Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডলার সঙ্কটে কমছে ফ্লাইট

বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো টিকিট বিক্রির টাকা পাঠাতে পারছে না ২০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্লক হয়ে যাওয়ায় টিকিটের দাম বাড়ছে :: যাত্রী পরিবহণে বিপর্যয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার শঙ্ক

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশে ডলারের সঙ্কট এখনো কাটেনি। ডলার সঙ্কট নিরসনে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই ডলার সঙ্কটের কারণেই বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির আয় নিজ নিজ দেশে পাঠাতে পারছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিকিট বিক্রির আয় ডলার করে পাঠাতে না পারায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অনেক এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। ফ্লাইটের সংখ্যা হ্রাস অব্যাহত থাকলে যাত্রী পরিবহণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টিকিটের বিক্রয়লব্ধ অর্থ অনির্দিষ্টকাল বাংলাদেশে আটকে থাকার দরুন বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো এই অর্থের ‘কস্ট অব ফান্ড’ সমন্বয়ের জন্য টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে এয়ারলাইন্সগুলো ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রায় ২০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্লক হয়ে আছে বলে জানা গেছে। এ কারণেও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটের মূল্য অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সঙ্কটের দরুন বিদেশি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকলে প্রবাসী কর্মী পরিবহণে মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। এতে শ্রমিক বিদেশে যাওয়া কমে যাবে এবং প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। তারা সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনের দ্রুত বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান গত বছর বলেছিলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের যতগুলো এয়ারলাইন্স আছে সবগুলোর সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। বিষয়টি আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি। এছাড়া ভাড়া সমন্বয় করতেও অনুরোধ করেছি। এমনকি বেশি ভাড়া নেয়ায় আমরা কঠোর হতে পারিÑ সে কথাও তাদের জানিয়েছি। আমরা আশা করছি ভাড়া সমন্বয় হবে। আমরা এ বিষয়ে আরো কাজ করছি।’

আটাব নেতৃবৃন্দ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টিকিটের মূল্য আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ডলার সঙ্কটের বেড়াজালে পড়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহণের ফ্লাইট অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দিচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। ফ্লাইটের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় টিকিটের দাম দফায় দফায় আকাশচুম্বী হচ্ছে। এতে বিদেশগামী কর্মীরা বিমানের টিকিটের উচ্চ মূল্যের টাকা যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অভিবাসনের ব্যয় রাতারাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী বছর ২০২২ সালে সউদীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৬২৬ জন নারী-পুরুষ কর্মী বিদেশে চাকরি লাভ করেছেন।

এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অস্থিতিশীল বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যেই গত এক বছরে জনশক্তি রফতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ৯ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গত জানুয়ারি থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ লাখ ১৮ হাজার ৬২৬ নারী-পুরুষ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জনশক্তি রফতানিকারকরা আশা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শ্রমিক নেয়ার দেশ সউদী আরবের নিয়োগকর্তারা অভিবাসী কর্মী আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ও শর্তহীনভাবে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ফলে জনশক্তি রফতানির সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী-পুরুষ কর্মী সউদীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৩ সালে জনশক্তি রফতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন জনশক্তি রফতানিকারকরা।

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ২০২১ সালে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফের বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফলে আকাশপথে যাত্রীর চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আর এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিমানের টিকিটের দাম দুই থেকে তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল এয়ারলাইন্সগুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিদেশগামী কর্মীদের।

সিভিল এভিয়েশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০২১ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৬ জন যাত্রী পরিবহণ করেছে। এর মধ্যে ডিপার্চার যাত্রীর সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬৬ জন এবং অ্যারাইভাল যাত্রীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭১০ জন। সূত্র মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বিমানসহ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো সর্বমোট যাত্রী পরিবহণ করেছে ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে ডিপার্চার যাত্রীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৩২২ জন এবং অ্যারাইভাল যাত্রীর সংখ্যা ২৬ লাখ ২৫ হাজার ১২৮ জন।

ডলার সঙ্কটের দরুন টিকিট বিক্রয়লব্ধ আয় নিজ নিজ দেশে পাঠানোর সুযোগ না পেলে নতুন বছরে (২০২৩) বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের ফ্ল্ইাট বাংলাদেশ থেকে পরিচালনার পরিবর্তে লাভজনক রুটে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। এতে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর পর আয়ের লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি না পেলে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে আর্থিক আয়ের পরিমাণ বাড়বে না। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা রয়েছে। একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। জাতীয় স্বার্থে বিষয়টি দ্রুত সুরাহা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবিতে আটাবের মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ গত ২৯ ডিসেম্বর এক জরুরি চিঠিতে বিমান প্রতিমন্ত্রী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত প্রস্তাব পেশ করেছেন।

ডলার সঙ্কটের দরুন টিকিট বিক্রয়লব্ধ আয় নিজ নিজ দেশে পাঠাতে না পেরে ইতোমধ্যে যেসব বিদেশি এয়ালাইন্সের ফ্লাইট কমিয়ে দেয়া হয়েছে তা হচ্ছেÑ টার্কিশ এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট থেকে কমিয়ে ৫টি চালাচ্ছে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ১০টি ফ্লাইট থেকে কমিয়ে ৭টি করেছে। ক্যাথে প্যাসিফিক ৫টির পরিবর্তে ১টি ফ্লাইট চালাচ্ছে। মালিন্দো এয়ারলাইন সপ্তাহে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করত তা কমিয়ে ১টিতে নামিয়েছে। কুয়েত এয়ারলাইন্স ১২টি ফ্লাইট চালাতো এখন ১০টি চালাচ্ছে। এভাবে ফ্লাইটের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে পর্যটন শিল্পের অন্যতম চালিকাশক্তি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় ধস নামছে। ইতোমধ্যে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর টিকিট বিক্রয়ের পরিমাণ ৫০% নেমে এসেছে। ফলে এজেন্সিগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

আটাব মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ ইনকিলাবকে জানান, ডলার সঙ্কটের দরুন এয়ারলাইন্সগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির কারণে অনেকে বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট কমিয়ে আনছে। বাংলাদেশের পরিবর্তে যে গন্তব্যে তাদের মুনাফা বেশি হয় সেখানে তারা ফ্লাইট চালাচ্ছে। আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইটের সংখ্যা শতকরা ৭৫% কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

টার্কিশ এয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তারা অতিসম্প্রতি আটাব নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠকে টিকিট বিক্রয়লব্ধ আয় নিজ দেশে প্রেরণে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত নিরসনের প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানান। অন্যথায় টার্কিশ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে না বলেও তারা উল্লেখ করেন। আটাব নেতৃবৃন্দ বিদেশি এয়ারলাইন্স দিন দিন হ্রাস পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে টার্কিশ কর্মকর্তাদের সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে সরকারের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন। বিদেশগামী কর্মীরা টিকিটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরুপায় হয়ে চড়া সুদে ঋণ এবং ভিটেমাটি, গবাদিপশু বিক্রি করে অভিবাসন ব্যয় যোগাতে বাধ্য হচ্ছে। গত ৩ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৩ পয়সা নির্ধারণ করেছে। এতে বিদেশগামী কর্মী ও ওমরাযাত্রীদের প্রতি টিকিটের দাম ৩ হাজার ৪২০ টাকা বেড়ে গেছে। গত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ডলারের বিনিময় হার ছিল ৯৯ টাকা ৯১ পয়সা। আটাবের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত প্রায় নয় মাস যাবত এয়ারলাইন্সসমূহের রেমিট্যান্স বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া শিডিউল ব্যাংকসমূহের নানাবিধ সীমাবদ্ধতার দরুনও রেমিট্যান্স প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশে টিকিট বিক্রি ও ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে পর্যটন শিল্প ও ট্রাভেলস এজেন্সি ব্যবসায়। মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান, বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা, সালাম এয়ার, এমিরেটস এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ এয়ারলাইন্স, ফ্লাই দুবাই, সাউদিয়া অ্যারাবিয়ান, কাতার এয়ারলাইন্স, কুয়েত এয়ারলাইন্স ও ওমান এয়ারলাইন্স। বিমানের টিকিটের দামের ভাড়া নিয়ে এই সংস্থাগুলোর অনেকেই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী আগেও বলেছিলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের বিমান ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, বিমান ভাড়া যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে।’ এছাড়া, গত নভেম্বরের পর ডিসেম্বরেও রেমিট্যান্স বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২২ সালের শেষ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭০ কোটি ডলার। আগের মাসের চেয়ে যা ১০ কোটি ডলার বেশি। নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ডলার। গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে ১৬৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সে হিসাবে সদ্য বিদায়ী বছরের একই সময়ে এসেছে প্রায় ৭ কোটি ডলার বেশি। কোবা হজ গ্রুপের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, গত মে মাসে সাউদিয়া অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটের ভাড়া ছিল ৬৮ হাজার ৭৩ টাকা। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৭ হাজার ৯২৭ টাকা। নভেম্বর মাসে তা ৯০ হাজার ৪৯ টাকায় নেমে আসে। ডিসেম্বর মাসে ওই টিকিটের দাম বেড়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৮৩ টাকা হয়েছে। এতে ওমরাযাত্রী ও প্রবাসী কর্মীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বিমানের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কতিপয় অসাধু চক্র বিভিন্ন বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সি অনলাইন এপিআই এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাইরে থেকে এয়ার টিকিট ক্রয় করছে। ফলে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে এসব টিকিটের বিক্রয়লব্ধ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • Kma Hoque ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৪ এএম says : 0
    ডলার সঙ্কটে পড়লে দেশের আরো অন্যান্য জিনিসের উপর প্রভাব পড়বে। সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার দাবি জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • Kma ahai ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৯ এএম says : 0
    ডলার সঙ্কট নিরসন না হলে এর প্রভাব সব কিছুতে পড়বে। পরে সবাই এর মাশুল দিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Kma ahai ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশে ডলারের সঙ্কট এখনো কাটেনি। সরকার এ ব্যাপারে কখন দেখবে তারা তো বিরোধী দলের নেতাকর্মী দড়াতে ব্যস্ত রয়েছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডলার সঙ্কট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->