ঢাকা   সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ছাত্র রাজনীতি : কিছু কথা

Daily Inqilab মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম

১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি দীর্ঘ ইতিহাসে সমৃদ্ধ। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনÑ সব ক্ষেত্রেই ছাত্রসমাজের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। কিন্তু বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি সেই গৌরবময় অবস্থান থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে। এর মূল কারণ আদর্শিক রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে ছাত্র রাজনীতি এখন দলীয়করণে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয় এটি অধিকাংশ সময়েই সমালোচিত, সহিংসতা, দখলদারিত্ব ও দলীয় আধিপত্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

বর্তমান ছাত্র রাজনীতি জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ছায়াতলে পরিচালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রের স্বার্থে রাজনীতি তেমন একটা দেখা যায় না; বরং নেতা হয়ে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। দলের ছায়াতলে রাজনীতি করলে উপরের শেল্টারে ছোট-বড় অনেক অপরাধ করেও টিকে থাকার বিষয়টি এখন একটি ওপেন সিক্রেট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি দলের ক্ষমতার ছত্রছায়ায় পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতি এখন দলের নীতি নির্ধারণে চালিত হচ্ছে। সেখানে নৈতিক আদর্শের প্রতি তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সভা-সেমিনার থেকে শুরু করে শোডাউনÑ সব ক্ষেত্রে ছাত্রদের এখন রাজনীতির বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করার কারণে অনেক সময় সঠিক নীতি থাকা সত্ত্বেও উপরের নির্দেশনা অনুসরণ করতে গিয়ে নৈতিক স্খলন ঘটে, যা তাদের নৈতিক আদর্শ থেকে সরে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। অপরদিকে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয় বা দমনমূলক পরিবেশে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। অনেক সময় রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয়, যা তাদের শিক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। একটি সময় তাদেরকে অপরাধের সঙ্গে মিশে সমাজে টিকে থাকতে হয়; অপরাধ না করেও গায়ে ট্যাগ পড়ে যায়, যার দরুন মানসিক চাপের কারণে শিক্ষায় বড় ধরনের বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। ফলে প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা অনুপস্থিত হয়ে ক্রমে একপক্ষীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা গঠিত হচ্ছে। সেখানে নীতি-আদর্শ অনুপস্থিত হলেও ছাত্র সমাজ সেটাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে চলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক সহিংসতা অনেকটাই নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যস্ত থাকার কথা, সেখানে রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায় সময় ও মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে।
সাধারণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা অধ্যায়নের সঠিক পরিবেশ না পাওয়ার কারণে মেধা বিকাশে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তারা তাদের প্রভাব খাটিয়ে টিকে আছে। অনেক প্রকৃত ও নিষ্কলুষ শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে সরে গিয়ে বিদেশে যাচ্ছে। আর যাদের বিদেশ যাওয়ার সক্ষমতা নেই তারা পরিবারিক পেশায় ফিরে যাচ্ছে। এক সময় ছাত্র রাজনীতি ছিল জাতীয় নেতা তৈরির ক্ষেত্র। কিন্তু এখন মেধা, দক্ষতা ও সাংগঠনিক যোগ্যতার চেয়ে প্রভাব, অর্থবল ও দলীয় ঘনিষ্ঠতাই নেতৃত্বের প্রধান মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতেও যোগ্য নেতৃত্বের সংকট দেখা দিচ্ছে। শুরু থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধা তালিকায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছে। এতে রাজনীতিতে সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তির সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে।

ছাত্র রাজনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংস্কৃতিক ও মুক্তচিন্তার পরিসর সংকুচিত হচ্ছে। গ্রুপ স্টাডি, বিতর্ক, সাহিত্য বা সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের জায়গা দখল করেছে দলীয় প্রদর্শনীর রাজনীতি। দলের কর্মকা-ে সময় দিতে দিতে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে। এছাড়া দলীয় ছত্রছায়ায় অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার ফলে ছাত্রজীবন বিলাসিতার দিকে ঝুঁকছে। ছাত্রজীবনেই বিনাপুঁজিতে অর্থের মালিক হয়ে গেলে এসব টাকা খরচের উপায় খুঁজতে গিয়ে অনেকেই জড়াচ্ছে মাদকসহ নানা অপরকর্মে। এক সময় পেশাদার অপরাধী হয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ। আবার টাকা ফুরিয়ে গেলে নেশার টাকার জন্য অপরাধে জড়ানোর ঘটনাও কম নয়। অধিকাংশ সময় অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে পারে না। অপরাধী জেনেও অনেক সময় বড় নেতার সাথে আঁতাত থাকার কারণে প্রশাসন নিরব থাকেÑ এটাও সামাজিক অবক্ষয়ের নামান্তর। ফলে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিকে গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্র হিসেবে না দেখে, ভয়, সন্ত্রাস কিংবা সুযোগসন্ধানী সুবিধা লাভের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র রাজনীতি সংস্কারের দাবি জোরালো হচ্ছে। পারিবারিক রীতিনীতি, প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় আচরণ ও সামাজিক সংস্কৃতিÑ এসবই একটি মানুষের গোড়া গঠন করে। প্রতিটি পরিবারই একটি শিক্ষা কেন্দ্র; পরিবারের কর্ণধার বাবা-মা একজন ছাত্রের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। সেজন্য নীতি-আদর্শ সৃষ্টিতে পারিবারিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতিতে প্রবেশের সময় বাবা-মায়ের হস্তক্ষেপ ও পরামর্শ, একদিকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে, অন্যদিকে অনৈতিক কাজ থেকে নিরুৎসাহিতও করে। একইভাবে রাজনীতির ক্ষেত্রে যারা অভিভাবক বা বড় পদধারী নেতা হিসেবে আছেন, তাদেরও গুরু দায়িত্ব হচ্ছে, তারা যেন কোনো অনৈতিক কাজে ছাত্রদের লিপ্ত না করে; নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যেন ছাত্রদের বিপদগামী না করা হয়। টেন্ডারবাজি, দখলবাণিজ্য, খুন, এসব কাজেও ছাত্রদেরকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে; ইতিপূর্বে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনার ইতিহাসও তৈরি হয়েছে।

