কোনো অবস্থাতেই ড. ইউনূসের বিকল্প কাউকে চিন্তা করা যাবে না
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম

সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি যখন এই লেখাটি ইমেইলে দৈনিক ইনকিলাবে পাঠিয়ে দেবো তখন একটি খবরে চোখ আটকে গেল। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়ার ১৭টি ফেসবুক স্ট্যাটাস। সবগুলো স্ট্যাটাসই তথ্যবহুল এবং চাঞ্চল্যকর। কিন্তু তার মধ্যে সপ্তদশ বা ১৭ নং স্ট্যাটাস খুবই চাঞ্চল্যকর। এই স্ট্যাটাস থেকে বোঝা যায় যে, কেন একটি বিপ্লব সংবিধানের মধ্যে ঢুকে বিপ্লবের মূল স্পিরিট নস্যাৎ হয়ে গেল। কিন্তু এর মধ্যেই লেখা শেষ হয়ে গেল বলে এ সম্পর্কে আর আলোচনা করা গেল না। দেখা যাক, আগামী মঙ্গলবার এ সম্পর্কে লেখা যায় কিনা।
যে বিষয়টি সব সময় আমাকে ভাবিত করে সেই বিষয়টি নিয়েই আজকে লেখার ইচ্ছা ছিল। সেটি হলো, গণতন্ত্রায়নের পথে দেশের অগ্রযাত্রার এই জার্নিতে বিরাজমান অন্তরায়সমূহ। এর আগে বর্তমান সংসদের ৭ (খ) অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করেছি। এটি সংবিধান সংশোধনের পথে একটি বিরাট Stumbling Block বা বিরাট বাধা। আরেকটি বাধা রয়েছে। তার কথা কেউ বলেন না। সেটি হলো, অনুচ্ছেদ ৯৩। এই অনুচ্ছেদটি নিয়েই আজকে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম যে, যখন ড. আলী রিয়াজের সংবিধন সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে তখন সেই আলোচনাটি হবে একটি ম্যারাথন ডিসকোর্স। তখন নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার খাতিরে বর্তমান সংবিধানের অনেক কিছু ঘাটতি নিয়ে কথা বলতে হবে। তাই আজ আপাতত ঐ আলোচনা থেকে বিরত থাকলাম।
তবে একটি জিনিস খেয়াল করছি যে, তাড়াতাড়ি ইলেকশনের দাবি করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এমন সব কথা বলেন যেগুলো সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য বহন করে। যেমন তিনি বলেছেন যে, সরকার যদি নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আমাদেরকে তো কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বলতে বোঝায় ড. ইউনূসের ইন্টারিম সরকারের সরে যাওয়া। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের মাধ্যমে ঢাকা ও মফস্বল এবং বিদেশে বসবাসকারীদের সাথে এসব নিয়ে বিগত দুই সপ্তাহ কথা বলেছি। সর্বত্র একটি কমন কথা শুনতে পেলাম। কী আমেরিকা, কী অস্ট্রেলিয়া, অথবা কী ইংল্যান্ড, যেখানেই নক করেছি সেখান থেকে বলা হয়েছে যে, অদূর ও নিকট ভবিষ্যতে ড. ইউনূস বিহীন সরকার কল্পনাই করা যায় না। এখন মোবাইল ফোনের বদৌলতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সাথেও যখন তখন কথা বলা যায়। দেখলাম, জিনিসপত্রের দাম বিগত ৬ মাসে বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ অর্থাৎ আমজনতা ড. ইউনূসের বিকল্প ভাবতে পারছেন না। এই লোকটি রাজনৈতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশিদের জন্য বলতে গেলে কিছুই করেন নাই। তারপরেও দেখলাম, গ্রামের ঐ হালচাষি কিংবা ঢাকার ঐ রিকশাওয়ালা- তাদের অনেকেই বিএনপির সাপোর্টার হওয়া সত্ত্বেও সরকার প্রধান হিসেবে তারা ইউনূসের বিকল্প ভাবতেই পারেন না। অথচ, যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের অধিকাংশই লেখাপড়া তেমন কিছুই জানেন না। তারপরেও ড. ইউনূসের প্রতি তাদের আকর্ষণ দুর্নিবার। ঠিক এই পয়েন্টটি বিএনপি সঠিকভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছে কিনা, আমি জানি না।
