ফুটপাত দখল ও পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করতে হবে
১০ মে ২০২৫, ১২:২১ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৫, ১২:২১ এএম

চাকরিসূত্রে অবস্থান করছি বিসিএসআইআর-এর আবাসিক কোয়ার্টারে। বাটা সিগন্যালের গা ঘেঁষে অবস্থিত এই আবাসিক এলাকাটির একপাশে সেন্ট্রাল রোড, ল্যাবএইড, সিটি কলেজ অন্যপাশে এলিফ্যান্ট রোড ও বাটা সিগন্যাল। আবাসিক এলাকা থেকে এসব ভিন্ন ভিন্ন দিকে বের হওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন গেট রয়েছে। অফিসের সাথে লাগোয়াভাবে আবাসিক কোয়ার্টারটির ভিতরে বড় খেলার মাঠ, বাচ্চাদের ডে কেয়ার, বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আছে। তবে একজন নতুন মানুষের কাছে এত কিছুর আধিক্য কিন্তু কোয়ার্টারের ভিতরে প্রবেশ ব্যতীত বাইরে থেকে অনুধাবন করা বেশ কঠিন। অর্থাৎ বাটা সিগন্যাল, কিংবা সাইন্স ল্যাবের মোড় বা সেন্ট্রাল রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কেউই এটা সহজে বুঝতে পারেন না। ভিতরে বড়-ছোট মিলিয়ে বেশ কিছু বৃক্ষরাজি এই আবাসিক এলাকাকে আরও প্রাণবন্ত করেছে। তাই হঠাৎ নতুন কেউ ভিতরে প্রবেশ করলে একটু অবাকই হবে বৈকি। বিশেষ করে চারপাশের যান্ত্রিক কোলাহলপূর্ণ শহরের মধ্যে জায়গাটি এক টুকরো শান্তির নীড় বললেও ভুল হবে না।
অফিস ছাড়াও দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে উল্লেখ্য আশপাশের প্রতিটি স্থানে যাওয়া লাগে। যেমন, বাচ্চার ড্রয়িং এবং গিটার ক্লাসের জন্য আলাদাভাবে সপ্তাহের দুইদিন গ্রীনরোডে, জামাকাপড় কিনতে হলে এলিফ্যান্ট রোড অথবা নিউমার্কেট, কাঁচাবাজার কিংবা মুদিবাজারের জন্য হাতিরপুল, আর ছুটির দিনে কোথাও পরিবার নিয়ে বের হওয়া মানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ধানমন্ডি লেককেই বেছে নিই। তবে উল্লেখিত সব জায়গায় বিশেষ কোনো কারণ ব্যতীত বেশিরভাগ সময়ে পায়ে হেঁটে যাওয়াটাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এই পায়ে হেঁটে যাওয়ার ভিতরে অবশ্য আমি কিছুটা স্বস্তি বোধ করি। কেননা, যানজটে আটকে থাকার সমস্যা নেই আবার হাঁটাহাঁটিতে অল্পস্বল্প উপকারিতাও আছে। কিন্তু হেঁটে যেতে যে সমস্যার সম্মুখীন হই সেটা বেশ বেদনাদায়ক বলতে হবে। শহরে বসবাসকৃত মানুষের তুলনায় একেবারে সংকীর্ণ ও অপ্রতুল যে ফুটপাত বা পথচারী হাঁটার রাস্তা আছে সেটি হকার্স বা চা-সিগারেটের দোকানের দখলে। সমস্ত ফুটপাত হয়ত ফাস্টফুড, না হলে ভ্যানে করে বিক্রিরত ভাজাপোড়া, চা-নাস্তা, ফল-ফলাদি, কাপড়চোপড়, গৃহস্থালির টুকিটাকি, সবজি এমনকি কিছু খাবার হোটেলসহ নানাবিধ স্থায়ী অথবা অস্থায়ী দোকানে পরিপূর্ণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো ফুটপাতের উপরে এসব দোকান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। আবার কিছু কিছু ভ্যান জাতীয় এক ধরনের চাকাযুক্ত গাড়িতে করে রাস্তার উপর বসিয়ে ফুটপাতের দিকে মুখ করে পুরোদমে বেচাবিক্রি চলছে।
দোকান থাকলে ক্রেতা থাকবে। আবার যেহেতু ঢাকা শহরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৬/৭ গুণ মানুষ বেশি বাস করে সেহেতু এসব দোকানের ক্রেতাও ঐ ৬/৭ গুণ বেশি হবে সেটাও স্বাভাবিক। কিন্তু এটা মানতে হবে যে, রাস্তার ফুটপাত কখনো চা-নাস্তা, ফল, সবজি, গৃহস্থালির টুকিটাকি কিংবা কাপড়ের দোকানের জন্য নয়। জনসংখ্যার ভারে নুইয়ে পড়া একটা শহরের সমস্ত রাস্তা যখন যানজটে আটকে থাকে তখন একমাত্র ফুটপাতই জনগণের হাঁটার ভরসা থাকে। কিন্তু সেই ফুটপাতও এখন আর মানুষ হেঁটে চলার কাজে ব্যবহার করতে পারে না। পুরুষ মানুষ তাও গায়ের জোরে ভিড় ঠেলে একটু আধটু ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে চলতে পারে কিন্তু বাচ্চা এবং মহিলাদের চলার জন্য এসকল ফুটপাত একেবারেই ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। তার