দেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান একেবারেই কম এস এম পারভেজ তমাল

জাতীয়করণের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১১ জুলাই ২০২৩, ১০:২১ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য নিরসনে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি না মান পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আহ্বানে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষক নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে এলেও তাদের দাবি উপেক্ষিত রয়ে গেছে। তাই কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন তারা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
তারা বলেন, অন্যান্য চাকরিজীবীদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক বৈষম্য পাহাড়-সমান। আজকে কোরবানি এসে যায়, আমাদের বেতন হয় না। বোনাস যা দেয়, তা সামান্য। অন্যান্য চাকরিজীবীরা বোনাসের টাকাতেই কোরবানি দিতে পারে। আর আমাদেরকে কোরবানি দিতে গেলে টাকার জন্য ঘুরতে হয়।
নবাবগঞ্জের হরেকৃষ্ণ কুসুমকলি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরফান আলী সরকার বলেন, ১৯ বছর ধরে চাকরি করছি। আমরা নামমাত্র সেকেন্ড ক্লাস। কাজে না। যারা চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি করে, তারাও ৫০ শতাংশ বোনাস পায়। আর আমরা পাই ২৫ শতাংশ।
ভোলা সদরের কবি মোজাম্মেল হক মহিলা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রভাষক মাহবুব সাদিক বলেন, আমাদের এক দফা, এক দাবি। জাতীয়করণ। কারণ এটা হলেই বাকি সব হয়ে যাবে। বাড়ি ভাড়া, বোনাস এবং বদলিই আমাদের মূল চাওয়া। আমার বাড়ি টাঙ্গাইল, কিন্তু চাকরি ভোলা। আমি চাইলেও ট্রান্সফার হতে পারব না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ হলে এসব সমস্যা থাকবে না বলে মনে করছেন মাহবুব।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি কখনও ক্ষমতায় যাই, শিক্ষকদেরকে রাস্তায় নামতে হবে না।’ তারপর ৩০ বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু আজও তার কথার কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না। উনি আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। অথচ প্রতি বছরই মাঠে-ময়দানে নেমে চেষ্টা করছি উনাকে জানান দেওয়ার জন্য।
কাশেম বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে মাধ্যমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করা কোনো কঠিন কাজ না। এটা সদিচ্ছার অভাব। আমাদের বাড়ি ভাড়া এক হাজার টাকা। এটা অত্যন্ত লজ্জার একটা কথা। সরকার কি আামাদের জন্য এমন কোনো ব্যবস্থা করে দিয়েছে, যে নামমাত্র এক হাজার টাকা দিলেই আমরা থাকতে পারব? বাড়ি ভাড়ার এই বৈষম্যের অবসান চাই।
তিনি বলেন, রংপুরের একটা মেয়ে চাকরি করতে যায় কক্সবাজারে। কক্সবাজারের একটা মেয়ে যায় দিনাজপুরে। কিন্তু বেতন পায় ১২ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে মনোযোগ দিয়ে চাকরি করা সম্ভব? আমরা চিকিৎসা ভাতা পাই ৫০০ টাকা। এটা বিশ্বাসযোগ্য? আজকে শিক্ষকদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেয়। কিন্তু অবসরে যাওয়ার পর সেই টাকা তারা সময় মত পায় না। শেষে দেখা যায়, টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় সে মারা যাচ্ছে। জাতীয়করণ করলে এগুলো সমাধান হবে। আমাদের, আমাদের ছেলেমেয়েদের জীবন সহজ হবে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমার কথা খুব ক্লিয়ার। জাতীয়করণ চাই।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

হাকিমপুরে তিন ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল পেয়ে খুশি নিন্ম আয়ের মানুষ
তারাকান্দায় গুড়িয়ে দেওয়া হলো “হাসান ব্রিকস” নামের অবৈধ ইটভাটা
আশুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ট্রাক ও রড উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি নিয়ে ক্যাম্পে বিএনপি নেতা
মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ
আরও
X

আরও পড়ুন

হাকিমপুরে তিন ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল পেয়ে খুশি নিন্ম আয়ের মানুষ

হাকিমপুরে তিন ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল পেয়ে খুশি নিন্ম আয়ের মানুষ

তারাকান্দায় গুড়িয়ে দেওয়া হলো “হাসান ব্রিকস” নামের অবৈধ ইটভাটা

তারাকান্দায় গুড়িয়ে দেওয়া হলো “হাসান ব্রিকস” নামের অবৈধ ইটভাটা

আশুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ট্রাক ও রড উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

আশুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ট্রাক ও রড উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

অল টাইম’ এর উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

অল টাইম’ এর উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো কাউবেল

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো কাউবেল

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাসের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৭, আহত ৩৫

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাসের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৭, আহত ৩৫

মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি নিয়ে ক্যাম্পে বিএনপি নেতা

মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি নিয়ে ক্যাম্পে বিএনপি নেতা

নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: সিইসি

নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: সিইসি

মিলেছে ছাড়পত্র, বাড়িতে ফিরেছেন এ.আর. রহমান

মিলেছে ছাড়পত্র, বাড়িতে ফিরেছেন এ.আর. রহমান

মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ

মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ

বার্সা-আতলেতিকো মহারণ আজ

বার্সা-আতলেতিকো মহারণ আজ

নর্থ মেসিডোনিয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ৫১

নর্থ মেসিডোনিয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ৫১

মতলবের মেঘনা নদীতে অভিযানে কারেন্ট জাল ও জাটকা ইলিশ জব্দ

মতলবের মেঘনা নদীতে অভিযানে কারেন্ট জাল ও জাটকা ইলিশ জব্দ

কিউবায় আবারও বিদ্যুৎ বিপর্যয়, অন্ধকারাচ্ছন্ন লক্ষাধিক মানুষ

কিউবায় আবারও বিদ্যুৎ বিপর্যয়, অন্ধকারাচ্ছন্ন লক্ষাধিক মানুষ

আলুর বাম্পার ফলনে ও হিমাগার সংকটে বিপাকে শেরপুরের কৃষকরা!

আলুর বাম্পার ফলনে ও হিমাগার সংকটে বিপাকে শেরপুরের কৃষকরা!

গোদাগাড়ীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে কুমড়োর ও পেঁয়াজোর বড়ি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে, বিদেশেও যাচ্ছে

গোদাগাড়ীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে কুমড়োর ও পেঁয়াজোর বড়ি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে, বিদেশেও যাচ্ছে

নির্বাচন কমিশনকে যে ৩ বার্তা দিলো ইইউ

নির্বাচন কমিশনকে যে ৩ বার্তা দিলো ইইউ

সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম  ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না: অবসর নিয়ে কোহলি

কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না: অবসর নিয়ে কোহলি

আনোয়ারায় আগুনে পুড়ে গেছে ৩ বসতঘর

আনোয়ারায় আগুনে পুড়ে গেছে ৩ বসতঘর