গত রবিবার একজন মার্কিন নাগরিকের একটি লেখা পড়ছিলাম। তার নাম স্কট লেকম্যান। অনেক লম্বা এই আর্টিকেলে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কথাই তিনি লিখেছেন। ইউনূসের প্রসংশা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ইউনূস শুধুমাত্র নোবেল লরিয়েটই নন। তিনি মার্কিন কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমও পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের এই বিপ্লবকে মনসুন রেভুলুশন বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর বিপ্লবীদেরকে জেন-জেড বাংলাদেশি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, এমন একটি দেশ, যার প্রত্যেকটি ইনস্টিটিউশনকে দুর্নীতিগ্রস্থ করা হয়েছে, সেই দেশটি কি নিজেকে সংস্কার করতে পারবে? তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য পৃথিবীবাসী ড. ইউনূসের মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন।
ভারতের বিদ্বিষ্ট অপপ্রচারের ফলে, শপথ গ্রহণের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে তথাকথিত হিন্দু নির্যাতন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এর ফলে অনেকের ধারণা হয়েছিল যে, ভারত কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈরী অ্যাটিচ্যুড গ্রহণ করবেন। কিন্তু মি. স্কট লেকম্যান অনুসন্ধান করে জেনেছেন যে, আমেরিকায় বসবাসকারী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় বিপুল অর্থ ব্যয় করে ডিসি নামের একজন লবিস্ট নিয়োগ করেন। এই লবিস্ট আবার ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের খুব ঘনিষ্ঠ। মার্কিন প্রশাসনে কাজ করা রাজা কৃষ্ণমুর্তি নামক এক ভারতীয়কে হাত করে ঐ লবিস্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি সম্পর্কে উল্টাপাল্টা বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু শপথ গ্রহণের পর অন্য আরেকটি লবি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তথ্য উপাত্ত এবং আলোকচিত্রসহ প্রকৃত পরিস্থিতি অবহিত করা হয়। এরপর আর ট্রাম্প বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি। উল্টা দেখা যাচ্ছে যে, অবৈধ অভিবাসী এবং রাশিয়ার সাথে তেল বেচাকেনার ব্যাপারটিকে নিয়ে ভারতের সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়েছে। তারই প্রতিফলন আমরা দেখি, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে দাওয়াত করলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দাওয়াত করা হয়নি। মি. স্কট লেকম্যান বাংলাদেশেও এসেছিলেন। তিনি প্রফেসর ইউনূসকে বলেছেন Incorruptible. অর্থাৎ তিনি দুর্নীতির ঊর্ধ্বে। বাংলাদেশের জনগণ তাকে ভালবাসে, তাকে শ্রদ্ধা করে। তার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আস্থা রয়েছে। তিনি বলেছেন, They (বাংলাদেশের জনগণ) want democratic reforms in public institutions to delay elections until significant reforms are made.
॥দুই॥
এই মার্কিন পর্যটক এবং লেখক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরেছেন। মোহাম্মদ রহমান নামে ৪০ বছরের এক যুবক তাকে বলেছেন যে, অতীতের সাথে এখনকার তফাৎ হলো এই যে, এখন আপনি যা মনে হয় তাই লিখতে পারছেন। যা মনে হয় তাই বলতে পারছেন। আগে আপনার মনের মধ্যে কোনো কিছুর উদয় হলে সেটি আপনাকে বুকের মধ্যেই চেপে রাখতে হতো। এখন সংবাদপত্র যা খুশি তাই লিখছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু, এ সম্পর্কে একজন উবার ড্রাইভার তাকে বলেছেন যে, হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে এলে আমাদের সকলকে হত্যা করবে। তাই আমরা কেউ তাকে দেশে ফিরে আসতে দেবো না। স্কট লেকম্যান নোয়াখালীতে অন্তত ৩০ জন হিন্দুর সাথে কথা বলেছেন। ভারত