যশোর-কেশবপুর-চুকনগর সড়কের ২বছর না পেরুত আবারো সংস্কারের অপেক্ষায় ধুকছে
২২ জুন ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম

৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা যশোর-কেশবপুর-চুকনগর সড়ক সংস্কারের দুই বছর না পেরোতেই আবারও ধুকছে নতুন করে সংস্কারের অপেক্ষায়। ব্যাপক অনিয়ম ও নয়ছয়ের মধ্যেই একনেকে অনুমোদিত নকশা কাটছাঁট করে দক্ষিণ অঞ্চলের কুখ্যাত ১০ শতাংশ কমিশনভোগী মহলের আস্থাভাজন মোজাহার ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে সংস্কার করা এই সড়ক জামানতের টাকা ছাড়ানোর পরপরই ভেঙে পড়ে। রাস্তাজুড়ে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়েছে, বর্ষার মৌসুমে দুরবস্থার মাত্রা বেড়েছে বহুগুণ।
বিশেষ করে কেশবপুর ও মনিরামপুর শহরের ভেতরের অংশ এবং কেশবপুর থেকে চুকনগরমুখী সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে ভারী যানবাহন চলাচলে তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যশোরের রাজারহাট থেকে খুলনার চুকনগর পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হওয়ায় বিটুমিন উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে, তাতে পানি জমে রাস্তার অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে কেশবপুর ও মনিরামপুর পৌরসভার মধ্য দিয়ে যাওয়া অংশে কংক্রিটের ঢালাই উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায়সারাভাবে সংস্কার করলেও একদিন যেতে না যেতেই রাস্তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। দুই ধারে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও মালবাহী ট্রাক খাদে পড়ে যাচ্ছে। নেই প্রয়োজনীয় গাইড ওয়াল বা সড়কের সীমানা চিহ্নিতকারী রঙিন খুঁটি।
মনিরামপুর পৌর এলাকার মধ্যভাগে রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয়। তৎকালীন রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে যেখানে রাস্তার প্রস্ত হওয়া উচিত ছিল ৩৮ ফুট, সেখানে তা ২২ ফুটে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের মধ্যে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। মনিরামপুর শহর পার হতে গড়ে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নষ্ট হচ্ছে।
একনেকে পাশ হওয়া প্রকল্প অনুযায়ী চুকনগর অংশে ওয়াচ টাওয়ার ও গোলচক্কর নির্মাণের কথা থাকলেও, সেগুলো কাটছাঁট করে নকশা থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। একই অবস্থা রাজারহাট থেকে চুকনগর পর্যন্ত পুরো ৩৮ কিলোমিটার সড়কে।
এই সড়কের ব্যবহারকারী যানবাহনের মালিক ও যাত্রীরা জানান, দুর্ভোগ তাদের নিত্যসঙ্গী। অনেকেই মনে করেন, সড়ক সংস্কারের নামে অর্থ নয়ছয় করাই যেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মৌল উদ্দেশ্য। কেশবপুর শহরের ভারী ট্রাকচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “রাস্তায় ভাঙাচোরা থাকায় ট্রাকে ব্যাপক ড্যামেজ হচ্ছে, ফলে খরচও বেড়েছে।” একই অভিযোগ করেন মনিরামপুর শহরের সংগঠন সুজন-এর সভাপতি অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন।
এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, প্রতিদিন বিশেষ প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেই কোথাও না কোথাও শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি, হতাশ অভিভাবকরা

ছাত্রলীগ আটক, ছাড়াতে গিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ

দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর ডুলাহাজারা সার্ফারী পার্কে দুদকের অভিযান, মিলেছে দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা

আরিচা বন্দর বাজারের প্রধান সড়কে পানি চলাচলে চরম দুর্ভোগ

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গফরগাঁওয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে

দিরাইয়ে পুকুরে কাইয়ুম ও হাওরে আসাদের লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণপাড়ায় এসএসসি ও সমমান পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৮ জন

এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু

ভারতের আরেক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

সখিপুরে দিনব্যাপী বিএনপির আযম খানের গণসংযোগ

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ে মামলা, গাজীপুরে ৩ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারিরা

ভোট বাতিলের হারানো ক্ষমতা ফেরত চাইল ইসি

নাসিরনগরে এসএসসিতে পাসের হার ৫৯.০৯ এবং দাখিলে ৭৭ শতাংশ

ডিএনসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় আইনবহির্ভূত দাবি করেন সেক্টর বাসিন্দারা

রাউজানের এক যুবদল কর্মীর লাশ উদ্ধার

শাজাহান খানের মেয়ের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিলো দুদক

ড্রাগনের ফলের “রাজধানী” গৌরিনাথপুর প্রতিদিন বিক্রি কোটি টাকা

স্বৈরাচারের দোসর, দাগী, সন্ত্রাসী ও বিতর্কিত ব্যক্তি বিএনপি’র সদস্য হতে পারবে না: শরীফুল আলম