পরিবর্তীত বাংলাদেশে এলো কোরবানির ঈদ
০৩ জুন ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:০৬ এএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশে মুসলিম উম্মাহ্র সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম ঈদুল আযহা ফিরে এলো। এই ঈদ কুরবানির ঈদ বা বকরা ঈদ নামেও পরিচিত। কোনো কোনো মুসলিম দেশে এটি ঈদুজ্জোহা, ঈদুল কুরবান বা ঈদুল নাহর নামেও অভিহিত করা হয়। পবিত্র কুরআনুল কারিমে সরাসরি কুরবানি শব্দটির ব্যবহার লক্ষ করা যায় না, তবে ‘কুরবান’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আর হাদিসে কারিমায় ‘কুরবানি’ শব্দটি ব্যবহৃত না হয়ে ‘উযহিয়্যাহ্’ ও ‘যাহিয়া’ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ জন্যই কুরবানির ঈদকে ‘ঈদুল আযহা’ বলা হয়।
আরবি ‘কুরবান’ শব্দটি ‘ফারসি বা উর্দু ভাষায় ‘কুরবানি’ রূপে ব্যবহার করা হয়, যার অর্থ নৈকট্য। আর পারিভাষিক অর্থে ‘কুরবানি’ ঐ মাধ্যমকে বলা হয়, যার দ্বারা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করা যায়। প্রচলিত অর্থে ঈদুল আযহার দিন আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির লাভের উদ্দেশ্যে ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক যে পশু যবেহ করা হয়, তাকে কুরবানি বলা হয়। কুরবানি মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় ইবাদাত। ঈদের দিন প্রত্যুষে সূর্য উপরের দিকে উঠার সময়ে কুরবানি করা হয় বলে এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ও বলা হয়ে থাকে। যিলহজ্জ্ব মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে বিশ্ব মুসলিমগণ এই উৎসব পালন করে থাকেন। নবি (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ।’ (সহীহ্ মুসলিম ও সুনানে তিরমিযি)।
ঈদ আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নির্দেশিত। এ দিনের বিশেষ আমল হলো আল্লাহ্র ওয়াস্তে কুরবানি করা। এ দিনে কোনো মুসলমান নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর কুরবানি করা ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামায আদায় করুন এবং কুরবানি করুন।’ (সূরা আল কাউসার: ২)
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন, ‘সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমি কুরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেনো তারা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করে।’ (সূরা হাজ্জ: ৩৪)
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, আমাকে ইয়াওমুল আযহা’র আদেশ করা হয়েছে। (অর্থাৎ এ দিবসে কুরবানি করার আদেশ করা হয়েছে।) (মুসনাদে আহমদ: ৬৫৭৫)
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) মদিনার ১০ বছরের প্রতি বছরই কুরবানি করেছেন। (জামে তিরমিযি: ১৫০৭, মুসনাদে আহমদ: ৪৯৫৫) নবি (সা.) আরো বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করলো না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাযাহ্: ৩১২৩)
হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূল (সা.) মক্কা থেকে হিযরত করে মদিনায় যাওয়ার পর দেখলেন যে সেখানকার লোকেরা জাহিলিয়াতের যুগের দু’টি উৎসব দু’দিন পালন করে এবং মদিনার মুসলমানরা (আন্সার) তাতে অংশগ্রহণ করে। তিনি তাদেরকে (মুসলমানদের) বললেন যে আল্লাহ্ পাক তাদেরকে জাহেলি যুগের এসব উৎসবের পরিবর্তে দু’টি উত্তম দিবস (উৎসব) দান করেছেন। আর তাহলো নহরের (যবেহ্) দিন ও ফিতরের (রোযা ভঙ্গের) দিন।’ পরবর্তীতে যা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আয্হা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
ঈদুল আয্হার দিন প্রত্যুষে ঈদগাহে যেয়ে দু’রাকায়াত ঈদের নামায আদায় করার পর এই দিনের প্রধান আ’মল হলো কুরবানি। কুরবানি শা’আয়িরে ইসলাম তথা ইসলামি নিদর্শনাবলীর অন্যতম। ইসলামি শরিয়তে কুরবানির যে পন্থা ও পদ্ধতি নির্দেশিত হয়েছে তার মূলসূত্র ‘মিল্লাতে ইব্রাহিমী’তে বিদ্যমান ছিল। এজন্য কুরবানিকে ‘সুন্নাতে ইব্রাহিমী’ নামে অভিহিত করা হয়। মহান আল্লাহ্ পাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কুরবানির এক বিশেষ রীতি-পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছি, যেনো তারা ওসব পশুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে যে সব আল্লাহ্ তাদেরকে দান করেছেন’ (সূরা আল হজ্জ্ব: ৩৪)।
প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কুরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করা (যবেহ্ করা) অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় মানুষের কোনো আমল হয় না’ (সুনানে তিরমিজি)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রফুল্লচিত্তে কুরবানি আদায়ের নিয়্যতে কুরবানি করে কিয়ামতের দিন তার এবং জাহান্নামের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে’ (আস্ সুনানুল কুব্রা লিল বায়হাকি)।
