ঢাকা   বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ২৮ কার্তিক ১৪৩২

এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা ধর্মহীনতার প্রবর্তক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম

গত সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের সখিপুরের কামিলার চালার হাতিবান্ধায় অবস্থিত একটি রিসোর্টে গিয়েছিলাম। রিসোর্টে গমন এবং অবস্থান বর্ণনার জন্য কলম ধরিনি। তবে বিষয়টি উল্লেখ করলাম এজন্য যে, ঢাকা থেকে হাতিবান্ধা পর্যন্ত পৌঁছতে আমাদের ৩ ঘণ্টার স্থানে ৪ ঘণ্টা লেগে যায় রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য। এই সমগ্র রাস্তাজুড়ে দেখলাম ইলেকশনের হাওয়া। ঢাকা মহানগরীতো বটেই, হাতিবান্ধা পর্যন্ত সমগ্র রাস্তা পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সবগুলো পোস্টারেই মোটামুটি একই কথা। অমুক ভাইকে নির্বাচনে এমপি হিসাবে দেখতে চাই। সব পোস্টারের ভাষাই মোটামুটি এক। পোস্টারের মাথায় ৩টি ছবি। আর নিচে এমপি হওয়ার বাসনা পোষণকারীর বড় ছবি। 


যে বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে সেটি হলো, ঢাকা থেকে কালিয়াকৈর, গাজীপুর, গোড়াই, সখিপুরÑ সর্বত্র একটি মাত্র দলের পোস্টার। সেটি হলো বিএনপি। অথচ, বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে প্রায় ৫০টি। অবশিষ্ট ৪৯টি দলের কোনো পোস্টার নাই। এথেকে বোঝা গেলো যে, বিএনপি ইতোমধ্যেই প্রাক ইলেকশন প্রচারণা শুরু করেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে সেই প্রার্থী বা বিএনপি কী করবে, সে সম্পর্কে এখনো কোনো ইঙ্গিত নাই। প্রার্থী চূড়ান্ত হলে হয়তো নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে সেগুলো পাওয়া যাবে। 


সত্যি কথা বলতে কী, এত বছর পর দেশে এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যেটিকে অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যায়। কিছুদিন আগে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল একটি মূল্যবান এবং খাঁটি কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যাদের বয়স তাদের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনকেই বরং অস্বাভাবিক মনে হবে। কারণ, তারা বিগত ১৫ বছর ধরে দেখে এসেছেন যে, নির্বাচন মানেই ভোট জালিয়াতি, বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচন আর না হলে মিলে-ঝুলে আমরা আর মামাদের নির্বাচন। 
এবারের নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নিজের ইচ্ছা মতো ভোট দিতে পারলে এবং ফলাফলে সেই ভোটের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলে আমরা, যারা প্রবীণ, তারাই বরং বেশ কিছুটা তাজ্জব হবো। কারণ, ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে এবং আমার ভাই বেরাদাররা গত ১৫-১৬ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি। মানুষ যখন এবার নিজের ভোট পছন্দ মতো প্রার্থীকে দিতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে তখন বাংলাদেশের সমস্ত ভোটার ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে কিছু পুরাতন ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে এমন কতকগুলো ঘটনা ঘটে যেগুলো ছিলো অত্যন্ত অবাঞ্ছিত এবং দেশের ৯২ শতাংশ মুসলিম জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা এবং চিন্তা চেতনার সম্পূর্ণ বিরোধী। আরো পরিতাপের বিষয় হলো এই যে, সেই মুহূর্তে শাসকরা এসব করেছে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে। অথচ ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য জনগণ তাদের কোনো ম্যানডেট দেয়নি। 

১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের আইনগত কাঠামো বা এলএফও এর অধীনে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে মেনিফেস্টো দেওয়া হয়, অর্থাৎ যেসব ওয়াদা করে জনগণের কাছে ভোট চাওয়া হয় সেই সব ওয়াদার কোথাও ধর্ম নিরপেক্ষতা বা সেক্যুলারিজমের ওয়াদা ছিলো না। শুধুমাত্র ৭০-এর নির্বাচনের কথা বলবো কেনো? ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত পূর্ব বাংলার প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়লাভকারী যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলো না। পরবর্তীতে শেখ মুজিবের ৬ দফাতেও ছিলো না। তারপর ছাত্রদের ১১ দফাতেও ছিলো না। শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগরে, অর্থাৎ মেহেরপুরের আ¤্রকাননে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমএনএ (পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ) ও এমপিদের (প্রাদেশিক পরিষদ) সভায় স্বীধনতার যে ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয় সেখানেও ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেক্যুলারিজমের কোনো উল্লেখ ছিলো না। 


১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিব পাকিস্তান থেকে লন্ডন ও ভারত হয়ে ঢাকা আসেন। ১ দিন পর ১২ জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ৪টি মূলনীতির মধ্যে হঠাৎ করে ধর্ম নিরপেক্ষতা ঢুকানো হয়। আরো ঢুকানো হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্র। অথচ, এই ৩টি মতবাদের কোনোটিই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ছিলো না। শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে ধরা দেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। অর্থাৎ তিনি ১ দিন কেনো, ১ ঘণ্টার জন্যও মুক্তিযুদ্ধ করেননি এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বও দেননি। 
অথচ, তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং তার সরাসরি নির্দেশে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর যে সংবিধান পার্লামেন্টে দাখিল করে সেই পার্লামেন্টে অকস্মাৎ অজ্ঞাত স্থান থেকে ঐ তিন খাম্বা বিশেষ করে ধর্মনিরপেক্ষতার খাম্বা ঢুকে পড়ে। সুতরাং একথা নির্দ্বিধায় বলা চলে যে, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা ধর্মহীনতার প্রবর্তক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। 


