রায়পুরায় নাগরিক তথ্য পাচারের অভিযোগে নির্বাচন কার্যালয়ের ২ কর্মচারী আটক

নরসিংদী জেলা সংবাদদাতা

২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৯ এএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৯ এএম

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে নাগরিক তথ্য পাচারের অভিযোগে ২ কর্মচারী আটক হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের চার সদস্য বিশিষ্ট গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযান পরিচালনা করেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্য মতে, অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে এনআইডির তথ্য বিক্রি করে আসছিলেন কার্যালয়টির কর্মচারীরা। তদন্তাধীন সময়ে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট এনআইডির তথ্য বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়ায় রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত ২ কর্মচারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে থানায় সোপর্দ করেন তারা।

আটককৃত দুইজন হলেন, রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নরসিংদী পৌর শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকার আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে নাহিদুল ইসলাম ও স্ক্যানিং অপারেটর আশিকুল ইসলাম।

স্ক্যানিং অপারেটর আশিকুল ইসলাম এর বিকাশ একাউন্টে গেল ৬ মাসে ১২ লাখ টাকা ও নাহিদুল ইসলামের বিকাশ একাউন্টে ২ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

বুধবার রাত ৮ টায় এ ঘটনার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দ্বীন মোহাম্মদ রাসেল।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় কর্তব্যরত একজন কর্মী অবৈধ উপায়ে আর্থিক লেনদেনের বিপরীতে নাগরিক তথ্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে হস্তান্তর করে আসছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা যাচাই করে ২ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।

তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইডিইএ প্রকল্প, ২য় (পর্যায়) পরিচালক (আইটি) উইং কমান্ডার সাদ ওয়ায়েজ তানভীর, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সিস্টেম এনলিস্ট, আই এস শাখা (এনআইডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, সহকারী মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার, আইডিইএ প্রকল্প, ২য় (পর্যায়) মোঃ মেহেদী হাসান।

উইং কমান্ডার সাদ ওয়ায়েজ তানভীর বলেন, মঙ্গলবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য আসে যে এখানে অবৈধ উপায়ে অর্থের বিনিময়ে নাগরিক তথ্য হস্তান্তর করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে এখানে এসে তাদের মোবাইল সুইচ অফ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়া হয়। আশিকুলের বিকাশ একাউন্টে ১২ লাখ টাকা লেনদেন করার প্রমাণ পাওয়া যায়। নাহিদুল বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে এনআইডি সংশোধন সহ বিভিন্ন কাজ করতো। তার একাউন্টে ২ লাখ টাকার মতো লেনদেন হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ আরও তদন্ত কার্যক্রম চালানোর কথা জানান তিনি।

বিভাগ : বাংলাদেশ