আবদুল হামিদের দেশত্যাগে প্রশ্নবিদ্ধ সরকার

Daily Inqilab ইনকিলাব

১০ মে ২০২৫, ১২:২১ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৫, ১২:২১ এএম

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে পরপর দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে থাকা আবদুল হামিদ গত বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। তার সঙ্গে ছিল ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডা. নওশাদ খান। আবদুল হামিদ জুলাই হত্যাকা-ের আসামী হয়েও কীভাবে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ করে নির্বিঘেœ দেশ ছাড়তে পারলেন, তা এখন ‘টক অফ দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। ছাত্রদের রাজনৈতিক সংগঠন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মসহ রাজনৈতিক অঙ্গণে এ নিয়ে তোলপাড় ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দিনাজপুর সফরকালে দুই দফা ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। সে সময় তিনি আবদুল হামিদের দেশ ছেড়ে যেতে যারা সহায়তা করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার কথাও বলেন। ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার, দায়িত্বে অবহেলার জন্য এসবি ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত, এসবির এক এসআই এবং কিশোরগঞ্জে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি এক ধরনের লুকোচুরিতে পরিণত হয়েছে। এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেন অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ বিষয়টি জানেন না। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সব কাজের একনিষ্ঠ দোসর ও সহযোগী কোনো ধরনের বাধা ছাড়া দেশত্যাগ করছে, তা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের অগোচরে হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের বিশ্বাস করার কারণ নেই।

খুনের মামলার আসামী হলেও আবদুল হামিদ দেশে নিরাপদেই ছিলেন। তার কেশাগ্রও স্পর্শ করা হয়নি। এ সময়ের মধ্যেই তিনি যে, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ও ম্যানেজ করে দেশত্যাগ করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। তার চলে যাওয়ার পেছনে যে, প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের ‘দেখেও না দেখার ভান’ করার নীতি ছিল, তা কারো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। তাকে পার করে দিয়ে এখন হায় হায় করা হচ্ছে। কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করে লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট মোহামম্মদ সাহাবুদ্দিনকে দায়ী করছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, তাদেরকে ‘এসকেপ গোট’ বানানো হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিমানবন্দর দিয়ে একজন সাধারণ মানুষ বিদেশে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা দেশ ত্যাগের বিধিনিষেধ আছে কিনা, তা ইমিগ্রেশন খতিয়ে দেখে। ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে তাদের কাছে সব ধরনের তথ্য থাকে। আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে, এটা দেশের মানুষ জানে। ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরত ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জানবে না, তা অবিশ্বাস্য। তবে এক্ষেত্রে, তারা জানলেও উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পেলে তাদের করার কিছু থাকে না। এই নির্দেশ কারা দিয়েছে, তাই এখন দেখার বিষয়। সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন আসে, যে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, সে সরকার কাদের নিয়ে দেশ চালাচ্ছে? প্রশাসনে কারা আছে? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মো. খোদা বখস চৌধুরীই বা কি করছেন? তারা কি জানতেন না? অন্যদিকে, ডিজিএফআই-ও তার ব্যর্থতা এড়াতে পারে না। কিংবা জেনেও পদক্ষেপ নেয়নি। পর্যবেক্ষকদের মতে, এ ঘটনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের না জানার কারণ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ রয়েছে, সে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেড় দশকে সাজানো প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিজের আয়ত্তে আনতে পারেনি। তার দোসর কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এই অবস্থায় প্রশাসন চলে, তাহলে ফ্যাসিস্টদের দোসররাই প্রকৃতপক্ষে দেশ পরিচালনা করছে এবং তাদের কারসাজিতেই আওয়ামী লীগের অপরাধীরা নির্বিঘেœ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, তা বলতেই হবে। ৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে থাকা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও শত শত নেতা এভাবেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে এখনো ৯০ শতাংশই ফ্যাসিবাদের দোসর। ছাত্রদের সংগঠন এনসিপিও এ ধরনের অভিযোগ করে আসছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের উপদেষ্টাদের নিয়েও নানা সমালোচনা রয়েছে। তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের বেশিরভাগই এনজিও বা ভাড়া করে আনা সদস্য। এমনকি, দ্বৈত নাগরিক দিয়ে সংস্কার কমিশন গঠন করা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে। গতকাল ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর লিড স্টোরিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ব্যবহার করা নিয়ে সমালোচিত হওয়ার নানা তথ্য উঠে এসেছে। তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণের বিভিন্ন সুবিধা লাভের মধ্যে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্টের জনশক্তি রফতানির লাইসেন্স পাওয়া, গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেটের অনুমোদন, গ্রামীণ ব্যাংকের ট্যাক্স সুবিধা লাভ ইত্যাদি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরপরই তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইন লঙ্ঘন এবং মানি লন্ডারিং মামলা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে ডিসমিস করে দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ক্ষমতায় থেকে নিজে ও নিজের গড়া প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা লাভ ও সরকারে নিজের লোকদের বসিয়ে স্বজনপ্রীতির কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা দ্রুত কমছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দশ মাস চলছে। গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ও পালিয়ে যাওয়ার পর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে জনআকাক্সক্ষা পূরণে যে ধ্বংস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, সে আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারেনি। মানুষের জীবনযাপন সহজ ও আয় বৃদ্ধি করা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, বেকারত্ব কমিয়ে আনা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রফতানি সহজ করা, শিল্পকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, কারখানা বন্ধ হওয়া ঠেকানো, বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের উপর অন্তর্বর্তী সরকার দাঁড় করাতে পারেনি। উল্টো, এর সবকিছুর সূচকই নেতিবাচকতার দিকে ধাবিত। দারিদ্র্যসীমা আরও নিচে নেমেছে। সরকারের এদিকে মনোযোগ আছে বলে মনে হয় না। এতে সরকারের ওপর থেকে জনসাধারণের আস্থা কমে যাচ্ছে, তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ হচ্ছে। উপদেষ্টাদের খুব কমই রয়েছেন, যারা সিগনিফিকেন্ট বা দৃশ্যমান কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন। যতই দিন যাচ্ছে, সরকারের ইমেজ ও পারফরমেন্সের সূচক নি¤œগামী। এদিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের পুরো মনোযোগ সংস্কারের দিকে। বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি বরাবরই বলে আসছে, রাষ্ট্র সংস্কার একটি দীর্ঘ ও চলমান প্রক্রিয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিৎ, প্রয়োজনীয় যেটুকু সংস্কার দরকার, তা দ্রুত করে নির্বাচন দিয়ে দেয়া। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করা বা ক্ষমতায় থাকাকে দীর্ঘায়িত করা কাম্য নয়। পর্যবেক্ষকরাও তাই মনে করছেন। কারণ, সরকার দেশ যথাযথভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। চারদিক থেকে তার ব্যর্থতা ফুটে উঠছে। সরকারের হানিমুন পিরিয়ড অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এ সময় শেষে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভালো রাখার যে সক্ষমতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল, তা দেখাতে পারছে না। অন্যদিকে, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র সমন্বয়কদের জনপ্রিয়তাও দিন দিন কমছে। এ প্রেক্ষিতে, সরকারের মূল কাজ হওয়া উচিৎ, নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব দেয়া।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত কারো জন্যই কল্যাণকর নয়
নারীবিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদন সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে
শেখপাড়ায় লোডশেডিং
আরও
X
  

