আলুর বাম্পার ফলনে ও হিমাগার সংকটে বিপাকে শেরপুরের কৃষকরা!
১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

আলুর বাম্পার ফলনে ও হিমাগার সংকটে বিপাকে পড়েছেন শেরপুর জেলার কৃষকরা। সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই পানির দামে আলু বিক্রি করে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। শেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেরপুরে ৫ হাজার ২৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫ হাজার ৩১৭ হেক্টরে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৩ হাজার ৮১৬ টন। বেড়ে হয়েছে ৯৫ হাজার ৭০৬ টন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৮৯০ টন বেশি। অথচ জেলার হিমাগারগুলোর মোট ধারণক্ষমতা মাত্র ১৩ হাজার মেট্রিক টন। শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলায় বিএডিসির (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) ২টি সরকারি হিমাগার রয়েছে। যার সম্মিলিত ধারণক্ষমতা ৩ হাজার মেট্রিক টন। তবে এগুলো শুধু চুক্তিবদ্ধ চাষিদের বীজ আলু সংরক্ষণের জন্য। জেলার একমাত্র বেসরকারি হিমাগার ‘তাজ কোল্ড স্টোরেজ’র ধারণক্ষমতা ১০ হাজার মেট্রিক টন। যা ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বাধ্য হয়েই তারা আলু কম দামে বিক্রি করছেন সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায়। পাইকারি বাজারে বর্তমানে আলুর দাম ২০-২২ টাকা কেজি। যা উৎপাদন খরচের তুলনায় নিত্যান্তই কম। শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ১৮ বিঘায় বীজ আলুর চাষ করেছি। ফলন ও ভালই হয়েছে। কিন্তু বিএডিসি শুধু নির্দিষ্ট মানের (গ্রেড এ ও বি) আলু নিচ্ছে। বাকিটা সংরক্ষণ করার জায়গা নেই। তাই কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে এবং লোকসান গুনতে হচ্ছে। যদি সরকার রপ্তানির উদ্যোগ নিতেন। তবে কৃষকদের অনেক সুবিধা হতো। ’বেসরকারিভাবে স্থাপিত তাজ কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, ধারণক্ষমতার তুলনায় আলু বেশি হওয়ায় অনেক কৃষককে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’
“জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। ফলে হিমাগারে সংরক্ষণের চাপ ও বেড়েছে। কৃষকরা স্বল্প মেয়াদে বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন। তাতে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে রাখা জরুরি। তাছাড়া জেলার গারো পাহাড়ি ৩ উপজেলাসহ জেলায় প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়। সবজির জন্য হিমাগার নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাস্তবায়ন হলে কৃষকদের দুর্ভোগ কমে যাবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।”
“ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ গারো পাহাড়ি উপজেলাগুলোয় প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়। কিন্তু সবজির জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ সবজির জন্য হিমাগার নির্মাণ করা হলে কৃষকদের দুর্ভোগ ও কমে যাবে, ন্যায্য মূল্য ও পাবেন।”
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের