প্রেমিকাকে দল বেঁধে ধর্ষণ

প্রেমিকসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রেমিকাকে দল বেঁধে ধর্ষণ

কোর্ট রিপোর্টার :

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ এএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ এএম

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন এলাকায় প্রেমিকাকে দল বেঁধে ধর্ষণের দায়ে প্রেমিকসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এই রায় দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদ-, অনাদায়ে প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ভিকটিমের প্রেমিক ইয়াসিন সরদার হৃদয়, তার বন্ধু ফাহাদ শেখ পিয়াল, দেলোয়ার হোসেন দেলু, সুজন এবং উজ্জ্বল। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি হেলাল উদ্দিন এতথ্য নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার সময় পিয়াল, সুজন এবং উজ্জল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
জানা যায়, ভিকটিম ওই কিশোরীর সঙ্গে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হৃদয় তার প্রেমিকাকে ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় দেখা করতে যেতে বলে। ওই কিশোরী দেখা করতে গেলে হৃদয় তাকে পার্শ্ববর্তী ফাহাদ শেখ পিয়ালের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে হৃদয় কিশোরীকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায়। অচেতন অবস্থায় আাসামিরা কিশোরীকে পালাক্রমে ছয় দিন ধরে ধর্ষণ করে।
২৭ নভেম্বর ভিকটিম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় আসে। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন।
২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আাদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচারকালে আদালত ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন।

বিভাগ : বাংলাদেশ