পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ও নান্দনিক আন্ডারপাস। সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের তত্ত¡াবধানে আন্ডারপাসটি নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজার কাজ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে অর্থাৎ ১৭ মার্চ এটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই বিমান বন্দর সড়কের যে স্থানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছিল সেখানেই আন্ডারপাসটি নির্মাণ করা হয়েছে। ওই দুর্ঘটনার পর সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিমান বন্দর সড়কে একটি আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীসহ পথচারিদের জন্য একটি আন্ডারপাস নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতিতে আন্ডারপাস নির্মাণ শুরু করে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশে এই প্রথম অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিন্দন আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪২ মিটার দীর্ঘ আর ২৭০ বর্গমিটারের আন্ডারপাসটি উচ্চতায় ১৫ মিটার। সড়ক না কেটে ‘পুশ বক্স’ পদ্ধতিতে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশে একটি আন্ডারপাস নির্মাণে এটিই প্রথম ঘটনা যে, উপরে কোনো রাস্তা কাটতে হয়নি। ‘পুশবক্স’ পদ্ধতিতে আন্ডারপাসের ভেতরে খোদাই করে প্রি-কাস্ট বক্স¯øাব দিয়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
আন্ডারপাসের দুদিকে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজার কাজ। রঙ দেওয়া, টাইলস ও উপরে গøাস লাগানোর কাজ করছেন শ্রমিকরা। এর দুদিকে দুটি করে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রয়েছে। রেডিসন অংশে পথচারীদের বসে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে। বাইরের অংশে গøাসের কাঠামোটি দেখতে অনেকটা পিরামিডের মতো, যার ভেতরে থাকবে পথচারীদের জন্য বসার ব্যবস্থা।
আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এত বড় আর দৃষ্টিনন্দন আন্ডারপাস দেশে আর একটিও নেই। আন্ডারপাসের ভেতরে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো থাকবে। ওয়াকওয়ে হবে দৃষ্টিনন্দন। থাকবে বিশ্বমানের এস্কালেটর, লিফট এবং র্যাম্প। হুইল চেয়ার বা ট্রলি নিয়ে নামা যাবে এখানে। বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী বা শিশুরা সহজেই আন্ডারপাসটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে এটি দেখভাল করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।