পক্ষান্তরে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করা, সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ছাত্রদের যুক্ত করার বিষয়ে ততটা দেখা যায় না। এর একটি বড় কারণ হলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বোর্ডে দেখা যায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের। অর্থাৎ রাজনীতি এখন শুধু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।

দলীয় প্রভাবমুক্ত ছাত্র রাজনীতি গড়ে তোলা আবশ্যক। ছাত্র রাজনীতি যদি দলীয় প্রভাব মুক্ত হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক ও সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে। নৈতিক স্খলনের আশঙ্কা কমে আসবে। যে সময়ে নেতাদের আনুগত্য করতে হত, সেই সময়ে শিক্ষার্থী শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকতে পারবে। অপরাধমূলক প্রবণতাও কমে আসবে। অপরাধে জড়ানোর হার কমে আসলে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।

রাজনীতি কোনো পেশা নয়, একটি আদর্শিক অবস্থান। ছ্ত্রানেতাদের রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক কার্যক্রম: শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, গবেষণা ও প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করিয়ে তাদের প্রযুক্তিনির্ভর ও কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা বেকারত্ব বাড়াচ্ছে; প্রযুক্তিনির্ভর যুগে অনুপযোগী শিক্ষানীতি সংস্কার করে আধুনিক শিক্ষা প্রদানে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এতে রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাগত সংস্কারও সফল হবে। সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হলে দলীয় প্রভাবমুক্ত ছাত্র রাজনীতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দলীয় প্রভাবের কারণে মারামারি, হামলা, মামলা, দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম ঘটে। এগুলো কমলে সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত হবে এবং সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে। সুস্থ পরিবেশেই শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠ গ্রহণ করতে পারবে।

লেখক: প্রাবন্ধিক।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বারি’র অর্জন
আর্থ-রাজনৈতিক সংকট মোচনে নির্বাচনই একমাত্র উপায়
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি যৌক্তিক
ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় রোধে কী করতে হবে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা কতটুকু এগিয়েছি
আরও

আরও পড়ুন

বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পতিত স্বৈরাচার হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

পতিত স্বৈরাচার হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

ধামরাইয়ে বাসে আগুন

ধামরাইয়ে বাসে আগুন

আদালত ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন

আদালত ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন

হাসিনার ফাঁসির রায়, ট্রাইব্যুনালের সামনে জনতার উল্লাস

হাসিনার ফাঁসির রায়, ট্রাইব্যুনালের সামনে জনতার উল্লাস

সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফের বিরুদ্ধে নারীদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ

সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফের বিরুদ্ধে নারীদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ

শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধের আহ্বান ডিপজলের

শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধের আহ্বান ডিপজলের

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে: হান্নান মাসউদ

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে: হান্নান মাসউদ

উইগ্রো’র নারিশ ৫৫: মাঠে নেমেই কৃষকের আশাবাদের গল্পে শামিল হচ্ছে যেই ভুট্টা বীজ

উইগ্রো’র নারিশ ৫৫: মাঠে নেমেই কৃষকের আশাবাদের গল্পে শামিল হচ্ছে যেই ভুট্টা বীজ

ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশে ভূমিধসে নিহত ১৮, নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে

ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশে ভূমিধসে নিহত ১৮, নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে

ভাঙ্গায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম

ভাঙ্গায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম

জুলাই গণহত্যার দায়ে রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

জুলাই গণহত্যার দায়ে রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট কামালের ফাঁসির রায়

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট কামালের ফাঁসির রায়

মামলার রায়ে দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে : শামসুজ্জামান দুদু

মামলার রায়ে দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে : শামসুজ্জামান দুদু

খুলনায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

খুলনায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে : ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে : ট্রাইব্যুনাল

কুড়িগ্রামে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কুড়িগ্রামে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালো, ডান-বামের তীব্র লড়াই

চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালো, ডান-বামের তীব্র লড়াই

ন্যায়বিচারই জাতিকে ট্রমা থেকে মুক্তি দিতে পারে: ফারুকী

ন্যায়বিচারই জাতিকে ট্রমা থেকে মুক্তি দিতে পারে: ফারুকী