সাথে সিগারেটের ধোঁয়া তো আছেই। ক্রেতারা যখন ফুটপাত দখল করে সিগেরেট ফুঁকতে থাকে তখন সেখান থেকে অধূমপায়ী ব্যক্তিদের জন্য যাতায়াত বেশ কষ্টদায়ক। ল্যাব এইড থেকে গ্রীনরোড হয়ে পান্থপথের সিগন্যাল এবং বাটা সিগন্যাল থেকে নিউমার্কেট এই দুইটা রোডের চিত্র বড়ই ভয়াবহ। তবে সব ফুটপাতের অবস্থা প্রায় একই। এই দুইপথে যেহেতু আমার বেশি যাওয়া পড়ে সেজন্য এই দুই পথকে আমার কাছে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। সিগারেটের ধোঁয়া কখনো একজন অধূমপায়ী এবং শিশুর জন্য স্বস্তিকর নয়। ধূমপান না করেও যদি এসকল ফুটপাত দিয়ে দিনে একবার আসা-যাওয়া করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে ঐ অধূমপায়ী ব্যক্তি একজন নিয়মিত ধূমপায়ী ব্যক্তির চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। মাঝেমধ্যে এমনও হয়েছে, বেশ বিরক্তির ভঙ্গিতে এসকল ধূমপায়ীদের সরে গিয়ে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেছি। অনেকেই কথা শুনে সাইড দিয়েছে আবার অনেকেই তাদের দম্ভ নিয়ে নির্দ্বিধায় দাঁড়িয়ে ধূমপান করে যায়। তবে ইদানিং অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেও এই একই অবস্থা খেয়াল করেছি। এসব ঘটনার পুনরাবৃতি দেখেছি কিছু জায়গায় ঘুরতে গিয়েও। যেমন, গেল সপ্তাহে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে দেখি পুরো গোল চত্বর ধূমপায়ীদের দখলে। সেখানে একজন অধূমপায়ী ব্যক্তির কোনভাবেই দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকার পরিবেশ নেই। তবে হ্যাঁ, পাবলিক পরিবহনে কেউ ধূমপান করলে সেখানে যাত্রীদের চাপে তার উদ্দেশ্য সাধিত হয় না। কিন্তু পাবলিক প্লেস কিংবা ফুটপাতে সেটা সম্ভবপর নয়। কেননা সেখানে ধূমপায়ীর সংখ্যাই অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি। তাই কেউ ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার হেনস্তা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থেকে যায়। এজন্য হয়ত কেউ প্রতিবাদও করে না।
এই বিষয় নিয়ে কোনো আইন আছে কিনা সেটা একটু জানার চেষ্টা করেছিলাম। পরবর্তীতে জানতে পারলাম, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনে বলা আছে, পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করা যাবে না। যদি এ বিধান কেউ লঙ্ঘন করেন, তবে ৩০০ টাকা অর্থদ- হবে। পুনরায় একই অপরাধ করলে দ্বিগুণ হারে দ- হবে। পাবলিক প্লেস বলতে আইনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও বেসরকারি অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, সমুদ্রবন্দর ভবন, নৌবন্দর ভবন, রেলস্টেশন ভবন, বাস টার্মিনাল ভবন, প্রেক্ষাগৃহ, প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণি ভবন, চতুর্দিকে দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ রেস্টুরেন্ট, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক, মেলা বা পাবলিক পরিবহনে আরোহণের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সারি, জনসাধারণ কর্তৃক সম্মিলিতভাবে ব্যবহার্য অন্য কোনো স্থান অথবা সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, সময়-সময় ঘোষিত অন্য যেকোনো বা সব স্থান উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ জনসমাগম স্থানে পরোক্ষভাবে ধূমপানের প্রভাব যেন না পড়ে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি করা হয়েছে ২০০৫। শুরুতে এই আইনের প্রয়োগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। জরিমানাও করা হতো। তবে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, এখন আর এই আইনের প্রয়োগে সরকারের তেমন কোনো চেষ্টা নেই। এমনকি সচেতনতা কর্মসূচিও তেমন একটা দেখা যায় না।