার তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত পুলিশ, ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থাকে জনগণের আস্থা ও আশ্রয়স্থলে উন্নীত করতে হবে; সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপ-রাজনীতির বেড়াজাল ভেঙে ফেলতে হবে। আমাদের আহ্বান: নারী ও শিশুর উপর সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নির্মাণ করতে হবে সকলকে। দেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ও ঐক্যবদ্ধ হবো সবাই। সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুকে সকল সেবা পেতে সাহায্য করবো একত্রিত হয়ে। সহিংসতার ঘটনা লুকিয়ে না রেখে অভিযোগ দাখিল করতে সাহায্য করবো সবসময়। নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ নারীর জন্য লজ্জা না বরং নির্যাতনকারীর লজ্জা, তাই যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারীকে দোষারোপ করার চর্চা বন্ধ করতে হবে সকলকে। ভোগ্য বস্তু হিসেবে নারীদের না দেখে;নারীকে মা,বোন ও একজন মানুষ হিসেবে আমাদের সবসময় ভাবতে হবে।। সরকারের কাছে আমাদের দাবি:- হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল এবং প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও সক্রিয় করুন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন থানা, হাসপাতাল ও আদালতকে নারী বান্ধব করার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করুন পাঠ্যসূচীতে নারীর প্রতি নেতিবাচক ও বৈষম্যমূলক বিষয় পরিহার করুন, ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরুন সরকারী দলিল সমূহ এবং প্রচার মাধ্যমে নারীকে নিয়ে অবমাননাকর শব্দ-বাক্য ব্যবহার বন্ধ করুন জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নারীর উপর সহিংসতা, যৌননির্যাতন ও ধর্ষণ সংক্রান্ত সকল আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা নিয়মিত পরিবীক্ষণ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিন। আসুন আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই নারীর উপর যেকোন ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো এবং রুখে দাঁড়াব; কোন অবস্থায়ই আমরা সঙ্কুচিত হব না, ভীত হব না, পিছপা হব না। আর একজন নারীকেও ধর্ষণের শিকারহতে দেব না, একজন পুরুষকে ও ধর্ষক হতে দেব না।এটাই হবে আমাদের সকলের চাওয়া পাওয়া।আমরা সবসময় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এগিয়ে আসবো কোনো ধরনের ভয়ভীতির কাছে পিছু পা হবোনা। মোঃ ফিরোজ খান ঢাকা বাংলাদেশ
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ফিরোজ খান ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম says : 0
    করোনা ঔষধে হবে শেষ; ধর্ষণে ধর্ষিতার হয় লাশ। -মোঃ ফিরোজ খান বছরের শুরু হয় মহামারী করোনা ভাইরাসে লক্ষ লক্ষ মানুষের এই রোগে হয় মৃত্যু লেখাপড়া বিনোদন ঘরে বন্দি থেকে করছে মৃত্যুর মিছিলে বছর ও শেষ হয়ে গেছে। - করোনা ভাইরাস এখনও যায়নি বিশ্ব থেকে এরই মধ্যে নতুন ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণ"মহামারী দেশের ঘরে ঘরে বেড়ে চলছে পথে, স্কুল, কলেজে ও বাসে ধর্ষণে মারা যাচ্ছে। - শিশু থেকে শুরু করে বিধবাকে ছাড়েনি ধর্ষণকারী কাপুরুষ, নরপশু ধর্ষণে মেতে ওঠে হেসে হেসে মা, বোনের ইজ্জত পথে ঘাটে ধর্ষিত হচ্ছে করোনার ঔষধ হয়তো একদিন আবিস্কার হবে। - ধর্ষণের ঔষধ মৃত্যু ছাড়া কিছু নেই পৃথিবীতে রক্ষা করো মাবুদ মা, বোনের পবিত্র ইজ্জত তুমি ছাড়া কেউ নেই ধর্ষণকারীকে সাজা দেবার কোনো মা, বোনেরা ধর্ষণের শিকার যেন না হয়। - হাসিখুশি জীবনের নেই কোনো মূল্য পৃথিবীতে ধর্ষিতা মা,বোনদেরকে সন্মান করবো সকলে মহামারী করোনা হতে পারে জীবনের বড় শক্র ধর্ষণের কারণে মা,বোনকে হতে হয় নির্মম মৃত্যু। - এভাবে চলতে থাকলে ধর্ষণ বাংলাদেশের মধ্যে থাকবে না তাহলে বাংলাদেশে ভালো মা,বোন করোনায় ঘরে বসে সবাই লড়ছি বেঁচে থাকতে ধর্ষণ থেকে কিভাবে রক্ষা করবো মা বোনকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->