ঢাকা   সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকারি আইনি সহায়তা

Daily Inqilab ইমদাদ ইসলাম

১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম

আমাদের সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান আইনি সুরক্ষা, আইনের চোখে সমতা ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তবে আর্থসামাজিক বাস্তবতায় দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সব সময় এ সুযোগ পাওয়া সম্ভব হয় না। বিচারিক ব্যয়, মামলা পরিচালনার জটিলতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহানুভূতির অভাবে তারা বিচারহীনতার গহ্বরে হারিয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে, ২০০০ সালে প্রণীত ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ অনুসারে ২০০৯ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা (এনএলএএসও) সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে, যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিকভাবে অক্ষম বিচারপ্রার্থীদের বিনা খরচে আইনজীবী ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা। আইনটি অধিকতর যুগোপযোগী করে গত ৭ জুলাই, ২০২৫ আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

লিগ্যাল এইড শুধু বাদীকে আইনগত সহায়তা প্রদান করে না, আসামির পক্ষকেও আইনগত সহায়তা প্রদান করে থাকে। সাধারণভাবে মনে করা হয়, লিগ্যাল এইড কেবল বাদী বা অভিযোগকারী পক্ষের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু বাস্তবে লিগ্যাল এইড এর ফৌজদারি ও দেওয়ানি দুই ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত বা আসামি পক্ষকে আইনি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অনেক সময় আর্থিক সমস্যার কারণে দরিদ্র্য আসামি নিজে আইনজীবী রাখতে পারে না। ফলে দীর্ঘ দিন জামিন মেলে না। লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তায় বিনা খরচে আইনজীবী পেলে সে জামিন পায় বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়। কিছু গুরুতর মামলায় বিচারপ্রার্থীর পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলে, আদালত লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে একজনকে নিয়োগ দেন। মূল কথা হলো দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করে থাকে লিগাল এইড।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০০৯ সাল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা (এনএলএএসওর) এর মাধ্যমে ১১ লাখ ১০ হাজার ৩৬ জন বিচারপ্রার্থী সরকারি খরচে আইনি সহায়তা পেয়েছে। এ সময়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৩২ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৩ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন প্রতিকার পেয়েছে। দরিদ্র বিচারপ্রার্থীদের জন্য ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, দেশব্যাপী জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, থানা লিগ্যাল এইড কমিটি ও শ্রম আদালতগুলোতেও এই সেবা সম্প্রসারিত হয়েছে। আইনগত সহায়তা গ্রহণের জন্য সেবা গ্রহীতাদের জন্য অনলাইন আবেদন পদ্ধতি ও হেল্পলাইন (১৬৪৩০) চালু করা হয়েছে।

পেশাদার আইনগত পরামর্শ ও বিচার ব্যবস্থার প্রকৃতি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে অনেক বিচারপ্রার্থী মনে করে, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে মামলা করলেই ন্যায়বিচার মানে তাঁদের পক্ষে রায় আসবে। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। লিগ্যাল এইড কেবল বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে আইনগত সহায়তা ও প্রতিনিধি নিয়োগ নিশ্চিত করে। আদালত প্রমাণ, আইন ও বিচার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে জয়-পরাজয় বা বিচারের রায় পক্ষে বা বিপক্ষে আসার বিষয়টি নির্ভর করে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপিত তথ্য, সাক্ষ্য ও আইনি যুক্তির ওপর। সরকারি আইনি সহায়তা মানে রাষ্ট্রীয় পক্ষপাত নয়।

গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গঠিত হয় গ্রাম আদালত, যা ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ানি বা ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ছোটোখাটো বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। বিচার হয় স্থানীয়ভাবে, পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেলের মাধ্যমে, যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান এবং উভয় পক্ষের মনোনীত সদস্যরা থাকেন। বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত, স্বল্পখরচে ও সহজলভ্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গ্রাম আদালত একটি বিকল্প বিচারব্যবস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি প্রথাগত আদালতের ভার কমিয়ে সহায়ক ভূমিকা রাখছে এবং লিগ্যাল এইড বিচারব্যবস্থার একটি কার্যকর অংশ হয়ে উঠছে। ২০২৩ সালে সারাদেশে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে কম-বেশি ৭০ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ মামলায় উভয় পক্ষ আপসে সন্তুষ্ট হয়েছে।

২০০০ সালের ৬ নম্বর আইনে বেশকিছু সংশোধন এনে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়েছে। এ অধ্যাদেশে ১৫ক, নতুন এ ধারায় স্পেশাল মেডিয়েটরগণের তালিকা বিষয় বলা হয়েছে। আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশের ২১খ ধারায় কতিপয় ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এ ধারার উপধারা (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যা কিছুই থাকুক না কেন, মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা বিষয়ে এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর হবে। (২) এই আইনের তফসিলে বর্ণিত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, সংক্ষুব্ধ পক্ষকে আবশ্যিকভাবে উক্ত বিরোধ প্রথমে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে আবেদন করতে হবে, এবং মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে বিরোধের কোন পক্ষ প্রয়োজনে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবে। ৩ উপ-ধারা (২) অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতে বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করতে হবে। (৪) উপ-ধারা (২) অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় ব্যয়িত সময় তামাদির মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে বাদ যাবে। (৫) এই আইনের অধীন মধ্যস্থতা কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা ক্ষেত্রমত, স্পেশাল মেডিয়েটরের অধিক্ষেত্র সমগ্র জেলা ব্যাপী নির্ধারিত হবে।

এছাড়াও ধারা ২১গ এ বলা হয়েছে, মধ্যস্থতা-চুক্তির কার্যকারিতা। (১) পক্ষগণের সহি/স্বাক্ষর ও মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষরক্রমে সম্পাদিত এবং চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যয়িত প্রতিটি মধ্যস্থতা চুক্তি চূড়ান্ত, বলবৎযোগ্য এবং পক্ষগণের উপর বাধ্য করা হবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন চুক্তি আদালতের ডিক্রি অথবা ক্ষেত্রমত, চূড়ান্ত আদেশ হিসেবে গণ্য হবে এবং এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের মাধ্যমে উক্ত ডিক্রি বা আদেশ জারি করা যাবে। এই আইনের অধীন মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ উদ্ভূত হলে লিগ্যাল এইড অফিস প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে এবং উক্ত আদেশ বা নির্দেশ বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
আইনের ভাষা জটিল। সবার পক্ষে এটা বুঝা সম্ভব না। সচেতনতার অভাবে কত মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে অথচ এই সহায়তাটুকু পেলে কত মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে, তা জানলে আরও অনেকেই এগিয়ে আসবেন। দেশের জনগণকে সচেতন করতে এবং আইনগত সহায়তা নেওয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেলা তথ্য অফিস, চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর, বেতার, টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা নিয়মিত প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। জাতীয় আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। এড়াও জুম্মার নামাজের সময় উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ইমাম সাহেব এ বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখতে পারেন। ঠিক একইভাবে দেশের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কেউ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে না। কারো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

লেখক: চিফ ফিচার রাইটার, তথ্য অধিদফতর।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বারি’র অর্জন
আর্থ-রাজনৈতিক সংকট মোচনে নির্বাচনই একমাত্র উপায়
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি যৌক্তিক
ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় রোধে কী করতে হবে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা কতটুকু এগিয়েছি
আরও

আরও পড়ুন

বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পতিত স্বৈরাচার হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

পতিত স্বৈরাচার হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

ধামরাইয়ে বাসে আগুন

ধামরাইয়ে বাসে আগুন

আদালত ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন

আদালত ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন

হাসিনার ফাঁসির রায়, ট্রাইব্যুনালের সামনে জনতার উল্লাস

হাসিনার ফাঁসির রায়, ট্রাইব্যুনালের সামনে জনতার উল্লাস

সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফের বিরুদ্ধে নারীদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ

সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফের বিরুদ্ধে নারীদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ

শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধের আহ্বান ডিপজলের

শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধের আহ্বান ডিপজলের

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে: হান্নান মাসউদ

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে: হান্নান মাসউদ

উইগ্রো’র নারিশ ৫৫: মাঠে নেমেই কৃষকের আশাবাদের গল্পে শামিল হচ্ছে যেই ভুট্টা বীজ

উইগ্রো’র নারিশ ৫৫: মাঠে নেমেই কৃষকের আশাবাদের গল্পে শামিল হচ্ছে যেই ভুট্টা বীজ

ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশে ভূমিধসে নিহত ১৮, নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে

ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশে ভূমিধসে নিহত ১৮, নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে

ভাঙ্গায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম

ভাঙ্গায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম

জুলাই গণহত্যার দায়ে রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

জুলাই গণহত্যার দায়ে রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট কামালের ফাঁসির রায়

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট কামালের ফাঁসির রায়

মামলার রায়ে দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে : শামসুজ্জামান দুদু

মামলার রায়ে দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে : শামসুজ্জামান দুদু

খুলনায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

খুলনায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়

জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে : ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে : ট্রাইব্যুনাল

কুড়িগ্রামে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কুড়িগ্রামে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালো, ডান-বামের তীব্র লড়াই

চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালো, ডান-বামের তীব্র লড়াই

ন্যায়বিচারই জাতিকে ট্রমা থেকে মুক্তি দিতে পারে: ফারুকী

ন্যায়বিচারই জাতিকে ট্রমা থেকে মুক্তি দিতে পারে: ফারুকী