স্ত্রীসহ বাগেরহাটের বন বিভাগের ৩ কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ

কোর্ট রিপোর্টার :

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ এএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ এএম

বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী মিসেস আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালী মধুর নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপ-সহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান অবরুদ্ধের আবেদন করেন। চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডলের নামে থাকা ৫ ব্যাংক হিসাবের আছে, ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা।
জিএম রফিকের নামে আছে, ৬টি। তার স্ত্রীর নামে আছে, ৩টি, দুলালী মধুর নামে আছে ২টি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে ১টি সঞ্চয় পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয় পত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে। আবেদনে বলা হয়Ñ অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত অন্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা প্রাহী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী মিসেস আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মানু এবং দুলালী মধুর নামের ৫টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয় ক্রয় করা হয়েছে। তারা এই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এ কারণে এসব হিসাবসমূহ জরুরিভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

বিভাগ : বাংলাদেশ