Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২০, ১০:২৯ এএম

করোনাভাইরাসের কারণে কাজ হারিয়ে অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। আর এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর। পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়ছে তারা।

আগামী ছয় মাসে বাংলাদেশে ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা করেছে ইউনিসেফ৷ স্বাস্থ্য ও পুষ্টিজনিত নানা সমস্যার কারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বয়সের এই শিশুদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

জন হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণার বরাত দিয়ে তারা এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের মৃত্যু হতে পারে করোনা মহামারিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি ও অন্য রোগে৷

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের স্কুলগুলো আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়৷ এখন লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচল সীমিত আকারে রয়েছে৷ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে৷ দরিদ্র পরিবারগুলোর তিন বেলার খাবার জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে৷ ফলে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে৷

আবার সংক্রমণের ভয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও নেয়া হচ্ছেনা৷ ফলে তারা জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় টিকাও পাচ্ছেনা৷ করোনাকালে অর্ধেক শিশু বিভিন্ন রোগের টিকা নিতে পারেনি৷ সব মিলিয়ে শিশুরা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷ মহামারির পরোক্ষ কারণে তাই আগামী ছয় মাসে বাংলাদেশে ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা আছে৷

শিশুদের করোনা চিকিৎসা: বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন এক হাজার ৫৮২ জন৷ আর আক্রান্ত এক লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জন৷ আইইডিসিআরের তথ্য মতে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশু শতকরা তিন ভাগ৷ যাদের বয়স এক থেকে ১০ বছরের মধ্যে৷ আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে শতকরা সাত ভাগ৷ যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে এক থেকে ১০ বছর বয়সের শূন্য দশমিক ৮২ ভাগ৷ ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১.৪৯ ভাগ৷
শিশুদের করোনা চিকিৎসার জন্য একমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করা হয়েছে৷ দেশের আর কোথাও শিশুদের জন্য আলাদা করোনা ইউনিট নাই৷ এমনকি শিশু হাসপাতালেও নয়৷

ঝুঁকিতে শিশুরা:
এই সময়ে শিশুরা অন্য রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে বেশি৷ কারণ তিন মাস বলতে গেলে শিশুদের ১০টি রোগের ছয়টি জীবন রক্ষাকারী টিকা দেয়া বন্ধ ছিলো লকডাউনের কারণে৷ অনেক টিকাদান কেন্দ্রই বন্ধ ছিলো৷ আবার যখন শুরু হয় তখন অনেক শিশুর অভিভাবক করোনার কারণে তাদের শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে নেননি৷ এছাড়া শিশুরা বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা এখন সবচেয়ে বেশি অপুষ্টির শিকার হচ্ছে৷ ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে জানান শিশু চিকিৎসক ডা. সাঈদা আনোয়ার ৷

শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি বাধাগ্রস্থ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব অনেক ভয়াবহ হতে পারে৷ আর এটা বোঝা যাবে আরো কয়েক মাস পর৷ চিকিৎসরাও কেউ কেউ করোনার শুরুতে টিকাদানকে নিরুৎসাহিত করেছেন৷ কারণ কোনো কোনো টিকা দিলে জ্বর আসে৷

তবে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, ‘‘করোনার কারণে শিশুদের বড় একটি অংশ টিকা না নিলেও এখন তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ প্রতি মাসেই টিকা দেয়া হয়৷ মার্চ এপ্রিলে কিছু সমস্যা ছিলো৷ এখন সবাই তাদের সন্তানদের নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে আসছেন৷’’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ নেই ৷ করোনার শুরুতেও বন্ধ ছিলো না৷ বন্ধ হবেও না৷’’

করোনার কারণে সবকিছু থমকে গিয়েছিলো৷ এখন নারী শিশু স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার জন্য আলাদা কমিটি হচ্ছে৷ তবে তিনি মনে করেন, ‘‘সব হাসপাতালে শিশুদের জন্য আলাদা করোনা ইউনিটের প্রয়োজন নাই৷ নারী, শিশু সবাইকে করোনা রোগী হিসেবেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷’’

সমাধান কি?
যক্ষ্মা, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, মা ও নবজাতকের ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া, পোলিও মাইলাইটিস, হাম ও রুবেলা- শিশুদের এই ১০টি রোগের জন্য ছয়টি টিকা দেয়া হয়৷ ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ মুয়াজ মনে করেন, ‘‘করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেকোনো উপায়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে৷ নয়তো এই রোগে তারা আক্রান্ত হতে পারে৷’’ বিভিন্ন হাসপাতালে শিশুদের জন্য আলাদা করোনা ইউনিট চালুর কথা বলেন ডা. সাঈদা আনোয়ার৷

এই করোনাকালে খাদ্য ও পুষ্টির বিষয়টি সরকার দেখছে৷ তবে সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়৷ অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়েছে৷ অনেকের আয় কমে গেছে৷ তাই সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->