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০১৫-তে কোথায় ধূমপান করা যাবে, তা উল্লেখ করা আছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, ধূমপানমুক্ত এলাকাকে ধূমপান এলাকা থেকে আলাদা রাখতে হবে। ধূমপানমুক্ত এলাকায় যাতে ধূমপানের স্থানের ধোঁয়া প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য কোনো স্থান চিহ্নিত বা নির্দিষ্ট করা হলে সে স্থানের মধ্য দিয়ে কোনো অধূমপায়ীকে যেন যাতায়াত করতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। যাইহোক আইনে কিন্তু এগুলো পরিষ্কার বলা আছে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন বিপণি বিতান বসিয়ে রমরমা ব্যবসা করা যেমন আইনে নেই আবার এসব স্থানে ধূমপান করার নিয়ম ও আইনে নেই। যদিও আমাদের দেশে আইনের বাস্তব প্রয়োগ দেখা যায় না। আর এ কারণেই এসব নিয়ম বহির্ভূত কাজকর্ম এখন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্যই বর্তমান সরকারকে সোচ্চার হতে হবে। শহরের যেসকল ফুট ওভারব্রিজ রয়েছে সেগুলোর কোনটায় হকার্স মুক্ত নয়। এগুলো পথচারী পারাপারের উদ্দেশ্যে নির্মিত হলেও হাতে গোনা কয়েকটি ওভারব্রিজ জনগণের ব্যবহার করতে দেখা যায়। বাকি সব ধূমপায়ী, হকার্স, ছিনতাইকারী, ভিখারি দিয়ে পরিপূর্ণ। কিছু কিছু ওভারব্রিজ পুরোপুরি ফুটপাতে বসবাকারীদের দখলে। অনেক ওভারব্রিজ এতটায় নোংরা থাকে যে সেটি দিয়ে মানুষ পারাপারের আদৌ উপযোগী নয়। এগুলোর দিকেও নীতি নির্ধারকদের নজর দেয়া উচিত। এগুলো দখল মুক্ত করে পথচারী পারাপারের জন্য উপযুক্ত করা বাঞ্ছনীয়।
ফুটপাতের যত্রতত্র ভ্রাম্যমাণ এসব দোকান যাতে বসতে না পারে সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত। এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনের প্রয়োগ না দেখালে ফুটপাত দখল দিন দিন বহু সমস্যার সম্মুখীন করছে। একদিকে যেমন পথচারীদের ক্ষতি করছে, অন্যদিকে ফুটপাতসহ রাস্তার অনেকাংশ দখল হওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটে আটকে পড়া ব্যক্তিদের ও ফুটপাতের ধূমপায়ী ব্যক্তিদের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শিশু, বয়স্ক, নারী-পুরুষসহ সকল পথচারী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান বন্ধ করা উচিত। ফুটপাত দখলমুক্ত করা অতীব জরুরি। ধূমপায়ীরা যেহেতু সহজে ধূমপান ত্যাগ করতে পারে না সেহেতু তাদের জন্য বিকল্প পথ বের করা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে এমন কিছু স্থান নির্বাচন করা যেতে পারে যেখানে যান চলাচল করে না কিংবা জনগণ যেখানে শুধুমাত্র ধূমপান করতে যায়। আবার এমন হতে পারে কিছু এলাকায় ফাস্টফুড তথা স্ট্রিট ফুডের আলাদা পসরা বসানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেমনটি হয়েছে ইস্কাটন গার্ডেন রোডের শেষ প্রান্ত বোরাক টাওয়ার সংলগ্ন স্থানে। এই জায়গাটিতেও কিছুটা সমস্যা আছে। যেমন এর পাশেই সিটি কর্পোরেশনের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নামক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি স্টেশন অবস্থিত। এই এসটিএস-এর পাশে ফাস্টফুড তথা স্ট্রিট ফুডের দোকান বড্ড বেমানান। কিন্তু এটা ভেবে ভালো লাগে যে, এখানে মোটামুটি সন্ধ্যার পর একটু বিদেশ বিদেশ ভাব চলে আসে। কেননা, উন্নত দেশগুলোর ফাস্টফুড তথা স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলো এই ধরনের কোন গলিতে বেশিই অবস্থিত হয়। যেখানে যানবাহন চলাচল করে না। সেসব গলিতে শুধুমাত্র জনগণ জড়ো হয় দেশীয় এবং বিদেশীয় বিভিন্ন নামকরা ফাস্টফুড তথা স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নেওয়ার জন্য। সন্ধ্যার পর থেকে এসব স্থান জনাকীর্ণ হয়ে পড়ে। সবাই ব্যস্ত থাকে নিজ নিজ পছন্দের খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য।
