বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ

সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনার ভয়াবহ প্রভাবে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পোল্ট্রি শিল্পে আর্থিক ক্ষতির মাত্রা দিন দিন বাড়ছেই। টানা প্রায় দেড়মাস শিল্পে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ছোট বড় ২ সহ¯্রাধিক পোল্ট্রি শিল্প মালিক ও লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারির আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছে।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুস্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ছোট বড় মিলে প্রায় ২হাজার পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। সবখানেই বিরাজ করছে অচলাবস্থা। হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারি রয়েছেন একরকম হাত গুটিয়ে। শিল্পে উৎপাদন কার্যত বন্ধ। করোনার প্রভাব তো রয়েছেই তার উপর পোল্ট্রি মুরগী ও ডিম খেলে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি এমন অপপ্রচারে বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম মোল্লা জানান, শুধু পোল্ট্রি শিল্প নয়, প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট শিল্পে করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অনেকটা। তার মতে, পোল্ট্রি মুরগী ও ডিম খেলে কোন ক্ষতি নেই। বরং উপকার। কারণ এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসে দুধ ডিম মাছ মুরগির গোশত খাওয়া খুবই ভালো।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পোল্ট্রি শিল্প আফিল এ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মাহাবুব আলম লাবলু জানান, লোকসানে লোকসানে পোল্ট্রি ব্যবসায়িরা ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। তিনি জানালেন, স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ রাখা যায় না। ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনছেন হ্যাচারি মালিকরা।
তার কথা শুধু যশোরে আফিল হ্যাচারি, কাজী হ্যাচারিসহ ছোটবড় পাঁচটি হ্যাচারিতে প্রতিদিন ৪ লাখ বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে। যার একটা অংশ নষ্ট হচ্ছে। ডিম উৎপাদনও কমে গেছে। করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি মুরগি ও ডিম বিকিকিনিতে রীতিমতো ধস নেমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।