উচ্চ মূল্যস্ফীতি দারিদ্র্য বাড়াচ্ছে
২৪ মে ২০২৫, ১২:৩৩ এএম | আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ১২:৩৩ এএম

দেশে মূল্যস্ফীতির হার, বিশেষ করে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক। এ অভিমত বিশ্ব ব্যাংকের। গত ডিসেম্বরে ঢাকায় আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপা জর্জি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংস্থাটি শঙ্কিত’। এই অবস্থায় আইএমএফের চাপে মার্কিন ডলারের মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে পণ্যের মূল্যও বেড়ে যাবে। খাদ্য পণ্যের মূল্য অধিক হওয়ায় দেশের বেশিরভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে প্রণীত বিশ্ব ক্ষুধা সূচক-২০২৪ মতে, ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৪তম। প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা পীড়িত দেশ বলা হয়েছে। বিবিএস’র তথ্য অনুযায়ী, ‘গত মার্চ-২০২৫ মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৩৫ শতাংশ। গত এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০.২৬ শতাংশে’। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গত ৮ মে বলেছেন, ‘এক সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.৫ শতাংশ, এখন তা নেমে এসেছে ৮.৫ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৫ শতাংশের বেশি, এখন তা প্রায় ৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির ধারাবাহিকতা ও সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে দেশে মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু যে হারে দেশে খাদ্যের মূল্য বেড়েছে সে হারে মানুষের উপার্জন বাড়েনি। বরং অনেকের আয়-উপার্জন কমে গেছে। বেকারত্বও বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের ৭৩% মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য ক্রয়ের সক্ষমতা নেই। ফলে দেশে পুষ্টি হীনতার হার বাড়ছে। উপরন্তু দারিদ্র্যও বাড়ছে। বিশ্ব ব্যাংক সম্প্রতি বলেছে, ‘বাংলাদেশে নতুন করে ১.৩০ কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে যেতে পারে’। উপরন্তু দেশের খাদ্যের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অপরদিকে, দেশে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাচ্ছে। তাতে গড় শিক্ষার হার কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ দেশে খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে নানাবিধ ক্ষতি হচ্ছে।
দেশে খাদ্য পণ্যের মূল্য অধিক হওয়ার নানাবিধ কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে: আমদানি নির্ভরতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে কৃষিপণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের। ভোজ্য তেল হিসাবে নিলে তা আরো ২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে যাবে। জার্মান ভিত্তিক স্ট্যাটিস্টারের তথ্য মতে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৫.২ বিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্য আমদানি করতে হবে। বছরে প্রায় ০.৬৮ শতাংশ হারে কৃষি পণ্যের আমদানি বাড়ছে। অবশ্য খাদ্য পণ্যের মূল্য অধিক হওয়ার আরো যেসব রয়েছে। তার মধ্যে মার্কিন ডলারের উচ্চ মূল্য, টাকার মানের অনেক অবনমন, বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর অধিক মুনাফা গ্রহণ, সরকারিভাবে বাজার তদারকির অভাব, বাজার সিন্ডিকেটধারীদের শাস্তি না হওয়া, সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে নিত্য পণ্য সরবরাহ না করা, গরিব ও শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় রেশনিং ব্যবস্থা না থাকা, বিপুল পরিমাণে খাদ্য পণ্য অপচয় ও নষ্ট হওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
যেকোন মূল্যে খাদ্য পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক করতে হবে। সে জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে। এ জন্য সব ফসলের ক্ষেত্রে সর্বদা উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহার, কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ, স্বল্প মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। উপরন্তু সময় মতো চাহিদা মাফিক খাদ্য আমদানি ও মজুদ, সরকারিভাবে নিয়মিত বাজার তদারকি এবং অধিক মুনাফাখোরদের কঠোর শাস্তি প্রদান, গরিব ও শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থার মধ্যে এনে নিত্য পণ্য প্রদান, টিসিবির ট্রাক সেল এবং ফ্যামেলি কার্ডের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। তবেই খাদ্য মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে। খাদ্যের মানও নিশ্চিত করতে হবে।