চীনের ৪ বছরের প্রবাস জীবনে আমরাও এমন বহু ফাস্টফুড তথা স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নিয়েছি। তবে এসকল পাবলিক প্লেস সম্পূর্ণ ধূমপান মুক্ত। ভিড় আছে যথেষ্ট কিন্তু ধূমপান নেই, সিগারেটের ধোঁয়া নেই, তেমন হৈ চৈ ও চোখে পড়ত না। সবাই দেখতাম এসে মজা করে খেয়ে বাসায় ফিরত। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। একটি সভ্য দেশের সুযোগ সুবিধা পেতে গেলে অবশ্যই সভ্য দেশের জনগণের ন্যায় সবারই সভ্য হতে হবে। সবার ভিতর এই সভ্যতার বীজ বপন করতে হবে। প্রতিটি পরিবার থেকে সভ্যতার সঠিক মাপকাঠি পরিবারের সব সদস্যদের আত্মস্থ করতে হবে। কেবলমাত্র তখনই দেশ সভ্য হবে। সেইসাথে দেশের সেবা সভ্য হবে। অন্যথায় শুধুমাত্র সরকারের পক্ষ থেকে সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে যখন জনগণ সচেতন হবে। অন্যথায় আমরা কখনো উন্নত দেশের স্বাদ পাবো না। তবে একথা অনস্বীকার্য যে মানুষের অসাধ্য কোনো কিছুই নেই। আমরা ইচ্ছা করলেই সবকিছু পারি। তাই আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের অনুধাবন করতে হবে পাব্লিক প্লেস মানে সেটা জনগণের সম্পত্তি। জনগণ সেখানে অবাধে চলাচল করতে পারবে। আমাদের সৃষ্ট কোনো কাজ যেন মুষ্টিমেয় জনগণের কোনো সমস্যার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।
পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে ধূমপায়ী ব্যতীত আশপাশের পথচারীদের নানা ধরনের শারীরিক ও সামাজিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে আশপাশের মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ ও ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও অ্যাঁজমার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। এটি সামাজিক পরিবেশ দূষিত করে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান আইনের চোখে অপরাধ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা অনেক দেশে আইনত নিষিদ্ধ। ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে জরিমানা হতে পারে। তাই, নিজের এবং অন্যের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
ধলড়ুসড়হফধষ৩২৫@ুধযড়ড়.পড়স
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভিডিও করার অভিযোগ, রাজবাড়িতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

সরকারি অফিস-ব্যাংক আজ খোলা

ওড়িশায় বজ্রপাতে একদিনেই ৯ জনের মৃত্যু

বিবর্ণ ইউনাইটেডকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থে চেলসি

পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত

আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ

এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন, শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি

জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করা কর্মকর্তাদের শরয়ি দায়িত্ব : আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ৫টি চুক্তি স্বাক্ষর, নতুন যুগের সূচনা

যুক্তরাষ্ট্রে ঝড়ের তাণ্ডবে নিহত অন্তত ৪

ফের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ১১৫ ফিলিস্তিনি

সাভারে ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সচিত্র দলিল

এনসিপির ‘জাতীয় যুবশক্তি’র ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ওড়ার পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা, ঢাকায় জরুরি অবতরণ

ফারাক্কা বাঁধ এদেশে কারবালা তৈরি করেছে -উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মু’মিন হওয়ার জন্য শরিয়তের শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরতে হবে : জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

বিপ্লবের পরে বাংলাদেশ : সংস্কারের পথে আশা, আন্দোলন ও আলোচনা