নকশা বর্হিভূতভাবে নির্মাণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের হরিজন পল্লী
০৫ জুন ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নকশা বর্হিভূতভাবে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের হরিজন পল্লী। অভিযোগ ওঠেছে ভূমিহীন ও গৃহহীন হরিজন সম্প্রদায়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিম্নমানের খোয়া ও নকশা বর্হিভূতভাবে ঘর নির্মাণ হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে কাজটি চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প’র আওতায় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মৌজা থানা এলাকায় ৩০টি পরিবারের জন্য হরিজন পল্লী গড়ে তোলা হচ্ছে।
ঘর নির্মাণের কাজে নিম্নমানের খোয়া ও নকশা বর্হিভূত কাজের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় দেখা যায়, ১০টি ঘর নকশা বর্হিভূতভাবে ১৫ ইঞ্চি গাঁথুনি দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। তবে বাকি ২০টি ঘরে গাঁথুনি দেয়া হয়েছে। এদিকে ঘরের প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে সিসি ঢালাই ৩ ইঞ্চি দেয়ার কথা থাকলেও সেটিও দেড় থেকে ২ ইঞ্চির বেশি দেয়া হয়নি।
দায়িত্বরত রাজমিস্ত্রি শ্রী খিতিশ চন্দ্র অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, নকশা টা দেখতে ও বুঝতে ভূল হওয়ায় প্রথম ১০টি ঘরের ১৫ ইঞ্চির গাঁথুনি দেয়া হয়নি এবং ভিত্তির সিসি ঢালাই মাপের থেকে কম আছে। কিন্তু পরবর্তী বাকি ঘরগুলোতে নকশা অনুযায়ী করা হচ্ছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে ঘর নির্মাণের অভিযোগটি সঠিক নয় বলে দাবী করে তিনি বলেন, সব খোয়া খারাপ নয়, মাঝে মাঝে দু’এক গাড়ি খারাপ খোয়া থাকলেও বেশির ভাগই ভালো খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, তিনি মুল দায়িত্বে থাকলেও হারুন নামে অপরএকজন মিস্ত্রি ঘরের কাজ গুলো করছেন বলে জানান তিনি।
হারুন নামে ওই মিস্ত্রির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রথমে এষ্টিমেট বুঝার ভুলের কারণে দশটি ঘরে ১৫ ইঞ্চির গাঁথুনি দেয়া হয়নি। তবে এটার কারণে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
ইউএনও অফিস সূত্র বলছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প’র আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন হরিজন সম্প্রদায়ের ৩০টি ঘরের প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪হাজার ৫’শ টাকা। এতে ৩০টি ঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৮৫লাখ ৩৫হাজার টাকা। আবাসন প্রকল্পটি ১০০ শতাংশ জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে। পল্লীটিতে ১০ ফুট প্রসস্থ রাস্তা ও মুল সড়কের সাথে একটি সংযোগ সড়কেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। এছাড়াও ১০ শতাংশ জমি শিশুদের খেলার জন্য, ৫ শতাংশ জমিতে কমিউনিটি সেন্টার, ৮শতাংশ জমিতে শ্মশান গড়ে তোলা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরিজন সম্প্রদায়ের ঘর নির্মাণে ৭০ থেকে ৮০হাজার টাকা শতাংশের ফসলি জমি শতক প্রতি ১লাখ ২০হাজার টাকা দরে জমি অধিগ্রহণ করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এবিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের কাজ শতভাগ সঠিক ভাবে হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশে নির্মিত হল হিজড়া জনগোষ্ঠীদের প্রথম মসজিদ
ওয়ারীতে নতুন আউটলেট খুলেছে বিয়িং হিউম্যান ক্লোথিং
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)-র ফ্যালকন মার্ট উপশাখার উদ্বোধন
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)-র ফ্যালকন মার্ট উপশাখার উদ্বোধন
বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত
লড়াই ছাড়া পথ নেই লড়াই করে বাঁচতে হবে : নোমান
আ. লীগের দুঃশাসনে জনগণের সকল উৎসব আজ ম্লান হয়ে গেছে : মজনু
অহেতুক কথা বলে হাস্যস্পদ হবেন না- সরকারকে আলাল
পরিকল্পিত ও স্মার্ট ঢাকা-১৮ আসন গড়তে সকলের দোয়া চেয়েছেন খসরু চৌধুরী এমপি
করোনাকালে চাকরি হারিয়ে আইটি কর্মী হলেন পাকা চোর!
মাদারীপুরে স্কুলব্যাগে ককটেল, যুবক আটক
দারুস সালাম থানা বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
নড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার
‘ঢাবিতে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে না, কিন্তু রমজানে হোলি খেলা যাবে’
জাল দলিল তৈরী করে জমি বিক্রিকালে গ্রেফতার ৩, পৌর কাউন্সিলরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
আমিরাতে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আজমানের দোয়া ও ইফতার মাহফিল
ভিয়েনায় মুসলিম রাষ্ট্রদূতদের সম্মানে ইফতার মাহফিল
মিল্টনের দ্বিতীয় এ্যালবাম আসছে
সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে : ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী
শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহাদ্দিস ছাহেবের ঈসালে সওয়াব উপলক্ষে ইছামতি শাহী ঈদগাহ মাঠে ইফতার মাহফিল