গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দিন, না হলে একের পর এক স্যাংশন আসতে থাকবে
২৬ মে ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম

গুম এখনই বন্ধ করুন এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিন। না হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) আসতে থাকবে। এতে দেশের সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে-গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার খুলনায় আয়োজিত আলোচনা সভা, মানববন্ধন ও র্যালিতে অংশ নিয়ে বক্তারা এ কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর খানজাহান আলী রোডস্থ জাতিসংঘ পার্কের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে যশোরের বেনাপোলের মো. রিপন হোসেন অভিযোগ করে জানান, তার ছোট ভাই মো. রেজোয়ান হোসেনকে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট বেনাপোল থানা পুলিশ আটক করে। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসানের নেতৃত্বে তাকে গুম করা হয়। এ ঘটনায় তারা ভয়ে মামলা করার সাহস পায়নি। দীর্ঘ ৭ বছরেও ভাইয়ের সন্ধান না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সাতক্ষীরার হোমিও চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জনির বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলেন, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হিমেলের নেতৃত্বে পুলিশ জনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর গত ৭ বছরেও তার সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। শেখ আব্দুর রাশেদ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি এবং জনিকে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের খুলনা মহানগর শাখার সদস্য সচিব কাজী মোতাহার রহমান বাবু, গণঅধিকার পরিষদ খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক মো. বিল্লাল হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা সমন্বয়কারী মুনীর চৌধূরী সোহেল, মানবাধিকার কর্মী শেখ আব্দুল হালিম, সাতক্ষীরার মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শেখ আলমগীর আশরাফ, সাবেক নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা ডা. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ। রাষ্ট্র চাইলেই গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে। বক্তারা গুম বন্ধ এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান। তারা আরও বলেন, গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্ত্রী-সন্তানরা আর্থিক ও সামাজিকভাবে অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম কষ্টে রয়েছেন। এতে দেশের সাধারণ নাগরিকরাও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ ও মানবাধিকার কর্মীদের সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক’ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক কেএম জিয়াউস সাদাত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দিবসের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

‘শান্তিকামী’ জাপান কেন নতুন করে অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে?

১০ম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ঢাবি

ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী

ডোনেৎস্কে ইউক্রেনের গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংস, ২৬০ সেনা নিহত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীন কি যুক্তরাষ্ট্রকে টপকাতে পারবে?

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনুশকা!

পাল্টা-আক্রমণে ‘প্রস্তুত’ ইউক্রেন

ইমরানের দলের প্রধান হবেন শাহ মেহমুদ কুরেশি

‘কট্টরপন্থী বাংলাদেশী’দের ভিড়, হিন্দুরা ছাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ! বিতর্কিত ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডায়েরি’

চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে মা ও দুই সন্তানসহ দগ্ধ ৪

সাফল্য ও অগ্রগতির দেড়যুগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

সৃজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে যা জানালেন মিথিলা

এক মাদ্রাসা থেকে দশ লাখ হাফেজ

‘আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো, যদি শুনি নৌকা হেরে গেছে'

বহু অপকর্মের মুলহোতা প্রতারক আলীকে অবশেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার

মাত্র দুই হাজার টাকার জন্য বন্ধুকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, গ্রেপ্তার ২

তুষারধসে পাকিস্তানে ১০ জনের প্রাণহানি

নভেম্বর থেকে ৯ সেতু ও ২ মহাসড়কে ই-টোল বাধ্যতামূলক

আবারো বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা