বিশ্ববিবেক নিরব কেন?
১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ এএম

গাজার বাতাস এখন শুধু ধুলো নয়, কান্না বয়ে আনে। এই ছোট্ট ভূখন্ডটি যেন পৃথিবীর বিবেকের পরীক্ষা নিচ্ছে প্রতিদিন। শিশুদের আর্তচিৎকার সেখানে বাতাসে মিশে আছে, মায়েদের বুকভাঙা কান্না ঘর ছাপিয়ে আকাশে পৌঁছায়, একেকটা কণ্ঠ যেন ছিন্নভিন্ন মানবতার প্রতিধ্বনি। প্রতিটি নতুন দিন গাজার জন্য শুধু সূর্যোদয় নয়, মৃত্যুপুরীর আরেকটি খ-চিত্র। দিনের আলোয় তারা দেখে ধ্বংসস্তূপ, রাতের আঁধারে শোনে ড্রোনের গর্জন। সেখানে শব্দহীন প্রশ্ন ভেসে বেড়ায়-এই দুনিয়ার মানুষ চুপ কেন?
গাজার ইতিহাস আসলে একান্তভাবে পৃথিবীর লজ্জার ইতিহাস, ব্যথায় মোড়ানো এক দীর্ঘশ্বাস। ফিলিস্তিনের বুকচিরে তৈরি হওয়া ইসরাইল রাষ্ট্রের পর থেকেই শুরু এই নির্যাতন, এই দখল, এই আশ্রয়চ্যুতি। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যাদের ঘরবাড়ি ছিল, জমি ছিল, সেসব মানুষ রাতারাতি হয়ে গেল শরণার্থী। তাদের সন্তানেরা, যারা জন্মেছে ছিন্নমূল বাস্তবতায়, বড় হয়েছে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে-তারা আজ গাজায় বন্দি। গাজা যেন একটি উন্মুক্ত কারাগার, যার চারদিকে কাঁটাতারের প্রাচীর, উপরে নজরদারি ড্রোন, সাগরে যুদ্ধজাহাজ, আর ভেতরে ক্ষুধা, আতঙ্ক, রক্ত, চিৎকার, মৃত্যু আর দুঃস্বপ্ন।
কল্পনা করুন, আপনি যদি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন, রাতে আপনার এলাকার অর্ধেক উড়ে গেছে। একবার শুধু চোখ বন্ধ করে ভাবুন-আপনার সন্তান যদি বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে কাঁদত? আপনি যদি মাটি খুঁড়ে নিজের সন্তানের হাত খুঁজে পান। আপনার মায়ের নিথর দেহ যদি ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করতেন আপনি? আপনার ভাই যদি রাস্তায় রক্তে ভেসে যেত? এই ভয়, এই দুর্দশা, এটাই গাজার দৈনন্দিন বাস্তবতা।
এই লেখাটি যখন আপনি পড়ছেন, হয়তো তখনই গাজার কোথাও একটি বোমা আছড়ে পড়ছে। হয়তো একটি শিশু কাঁদছে ধ্বংসস্তূপের নিচে তার মাকে খুঁজে। হয়তো কোনো বাবা ছুটে যাচ্ছে ধসে পড়া ভবনের দিকে, হয়তো এক তরুণ ছাত্র হাতের মুঠোয় স্কুল ব্যাগ ধরে রেখেই শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে যে আগ্রাসন শুরু হয়েছে, তা যেন আধুনিক সময়ের সবচেয়ে নিষ্ঠুর যুদ্ধের প্রতিচ্ছবি। জাতিসংঘ বলছে, নিহত মানুষের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে, যার অধিকাংশই শিশু ও নারী। কিন্তু গাজায় সাংবাদিকতা নেই, ইন্টারনেট প্রায় নেই, স্বাধীন তথ্য নেই-তাই প্রকৃত সংখ্যাটা হয়তো আরও বেশি। প্রতিদিনের সংবাদপত্রে শুধু সংখ্যা আসে, কিন্তু সেই সংখ্যার পেছনে থাকে না সেই শিশুর মুখ, যে তার মাকে খুঁজে মরছে। থাকে না সেই বাবার যন্ত্রণার চিৎকার, যে নিজের সন্তানের কাটা হাত কোলে নিয়ে বসে আছে।॥]
আধুনিক সভ্যতার নামধারী এই পৃথিবীতে, এত উন্নত প্রযুক্তির যুগে একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, আর আমরা কেবল নিউজ স্ক্রল করে যাচ্ছি। মানবতার নামে যে যুদ্ধ, সেটিই আজ সবচেয়ে অমানবিক। গাজার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, বাজার-কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। স্কুলে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওপর বোমা ফেলছে। হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ নেই, অস্ত্রোপচার হয় মোমবাতির আলোয়, ওষুধের বদলে দেওয়া হয় ব্যথা সহ্য করার উপদেশ। বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, খাদ্য নেইÑ একটি সভ্যতার সব শর্ত ভেঙে গেছে সেখানে। তবুও বিশ্ব নিরব। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো বিবৃতি দেয়, আলোচনা প্রয়োজন, আমরা উদ্বিগ্ন, শান্তির আহ্বান তোলে, যারা একদিকে মানবাধিকার শেখায়, আরেকদিকে যারা হত্যার খেলায় মেতে আছে-তাদের অস্ত্র পাঠায়। তারা টুইট করে, ‘মানবতা রক্ষিত হোক।’ কিন্তু মানবতা কি টুইটে বাঁচে? বিবৃতিতে কি থামে শিশুহত্যা? মানবতা যেন আজ কাঁধ ঝাঁকিয়ে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। শিশুদের লাশ দেখেও কেউ জবাবদিহি চায় না, কেউ যুদ্ধবিরতির পক্ষে দাঁড়িয়ে শক্ত আওয়াজ তোলে না, কেউ প্রতিরোধের কণ্ঠ তুলে বলে না, ‘এই হত্যাযজ্ঞ থামাও!’
তবুও গাজার মানুষ থেমে নেই। ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবনের চিহ্ন খুঁজে বেড়ায় ছোট্ট এক শিশু। ৮ বছর বয়স, অথচ তার চোখে যে দৃঢ়তা, তা পরাজিত করে যুদ্ধবাজ দানবদের সব হিসাব। বিস্ফোরণে সব কিছু ছিন্নভিন্ন-দেহ, ঘর, সংসার, স্বপ্ন-তবু হাত দিয়ে মাটির নিচে খুঁজে বেড়ায় সে তার মায়ের নিথর দেহ। কে বলে শিশু দুর্বল? গাজার শিশুরা অভিনব যুদ্ধে আল্লাহর উপর অবিচল বিশ্বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।
এক তরুণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র, যে হয়তো ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিল, কবি হতে চেয়েছিল, কিংবা হয়তো কেবল একজন পিতা। বিস্ফোরণে তার দুই পা উড়ে গেছে। হাসপাতালের বিছানায় সে বলছে, ‘আমি গর্বিত-আমি ফিলিস্তিনি, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কষ্টকে আলিঙ্গন করেছি।’ এই সাহস, এই প্রেমই তাদের অস্ত্র। এই মানুষগুলো এক ভিন্ন শক্তিতে সজ্জিত, এমন ঈমানী বলে বলীয়ান, যা কেবল কুরআনের মানুষদের মাঝেই দেখা যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যখন নিরীহ মানুষের উপর চালানো হয়, তখন একজন সত্যিকার মু’মিন তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র তুলে নেয়-সবর, ধৈর্য। এই ধৈর্যই গাজার প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি এনে দেয়, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখিও। তারা জানে, তাদের মৃত্যু বৃথা যাবে না। একেকজন শহীদ হয়ে পরকালের পথে যাত্রা করে, যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে জান্নাতের দরজা, শহীদের সম্মান এবং আল্লাহর চিরন্তন করুণা।
গাজা শুধু একটি ভূখ- নয়, গাজা হলো সাহসের আরেক নাম। মসজিদুল আকসা শুধু একটি মসজিদ নয়, এটি মুসলমানদের আত্মার অংশ, ঈমানের প্রতীক। এই ভূমি আল্লাহ্র দেয়া আমানত। এখানে যারা জুলুম করছে, তারা ইতিহাস ভুলে গেছে। আল্লাহ্ বারবার বলেছেন, তিনি জালিমদের ভালোবাসেন না। এই যুদ্ধ শুধু মাটির নয়, এই যুদ্ধ আদর্শের, ঈমানের, ভালোবাসার। যারা মাটির জন্য যুদ্ধ করে, তারা এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লড়াই করে, তারা পরাজিত হয় না। ফিলিস্তিনের প্রতিটি ঘর যেন একটি করে মিনার,যেখানে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু আযান থেমে যায় না। প্রতিটি শহীদ যেন কিয়ামতের দিন সাক্ষ্য দেবে, কে ছিল জালিম, কে ছিল মজলুম। এই ফিলিস্তিন পবিত্র ভূমি, এই মসজিদুল আকসা মুসলমানদের। এখানে মুনাফিকরা, নির্যাতনকারীরা কখনোই স্থায়ী ঘাঁটি গেড়ে থাকতে পারবে না। তারা ভুলে গেছে, একেকজন ফিলিস্তিনি শুধু মানুষ নয়, একেকজন জীবন্ত দোয়া। আর এক মজলুমের দোয়া আসমান চিরে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তাই তারা হয়তো হারাবে ঘর, হারাবে স্বজন, হারাবে রুটি-কিন্তু তারা হারাবে না আত্মসম্মান, ঈমান এবং সেই লড়াই করার তীব্র ভালোবাসা। ইন শা আল্লাহ্, বিজয় হবেই। কারণ তারা কারো দয়ায় বাঁচতে চায় না, তারা চায় শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি। তাদের ঈমান আল্লাহর রহমতের সবচেয়ে বড় দাবিদার।