প্রায় চার হাজার বছর আগে মক্কা উপত্যকা ছিল জনবসতিহীন শুষ্ক ও প্রস্তরময় প্রান্তর। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবি হযরত ইব্রাহিম (আ.)কে তাঁর মিশরীয় স্ত্রী হাজেরা ও তৎকালীন তাদের একমাত্র পুত্র ইসমাঈল (আ.)কে কেনান (ফিলিস্তিন) থেকে আরবের মক্কা নামক স্থানে নিয়ে আসার নির্দেশ প্রদান করেন। হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাদেরকে মক্কার নির্জন প্রান্তরে রেখে কেনানে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের জন্য কিছু খাবার ও পানি রেখে যান। কিন্তু তাদের খাদ্যদ্রব্য শীঘ্রই ফুরিয়ে গেল। কয়েকদিনের মধ্যে তারা ক্ষুধা ও পিপাসার কষ্টে কাতর হয়ে পড়লেন। একদিন পানির সন্ধানে বিবি হাজেরা সাফা ও র্মাওয়া পাহাড়ে উঠে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। এভাবে সাতবার এ পাহাড় ও পাহাড় দৌড়াদৌড়ি করে অবশেষে নিজ ছেলে ইসমাঈলের পাশে অবসন্ন হয়ে বসে পড়েন এবং এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তারপর বিস্ময়করভাবে তিনি লক্ষ করলেন শিশুপুত্র ইসমাঈলের পায়ের আঘাতে বালিতে রেখাঙ্কিত স্থান থেকে একটি ঝর্ণাধারা উৎপন্ন হয়ে প্রচুর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর এই ঝর্ণাধারাকেই পরবর্তীতে জমজম কূপ নামে আখ্যায়িত করা হয়। তারপর সেই কূপ থেকে বিবি হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাঈল পানি পান করে জীবন ধারণ করেন এবং সে স্থানে বসবাস শুরু করেন।
তার এক বছর পর আল্লাহ্ তা‘আলা হযরত ইব্রাহিম (আ.)কে তার পরিবারের খোঁজ নিতে ফিলিস্তিন থেকে মক্কায় যাওয়ার নির্দেশ দেন। ফিরে এসে ইব্রাহিম (আ.) তার শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পাথর ও চুন-সুরকি দিয়ে আল্লাহর নির্দেশে সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন; সেটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র মসজিদ কা’বা শরীফ। তার কিছুকাল পর ইসমাঈল (আ.) নবুয়ত লাভ করেন এবং আরব বেদুইনদের কাছে তাওহিদের বাণী প্রচার করতে শুরু করেন। এর কয়েক বছর পর ইসমাঈল (আ.) ও ইব্রাহিম (আ.) তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হন। আল্লাহ্ পাক স্বপ্নযোগে হযরত ইব্রাহিম (আ.)কে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তÍুকে তার নামে কুরবানী করার আদেশ দেন। এ প্রিয়বস্তু হলো তার একমাত্র সন্তান ইসমাঈল। আল্লাহর আদেশে ইব্রাহিম (আ.) তা পালনের প্রস্তÍুতি গ্রহণ করেন। প্রিয়পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানি করতে নিয়ে যাওয়ার পথে বিতাড়িত শয়তান তাদেরকে আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত রাখতে কুমন্ত্রণা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা কংকর নিক্ষেপ করে সেই শয়তানকে বিতাড়ন করেন। শয়তানের প্রতি তাদের এ প্রত্যাখানের কারণে সেই স্মৃতিকে ধারণ করে এখনো হাজী সাহেবেরা হজ্জের সময় মিনার ওই স্থানে শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করেন।
তারপর হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহ্ তা’আলার আদেশ পালনের উদ্দেশ্যে প্রাণপ্রিয় জ্যেষ্ঠ পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)কে তাঁর (হযরত ইসমাঈলের) পূর্ণ সম্মতিতে কুরবানি করতে উদ্যত হন। মক্কার নিকটস্থ মীনা নামক স্থানে ৩৮০০ (সৌর) বছর পূর্বে এ মহান কুরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাঁর ঐকান্তিক নিষ্ঠায় সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ্ তা’আলা হযরত ইবরাহিম (আ.)কে তাঁর স্থলে একটি পশু কুরবানি করতে আদেশ দেন। আল্লাহ্র আদেশে প্রিয়তম বস্তুকে কুরবানি করার ঐকান্তিক আগ্রহ ব্যক্ত করার মাধ্যমে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহ্র প্রতি যে অবিচল আনুগত্য ও গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন তার স্মরণে মুসলমানরা প্রতি বছর ১০ জিলহজ্জ ঈদুল আয্হা উদ্যাপন ও কুরবানি করে থাকেন। নযিরবিহীন নিষ্ঠার এ মহান ঘটনাকে স্মৃতিতে রেখে আজও মীনায় এবং মুসলিম জগতের সর্বত্র আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে পশু কুরবানির রীতি প্রচলিত রয়েছে। উৎসর্গকৃত পশু যা এক আল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ্ করা হয়। আত্মীয়-স্বজন বিশেষত দুঃস্থ দরিদ্রদের মধ্যে যা বিতরণ করে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাঁর সান্নিধ্য লাভ করার চেষ্টা চালানো হয়, সে সার্থক প্রচেষ্টার যে আত্মিক আনন্দ তা-ই ঈদুল আয্হা নামে অভিহিত। এ দিনে মীনায় হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর অনুপম কুরবানির অনুসরণে কেবল হাজীদের জন্য নয়, বরং মুসলিম জগতের সর্বত্র সকল সক্ষম মুসলমানদের জন্য এ কুরবানি করা ওয়াজিব।
ইসলামি শরিয়ত মতে, কুরবানির পশু নির্ধারিত বয়সের হতে হবে ও কতকগুলো দৈহিক ত্রুটি (অন্ধ, খোড়া, শিংভাঙা, কানকাটা ইত্যাদি) থেকে মুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। ঈদের নামাযের পর থেকে কুরবানির সময় আরম্ভ হয়। পরবর্তী দুইদিন (মতান্তরে তিন দিন) স্থায়ী থাকে এবং শেষ দিনের সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কুরবানি করার সময় শেষ হয়ে যায়। গরু, মহিষ, উট অনধিক সাত জনের পক্ষে এবং ছাগল, ভেড়া, দুম্বা শুধু একজনের পক্ষে কুরবানি দেওয়া জায়েজ। বাংলাদেশে প্রধানত গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ কুরবানি দেওয়া হয়। কখনও কখনও আমদানিকৃত স্বল্পসংখ্যক উটও কুরবানি দেওয়া হয়। কুরবানি তথা ঈদুল আয্হা মুসলমানদের নিছক ধর্মীয় উৎসব নয় বরং পরিশুদ্ধ জীবন গঠনের নিয়মতান্ত্রিক অনুশীলনও বটে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, শেরপুর।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ইরানে মার্কিন বর্বরোচিত হামলা বিশ্বমানবতাকে ভাবিয়ে তুলছে