থেকে হিন্দু নির্যাতন সম্পর্কে যে ডিজইনফরমেশন ছড়ানো হচ্ছে সে সম্পর্কে এই ৩০ জনের মধ্যে সকলেই বলেছেন যে, আমরা খুব শান্তিতে আছি। ভারতের এই অপপ্রচারই বরং আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আমার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আমেরিকার অ্যারিজোনা, ইউরোপের সুইডেন এবং বিলাতের ম্যানচেষ্টারে থাকেন। আর দুইজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কানাডার টরোন্টোতে থাকেন। তাদের সাথে কথা বলার সময় আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে, ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে এখন কিছু কিছু সমালোচনা হচ্ছে। তাকে সরিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার কথাও হচ্ছে। ওরা সকলেই শিউরে উঠে বলেন যে, ‘সর্বনাশ, ইউনূস চলে গেলে ৬ মাসের মধ্যে ইন্ডিয়া এখানে একটি বিরাট অঘটন ঘটিয়ে ছাড়বে।’
॥তিন॥
প্রায় প্রতিটি সফল বিপ্লবকে প্রতিবিপ্লবের ধকল সামলাতে হয়েছিল। বাংলাদেশের একজন প্রবীণ ও ঝানু আমলা লিখেছেন, ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তী সময়টা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। একের পর এক প্রতিবিপ্লব কঠোর হাতে দমন করে ১৭৯৩ সালে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক করতে হয়েছিল। ১৭৯৯ সালে সেনাপতি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তগত করে পরে নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করেছিলেন। ১৯১৭ সালের রুশ বলশেভিক বিপ্লবকে অনেক কয়টি প্রতিবিপ্লব দমন করে ১৯২৩ সালে চূড়ান্ত বিজয় বা সফলতা অর্জন করতে হয়েছিল। দাস প্রথাকে নিয়ে ১৮৬১-৬৫ সালে সংঘটিত আমেরিকার গৃহযুদ্ধ ছিল বিপ্লব ও প্রতিবিপ্লবের সংমিশ্রিত এক জটিল আখ্যান। দাস প্রথা বহাল রাখা ও বিলোপ সাধনের জন্য আমেরিকার উত্তর ও দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মধ্যে সেটি ছিল এক মরণপণ গৃহযুদ্ধ।
সাম্প্রতিক সময়ে রোমানিয়া, ইরান, ইরাক, মিসর, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়াসহ অনেক দেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান আমাদের চোখের সামনেই ঘটেছে। আরব বসন্তে মিসরের সফল বিপ্লব অচিরেই সামরিক অভ্যুত্থানে ব্যর্থ হয়ে গেল। মুরসির করুণ মৃত্যু আমাদের চোখের সামনেই ঘটল। বিপ্লবোত্তর সময়ে আইন-কানুন ভেঙে পড়ে। আরব বসন্ত তিউনিসিয়াতে সফল হলেও বাকি দেশগুলোতে বরং উত্তরকালে ব্যর্থই হয়েছিল। আইন-কানুন ও জনশৃঙ্খলা পুনর্বহাল বিপ্লবী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে বিদেশের মতো এই ধরনের বড় কোনো প্রতিবিপ্লব ঘটেনি। এটিও সম্ভব হয়েছে ড. ইউনূসের ব্যক্তিত্ব এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার কারণে।
আইনের শাসন পুনর্বহাল করে সমুন্নত রাখতে সাময়িক বিপ্লবী আইন তথা সামরিক বা অসামরিক ঘোষণাপত্র বা ফরমান (প্রক্লেমেশন) জারি করা হয়ে থাকে। আইন শাস্ত্রে ডি জুরে (আইনানুগ) এবং ডি ফ্যাক্টো (বাস্তবানুগ) সংঘাত নিরসনের এমন পদ্ধতি নতুন নয়। এসব বিষয়ে মাকর্স, এঙ্গেলস, হেগেল, রুশো, কান্টসহ অনেক দার্শনিক ও আইনবেত্তার বিস্তর লেখালেখি রয়েছে। তারা শক্তি তত্ত্ব (ফোর্স থিওরি) বা উপযোগিতা তত্ত্ব (ইউটিলিটারিযান থিওরি) দিয়ে গণবিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন।
অনেকের মতে, অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সফল বিপ্লবের ডি ফ্যাক্টো (বাস্তবানুগ) গ্রামারে এটি অবশ্যই সিদ্ধ। যদি সংবিধান বহাল থাকে তাহলে সংবিধানের ১২৩(৩)(খ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক তৎপরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এই রকম যুক্তি কেউ কেউ দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
॥চার॥
আমি আজ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরলাম। যখন সংবিধান সংস্কার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে তখন আরো কতগুলো পয়েন্ট তুলে ধরবো। আজকের মতো সংক্ষেপে এটুকু বলতে চাই যে, নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়া করার মধ্যে বিজ্ঞতার পরিচয় দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপিকেও আমরা স্বৈরাচার ও ভারতীয় সম্প্রসারণ বিরোধী শক্তি বলে মনে করি। তাই বিএনপির বন্ধুদের বলছি, মাথা গরম করবেন না। তাড়াহুড়া করবেন না। সমগ্র বিষয়টি বিশেষ করে আইনগত বিষয়গুলো ঠান্ডা মাথায় খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করুন। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থা এবং জিও পলিটিকস বিচার করুন।
২৪-এর বিপ্লবে হাজার হাজার বিপ্লবীকে হত্যা করা হয়েছে, এর বিচার করতে হবে। বিডিআর ম্যাসাকার, শাপলা গণহত্যা, হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের আদলে গঠিত আয়না ঘর এবং বিগত ১৫ বছর ধরে সংঘটিত অন্তত সাড়ে ৩ হাজার হত্যাকা-ের বিচার করতে হবে। হাসিনার বিচার এবং বিডিআর ম্যাসাকারের বিচার করতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে। সেটি হলো ভারতীয় সাপ। এই ধরনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন ড. ইউনূস। কারণ, পশ্চিমা বিশ^ শুধু নয়, গণচীনও তাকে পাশে পাওয়ার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের একজন পলিটিশিয়ান বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। আর দলের চেয়ে দেশ বড়। বিএনপির বন্ধুদেরকে এই উক্তিটি বারবার মনে করার অনুরোধ করছি।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আলেমসমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশকে ঠেকাতে পারবেনা: এ এম এম বাহাউদ্দীন

অযথা কালক্ষেপণ করে ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা সরকারের নেই: আইন উপদেষ্টা

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের খুব কাছে অস্ট্রেলিয়া

ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক

ভারতে বসে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে হাসিনা: মির্জা ফখরুল

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে দুবাই যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

বাবার মতোই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন কেজরিকে হারানো পরভেশ?

বগুড়ায় ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল চালু করল রিভো

সৌদি আরব ও আমিরাত সফরে গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান

কতটা নির্লজ্জ হলে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় - আতাউর রহমান

মুসলমানদেরকে কুরআন ও সুন্নাহর ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, বাংলাদেশ কত নম্বরে?

ময়মনসিংহে ‘মাইক্লো বাংলাদেশ’র যাত্রা শুরু

টিএমএসএস পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

আমরা ক্ষমতায় গেলে বাদলেসের দাবি পূরণ করবো-খায়রুল কবির খোকন

তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজের প্রথম বৈঠক না করে ইমাম সাহেবের দাঁড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

মনোহরগঞ্জে অবৈধভাবে পরিচালিত দুটি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

বই পড়ায় অনাগ্রহ বাড়ছে

চাটমোহরে ১৭ আসামি গ্রেফতার