আর আমরা? আমরা যারা নিরাপদে আছি, পরিবারের সুখে-শান্তিতে দিন পার করছি, টেবিল ভর্তি খাবার সামনে নিয়ে খেতে বসছি, নরম বিছানায় ঘুমাচ্ছি, বাচ্চাকে কোলে নিচ্ছি-আমরা কী ভাবি, যদি আমি থাকতাম গাজায়? যদি আমার সন্তান থাকত সেই ধ্বংসস্তূপে, আমি কী করতাম? যদি আমার মা, ভাই, পরিবারের কেউ সেখানে বোমায় উড়ে যেত-আমি কী বলতাম আল্লাহ্কে? আমি হয়তো কাঁদতাম আর বলতাম, ‘হে আল্লাহ্, দুনিয়ার মানুষ তো দেখল, তবুও কিছু করল না। আপনি এদের বিচার করুন।’ আমি হয়তো আর্তনাদ করে বলতাম, ‘হে আল্লাহ্, ওরা পারত সাহায্য করতে, পারত প্রতিবাদ করতে, পারত অবরোধ ভাঙতে, কিন্তু চুপ ছিল। আপনি ওদের প্রশ্ন করুন।’ হয়তো এও বলতাম ‘হে আল্লাহ্, আমার সন্তান তো শুধু একটু নিরাপদ ঘুম চেয়েছিল। কিন্তু এই পৃথিবী তাকে সেটা দেয়নি। আপনি কি এর বিচার করবেন না?’
একজন পিতা যেমন সন্তানের জন্য ভালো জীবন চায়, নিরাপত্তা চায়, শান্তির ঘুম চায়-তেমনি গাজার শিশুরাও তো কারও সন্তান। ওরা কি শিশু নয়? ওদের কি কোনো অধিকার নেই শান্তিতে বাঁচার? আমরা আমাদের সন্তানকে যেভাবে আদর করি, হাসায়, ঘুম পাড়ায়-তেমনি গাজার মা বাবারাও তা-ই চেয়েছিল। তাহলে কেন ওদের ঘুমে বোমার শব্দ, কেন ওদের খেলনায় রক্তের ছাপ? এই প্রশ্ন কেবল আবেগের নয়, এটা ন্যায়বোধের প্রশ্ন। আর এই প্রশ্ন থেকে মুসলিম বিশ্বও মুক্ত নয়।
৫৭টি মুসলিম দেশ, যাদের অনেকের হাতে রয়েছে বিশাল সামরিক বাহিনী, অর্থনৈতিক শক্তি, কূটনৈতিক প্রভাব, তারা কী করছে? সম্মেলনে বসে বিবৃতি দিচ্ছে, কিন্তু গাজায় খাদ্য পৌঁছায় না সেই বিবৃতিতে। যুদ্ধ বন্ধ হয় না সেই নিন্দায়। অথচ, তারা চাইলে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে পারত, তারা চাইলে জাতিসংঘে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারত, তারা চাইলে যুদ্ধাপরাধীর নাম প্রকাশ করে নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারত, তারা চাইলে একটি বিমানঘাঁটি খুলে মানবিক করিডোর তৈরি করতে পারত। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেইÑ সবই কাগজে, বিবৃতিতে, ফেসবুকে, লোক দেখানো সমবেদনা, নিস্তেজ কণ্ঠে নিন্দা।
আন্তর্জাতিক আইনে নিরস্ত্র জনগণের উপর হামলা, চিকিৎসা কেন্দ্র ধ্বংস, পানি-বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া সবই যুদ্ধাপরাধ। গাজায় এসবের প্রতিটিই ঘটছে দিনের পর দিন, অথচ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো জোরালো পদক্ষেপ নেই। আন্তর্জাতিক আইনে মুসলিম দেশগুলো নিজেদের প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে এমন অবস্থায় ন্যূনতম মানবিক, কূটনৈতিক বা সামরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে পারে। রাষ্ট্রীয় চুক্তি, আন্তর্জাতিক হিউম্যানিটারিয়ান ল এর আওতায় ‘Responsibility to Protect’ বলে একটি রীতি আছে, যেখানে গণহত্যা ঠেকাতে অন্যান্য রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিতে পারবে। মুসলিম দেশগুলো যদি সত্যিই চায়, তাহলে আইন তাদের পাশে।
লেখিকা: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,
অরগানাইজেশন ফর নীড আস
ই-মেইল: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