কমিটি গঠনের ২দিন পরই স্থগিত হলো শেরপুরের নালিতাবাড়ী এনসিপির কমিটি !

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে বিএনপির নতুন প্রস্তাব

রাতের ভোটের নুরুল হুদাকে ধরে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতা

সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হলেন ব্যারিস্টার আব্দুল আল মামুন

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ফয়সল বিপ্লব গ্রেপ্তার

শেরপুরে জনপ্রিয় ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগীতায় আনন্দে মেতে উঠে হাজারো মানুষ

শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর মৃত উদ্ধার করলো ডুবুরিরা

জকিগঞ্জে ‘মৃত ব্যক্তি’ জীবিত ফিরে এলেন: দাফনের আগ মুহূর্তে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেলো যুবকের

ডা. জোবাইদা রহমানের জন্মদিনে রূপগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ ঘোষণা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের

অবশ্যই ইসি পুনঃগঠন হবে : এনসিপি

চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানি ২৯ জুন

উন্নতমানের গবেষণার পরিবেশ পেলে মেধাবীরা আবার দেশে ফিরবে : সালাহ উদ্দিন আহমেদ

সচিবালয়ের ভেতর সব সংগঠন বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট

দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু

নিজের সুরক্ষা চেয়ে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা

দক্ষিণ সিটিতে সকল নাগরিক সেবা প্রদানের আহ্বান, গাফিলতিতে ব্যবস্থা