পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন সউদী আরবে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত। দেশটির এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পদের একজন ব্যক্তিত্ব এবং কূটনীতিক সউদী আরবে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং এ বছর পবিত্র হজ পালন করেছেন - একথা চাউর হবার পর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মুসলিমরা শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভরিয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়ালগুলো।
রিয়াদে ব্রিটিশ কূটনীতিক সাইমন কলিসের ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন স্ত্রী হুদাকে নিয়ে মক্কায় ব্রিটিশ কন্স্যুলেটের সামনে ইহরাম পরে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি তিনি টুইটারে পোস্ট করেন।
আরবীতে কথোপকথনে পারদর্শী ৬০ বছর বয়সী কূটনীতিক টুইটারে ম্যাসেজ মারফত তার ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়া এবং হজ পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন। সংক্ষেপে : মুসলিম সমাজে ৩০ বছর বসবাস করার পর এবং হুদাকে বিয়ে করার আগে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি’।
এ ঘোষণার পরপরই গোটা সউদী আরব এমনকি পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা অভিনন্দনের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে অনলাইনে। অনেক মুসলিম মি. কলিসকে সালাম জানিয়ে ‘হাজী সাইমন’ বলে সম্বোধন করেছেন।
মি. কলিস তাঁর স্ত্রীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবার কিছু পূর্বে ২০১১ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার স্ত্রী হুদা সিরিয়ার নাগরিক। তার কিছু সহকর্মী কূটনীতিক তার ইসলাম গ্রহণের কথা জানলেও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়টিতে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, মি. কলিসের ধর্মের ব্যাপারটি একান্তই তার নিজস্ব বিষয়। অসংখ্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের কথা টুইটারে স্বীকার করলেও তিনি তার ধর্ম বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তার ও তার স্ত্রীর ছবিগুলো প্রথম পোস্ট করেন সউদী আরবের একজন নারী মানবাধিকার কর্মী ফাউজিয়া আল-বাকর। তিনি লিখেন, ‘সউদী আরবে ব্রিটেনের প্রথম অ্যাম্বাসেডর তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হজ পালন করছেন। এর আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন’।
মনে করা হচ্ছে, তিনিই প্রথম ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডর যিনি পবিত্র হজ পালন করলেন। তবে ইতঃপূর্বে আরো অ্যাম্বাসেডর ইসলাম গ্রহণ করে থাকতে পারেন।
মি. কলিস মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষে ২০১৫ সালে রিয়াদে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালন করেন সিরিয়ায়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর নিপীড়নের সমালোচনা করে তিনি আসাদ সরকারের বিরাগভাজন হন। সিরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর তিনি দামেশক ত্যাগ করেন ২০১২ সালে। মি. সাইমন কলিস ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইরাকে রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং এরও আগে এক সময় দোহাতেও একই দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ক্যাম্ব্রিজের ক্রিস্ট কলেজের গ্র্যাজুয়েট এবং এই দম্পতির পাঁচ সন্তান রয়েছে।
সউদী সরকারের তথ্য অনুযায়ী এ বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যে ১৮ লাখ মুসলিম হজ পালন করেছেন, মি. কলিস ও তার স্ত্রী হুদা তাদের অন্যতম। Ñসূত্র : দ্যা টেলিগ্রাফ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।