জাতীয় স্বার্থে দূরদর্শী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য সবার প্রতি জামায়াত আমিরের আহবান

বেলগোরোড, কুরস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনা

সুনাম হারাচ্ছে এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলো

চীনের মধ্যস্থতায় ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান

বিশাল বহর নিয়ে ৩১ মে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী

কাতারের কাছ থেকে বিলাসবহুল জেট গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প

মাওবাদী নেতাসহ ৩০ জনকে হত্যা করেছে ভারত : বিরোধী দলগুলোর নিন্দা

গণ-অভ্যুত্থানের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা দিল সেনাবাহিনী

অধ্যাপক ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’ : নাহিদ ইসলাম

ঈদের আগেই বাজারে মিলবে যেসব নতুন নোট

প্রধান উপদেষ্টার কাছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের স্মারকলিপি

জানতে দেয়া হয়নি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজারে লেনদেন সূচক বেড়েছে

কালোবাজারি রোধে কঠোর রেল

বিদেশে খেলনার বাজার ৪০ হাজার কোটি টাকা

অবৈধ রেলিক সিটিতে রাজউকের অভিযান, কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ ৫ দফা দাবি গণ অধিকার পরিষদের

দেশের সংকটময় যেকোনো পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন জিয়া পরিবার -ব্যারিস্টার অমি

বন্দরে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

চালককে হাতুড়িপেটা করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই