Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্ক-গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ২০, আহত ৭ শতাধিক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ৯:৩৪ এএম | আপডেট : ৯:৫৯ এএম, ৩১ অক্টোবর, ২০২০

তুরস্ক ও গ্রিসে গতকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) এক শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে সাত মাত্রার ওই ভূমিকম্প শুক্রবার অ্যাজিয়ান সাগরে দেশ দুটির উপকূলীয় এলাকায় এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ২০ জন এবং আহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। রয়টার্স ও এএফপির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, ভূমিকম্পের শক্তি ছিল রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার। তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) বলেছে, গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট) আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেছেন, ভূমিকম্পে ইজমির প্রদেশের ইজমির শহরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই সড়কে হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন।
তুরস্ক ও গ্রিসের কর্তৃপক্ষ বলেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলও ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে। গ্রিসের সামোস দ্বীপেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই দ্বীপে উঁচু ঢেউ আঘাত হানতে পারে জানিয়ে সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইজমির শহরে ধসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে তল্লাশি চালাচ্ছেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের ইস্তাম্বুল, ইজমির ও অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। একই দৃশ্য দেখা যায় গ্রিসেও।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু এক টুইটে বলেছেন, ইজমিরের বায়রাকলি এবং বোর্নোভা জেলায় অন্তত ছয়টি ভবন ধসে পড়েছে। এছাড়া এই ভূমিকম্পে উসাক, দেনিজলি, মনিসা, বালিকেসির, আয়দিন এবং মুগলা প্রদেশেও হালকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী মুরাত কুরুম বলেছেন, আমাদের বেশ কয়েকজন নাগরিক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। তিনটি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি এই মন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের উত্তাল গর্জনে ইজমির শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীতে ভবন ধসের স্থানগুলো থেকে ঘন সাদা রঙয়ের ধোয়া উড়ছে।
তুরস্কের টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির আকাশ থেকে ধারণ করা এক ফুটেজে দেখা যায়, পুরো শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দেশটির সরকারি টেলিভিশন টিআরটির ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের সহায়তায় এগিয়ে আসছেন। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও ধসে পড়া ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের মধ্যে কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা তা জানতে শব্দ শোনার জন্য উদ্ধারকারীরা উৎসুক জনতাকে নীরবতা পালনের আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা উদ্ধারকারীদের সহায়তা করার জন্য মানব শৃঙ্খল তৈরি করে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন। সিএনএন তুর্কের ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ধসে পড়া একটি ভবনের ভেতর থেকে জীবিত এক নারীকে বের করে নিয়ে আসছেন।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
ইজমিরে চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ইল্কে সিদে বলেন, ‘এই এলাকায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। কাজেই আমি প্রথমে বিষয়টিকে পাত্তা দিইনি। কিন্তু সাগরে ঢেউ উঠতে শুরু করলে ভয় পেয়ে যাই।’ তিনি জানান, ভূমিকম্পটি ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।
সামোসের আরেক মেয়র গর্গস ডিওনিসিও বলেন, এটা ছিল ধ্বংসযজ্ঞ। আমরা কখনই এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। সামাসের বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছে গ্রিসের বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থা। ভূমিকম্পের পর পূর্ব সতর্কতা হিসেবে এই দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গ্রিস এবং তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প সক্রিয় প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত দুটি দেশ। প্রায়ই এই অঞ্চলে শক্তিশালী এবং মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
২০১১ সালেও দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভ্যান প্রদেশে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে ৬ শতাধিক মানুষ মারা যান। গ্রিসে সর্বশেষ প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ২০১৭ সালে। ওই বছরের জুলাইয়ে সামোসের কাছের কোস দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত দু'জনের প্রাণহানি ঘটে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স



 

Show all comments
  • নুরজাহান ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:২১ এএম says : 0
    হে আল্লাহ তুমি সবাইকে হেফাজত করো
    Total Reply(0) Reply
  • Shohel Rana ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ১:০৯ পিএম says : 0
    হে আল্লাহ আপনি সহায় হোন আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Ŕökïbùĺ Ïsläm ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ১:১০ পিএম says : 0
    Allah please save Turkey people.
    Total Reply(0) Reply
  • মারিয়া ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ১:১২ পিএম says : 0
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুমিনদের জন্য পরীক্ষা
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ১:১৩ পিএম says : 0
    আমাদের দেশে এম ভুমিকম্প হলে যে কি হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূমিকম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->