আরও পড়ুন

ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভিডিও করার অভিযোগ, রাজবাড়িতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ভিডিও করার অভিযোগ, রাজবাড়িতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

সরকারি অফিস-ব্যাংক আজ খোলা

সরকারি অফিস-ব্যাংক আজ খোলা

ওড়িশায় বজ্রপাতে একদিনেই ৯ জনের মৃত্যু

ওড়িশায় বজ্রপাতে একদিনেই ৯ জনের মৃত্যু

বিবর্ণ ইউনাইটেডকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থে চেলসি

বিবর্ণ ইউনাইটেডকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থে চেলসি

পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত

পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত

আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ

আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ

এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন, শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি

এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন, শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি

জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করা কর্মকর্তাদের শরয়ি দায়িত্ব : আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করা কর্মকর্তাদের শরয়ি দায়িত্ব : আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ৫টি চুক্তি স্বাক্ষর, নতুন যুগের সূচনা

আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ৫টি চুক্তি স্বাক্ষর, নতুন যুগের সূচনা

যুক্তরাষ্ট্রে ঝড়ের তাণ্ডবে নিহত অন্তত ৪

যুক্তরাষ্ট্রে ঝড়ের তাণ্ডবে নিহত অন্তত ৪

ফের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ১১৫ ফিলিস্তিনি

ফের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ১১৫ ফিলিস্তিনি

সাভারে ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

সাভারে ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সচিত্র দলিল

‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সচিত্র দলিল

এনসিপির ‘জাতীয় যুবশক্তি’র ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

এনসিপির ‘জাতীয় যুবশক্তি’র ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ওড়ার পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা, ঢাকায় জরুরি অবতরণ

ওড়ার পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা, ঢাকায় জরুরি অবতরণ

ফারাক্কা বাঁধ এদেশে কারবালা তৈরি করেছে -উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

ফারাক্কা বাঁধ এদেশে কারবালা তৈরি করেছে -উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মু’মিন হওয়ার জন্য শরিয়তের শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরতে হবে : জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মু’মিন হওয়ার জন্য শরিয়তের শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরতে হবে : জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

বিপ্লবের পরে বাংলাদেশ : সংস্কারের পথে আশা, আন্দোলন ও আলোচনা

বিপ্লবের পরে বাংলাদেশ : সংস্কারের পথে আশা, আন্দোলন ও আলোচনা