স্মরণীয় যে, অতিরিক্ত ফসল ফলানো ও অধিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের গবেষণা রিপোট মতে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১ শতাংশ হারে মাটির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস পাবে। ফাও বলেছে, বাংলাদেশে ২০৫০ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। এই অবস্থায় দেশে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য চাষযোগ্য সব জমিতে উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহার করতে হবে। সমগ্র কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও প্রযুক্তিকরণ করতে হবে। উপরন্তু তা পরিচালনা ও মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ লোক তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি প্রয়োজন মোতাবেক কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে হবে। স্বল্পমূল্যে সব কৃষি উপকরণ কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে স্বল্প সুদে ও বিনা ঝামেলায়। সব ফসলের ভরা মওসুমে তথা ফুল সিজনে কৃষি পণ্য ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করতে হবে। তবেই কৃষক লাভবান হবে। নতুবা কৃষকরা মূল্য কমজনিত লোকসান থেকে রক্ষা পাবে না। বলা বাহুল্য, কৃষকের আর্থিক উন্নতি না হলে কৃষি খাতের উন্নতি টেকসই হবে না। কৃষক নিরুৎসাহী হয়ে পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে যাবে, যা দেশের জন্য হবে চরম ক্ষতিকর। উল্লেখ্য যে, সমলয় ও সমবায় ভিত্তিক চাষ, ছাদ বাগান এবং চাহিদা মাফিক ফসল ফলানো কৃষি ও কৃষকের জন্য মঙ্গলজনক। সম্প্রতি পানিতে ভাসমান কৃষির প্রচলন শুরু হয়েছে। ফলনও ভালো হচ্ছে। বাংলাদেশে বহু নদী, খাল-বিল ইত্যাদি রয়েছে। এসবের পানিতে ভাসমান কৃষি এবং সর্বত্রই শস্য বহুমুখীকরণ করতে হবে। তাহলে দেশে কৃষির উৎপাদন বেড়ে যাবে। চীন দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমুদ্র ভিত্তিক আধুনিক খামার গড়ে তুলছে। দেশটির ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ও স্থলজ কৃষি জমির ওপর চাপ কমাতে এটা করছে বলে গত ৫ এপিল এক দৈনিকে প্রকাশ। বাংলাদেশের বিশাল উপকূল রয়েছে। সেখানে চীনের মতো সমুদ্রভিত্তিক কৃষি করতে পারলে খাদ্য উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে। এই সঙ্গে সামুদ্রিক মৎস্য ও অন্য সম্পদ আহরণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শুধু ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য খেলেই চলবে না। পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
দেশে সরকারিভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল। মানও খারাপ। তাই অতি ধনীরা বিদেশে চিকিৎসা করায়। তাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হয়। আর্থিক সক্ষমরা দেশের বেসরকারি চিকিৎসা গ্রহণ করে, যার ব্যয় অত্যধিক। তাই চিকিৎসা করাতে গিয়ে বছরে অনেক মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ে। বিআইডিএস-এর ২০২৪ সালের রিপোর্ট মতে, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে দেশের ৬১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে, যা মোট দারিদ্র্যের ৩.৭ শতাংশ। এ ছাড়া, চিকিৎসা সেবা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৬১ শতাংশ মানুষ অর্থ সংকটে পড়ে। প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ ঋণ করে স্বাস্থ্যসেবা নেয়। তাই সরকারিভাবে স্বল্প ব্যয়ে সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা আবশ্যক। শিক্ষার ক্ষেত্রেও তথৈবচ। সরকারিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা সেকেলে ও কম। মানও খারাপ। তাই অতি ধনীরা সন্তানদের বিদেশে শিক্ষা প্রদান করে। তাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। আর সচ্ছল ব্যক্তিরা সন্তানদের দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রদান করে, যার ব্যয় অনেক। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হরেক রকমের রয়েছে। তাতে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। যা দূর করা দরকার। সরকারিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ও মান বৃদ্ধি করা হলেই সেটা হবে। দেশে বেসরকারি পরিবহন খাত খুবই ব্যয় বহুল, যা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টদায়ক। তবে, সরকারি পরিবহনের ব্যয় কম। কিন্তু এর পরিসর সামান্য। তাই বেশিরভাগ মানুষ এর সুবিধা ভোগ করতে পারে না। তাই সরকারি পরিসর পর্যাপ্ত করতে হবে। নৌপথের ব্যয়ও খুব কম। দুর্ঘটনাও কম। তাই নৌপথে চলাচল ও পণ্য পরিবহন পর্যাপ্ত করতে হবে। এ জন্য দেশের সব নদী, খাল, বিলকে সংস্কার করতে হবে। স্বেচ্ছাশ্রমে করা কল্যাণকর। সরকারি খাতের চেয়ে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতের দাম বেশি। তবুও গত পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সরকারি বিদ্যুৎ প্লান্ট বন্ধ করে দিয়ে দলীয় কতিপয় লোকদের লুটপাট করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বেসরকারি ভাড়া কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা এবং ভারত থেকে উচ্চ মূল্যে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছিল। এতে বিদ্যুতের দাম বেড়ে গিয়েছে অনেক। তাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেটা কমানোর জন্য বহুবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চাহিদা মাফিক না হওয়ায় ব্যাপক লোডশেডিং করা হতো। তাতে উন্নতির চরম ক্ষতি হয়েছে। মানুষের জীবন যাত্রাও চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। বিদ্যুতের এই দুর্দশা এখনো রয়েছে। তাই বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে এবং সরবরাহ সার্বক্ষণিক করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন বন্ধ থাকা সব সরকারি বিদ্যুৎ প্লান্ট চালু করা এবং এ খাতের দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করা। নবায়নযোগ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি পরিবেশের জন্য কল্যাণকর এবং দেশে তার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। এভাবে সব ক্ষেত্রে কাজ করা হলে পণ্য মূল্য কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হবে। সাধারণ মানুষের কল্যাণ হবে। দারিদ্র্য কমে যাবে। দেশের উন্নতি হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

তিন সেঞ্চুরিতে ভারতের ৪৭১,পোপের ব্যাটে জবাব দিচ্ছে ইংল্যান্ড

উচ্চ আদালত খুলছে আজ

উচ্চ আদালত খুলছে আজ

ফরাসি সংস্থাকে তাড়িয়ে ইউরেনিয়াম খনি জাতীয়করণ করছে নাইজার

তুর্কি সাংবাদিক উজায় বুলুতের প্রবন্ধ প্রোপাগান্ডামূলক ও ভিত্তিহীন : প্রেস উইং

ওআইসি সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যের ডাক এরদোগানের

ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামী শক্তির ঐক্য অপরিহার্য

উৎসবমুখর পরিবেশে অভয়নগরে বিজ্ঞানমেলা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে : ঝিনাইদহে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান

হাতিয়ায় তাঁতীদল নেতার বিরুদ্ধে অন্যের জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

মৌলভীবাজার জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সভা

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

চৌদ্দ বা আঠারো মার্কা নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না- মাওলানা এটিএম মাসুম

"দখলদার দের বিরুদ্ধে আন্দোলন, খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠানের আন্দোলন"

এনবিআরে ফের কলম বিরতি

লক্ষ্মীপুরে ছালেহা হত্যার ক্লু ৬ দিনেও উদঘাটন হয়নি

সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

ওএসডি হলেন শরীয়তপুরের বিতর্কিত জেলা প্রশাসক

হিলি স্থলবন্দরের পানামাপোর্টের শ্রমিকদের কর্ম বিরতি পালন

হিলি স্থলবন্দর আন্দোলন প্রত্যাহার কাজে ফিরেছে শ্রমিকীরা