॥দুই॥“শেখ মুজিব একবার দুজন খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে আলাপ কালে (সৈয়দ মুজতবা আলী ও সন্তোষ কুমার ঘোষ) বলেছিলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ ও সেক্যুলার বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষাকারী হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ। আমি এই ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের চারা বাংলাদেশের মাটিতে পুঁতে দিলাম। যদি কেউ এই চারা উৎপাটন করে, তাহলে বাঙালি জাতির স্বাধীন অস্তিত্বই সে বিপন্ন করবে’ (২৯ নভেম্বর, ১৯৭২, দৈনিক যুগান্তর-কলকাতা)।”


ধর্মনিরপেক্ষতার গর্ভ থেকে যেসব বস্তু শেখ মুজিবের আমলে প্রসব করা হয় সেগুলি হলো:(১) ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে আওয়ামী লীগের মিটিং শুরু হতো পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে। আর শেষ হতো খোদা হাফেজ বলে। ১৬ ডিসেম্বরের পর মিটিং শুরু হয় আমার সোনার বাংলা গান দিয়ে আর শেষ হয় জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু বলে। (২) (২) শেখ মুজিব রেডিও টেলিভিশনে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত চালু করেন। 


(৩) ধর্মনিরেপেক্ষতার অজুহাত তুলে দেশের প্রথম সংবিধান অর্থাৎ ১৯৭২ এর সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম বাদ দেওয়া হয়। (৪) ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের মনোগ্রাম থেকে ‘ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক’ অর্থ ‘পড় সে প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন।’ কুরআনের আয়াতটি মুছে দেওয়া হয়।


(৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে ‘রাব্বি জিদনী ঈলমা’ অর্থ ‘হে রব আমাকে জ্ঞান দাও।’ ধর্মনিরপেক্ষের অযুহাত দিয়ে কোরানের এই আয়াতটি মুছে দেওয়া হয়।


 (৬) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে ‘ইকরা বিছমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক’ অর্থ ‘পড় সে প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন।’ কুরআনের এই আয়াতটি মুছে দেওয়া হয়।


(৭) সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি মুছে দিয়ে, সলিমুল্লাহ হল নাম করণ করা হয়। ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে, ফজলুল হক হল নাম করণ করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করা হয়। (৮) নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে ‘ইসলাম’ শব্দটি বাদ দিয়ে, নজরুল কলেজ নাম করণ করা হয়।


॥তিন॥অথচ, এর বিপরীতে: (৯) ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়। অর্থাৎ জগন্নাথ হলের নাম জগন্নাথ হলই রয়ে যায়। ১৬৩৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ১৯০৬ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সুবলচন্দ্রমিত্র সংকলিত ‘সরল বাঙ্গালা অভিধানের’ ৫৬৬ পৃষ্ঠায় জগন্নাথ শব্দের অর্থ করা হয়েছে হিন্দুধর্মের নারায়ণ বিষ্ণু। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘ব্যবহারিক বাংলা অভিধানের’ ৪৬৮ পৃষ্ঠায় জগন্নাথ শব্দের অর্থ হলো হিন্দুদেবতা বিষ্ণু বা তার অংশাবতার। জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় নামটিও আজও অক্ষত আছে। হিন্দুধর্মে জগন্নাথ অর্থ হলো জগতের নাথ অর্থাৎ স্বামী। অন্য কথায় জগতের প্রভু। 


 (১০) অথচ, ভারতের মতো কট্টর হিন্দুয়ানী দেশে ২০০ শত বছর ধরে পুরানো বিদ্যাপীঠ আলীগড় মুসলিম বিশ^বিদ্যালয়ের নামের সাথে মুসলিম শব্দটি আজও টিকে আছে। 


(১১) মহাকবি আল্লামা ইকবাল ১৯৩৮ সালের ২১ এপ্রিল ইন্তোকাল করেন। অর্থাৎ পাকিস্তান কায়েমের ৯ বছর আগেই তিনি ইন্তেকাল করেন। পাকিস্তান কায়েমের সাথে তার কোনো সম্পর্কই ছিলো না। অথচ, সেই মহাকবি আল্লামা ইকবালের নাম অনুযায়ী নির্মিত ইকবাল হলের নামটি মুছে দেওয়া হয়। 


(১২) এর বিপরীতে দেখুন, এই ২০২৫ সালেও লাহোরে সাবেক পূর্বপাকিস্তানীদের জন্য নির্ধারিত বিশাল হলটির নাম আজও ‘এ. কে ফজলুল হক’ নামটি বিশালভাবে উৎকীর্ণ হয়ে আছে। 


॥চার॥(১৩) ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য নির্মিত হয় জিন্নাহ হল। পাকিস্তানের নাম নিশানা মুছে দেওয়ার জন্য জিন্নাহ হলের নামটি মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরিবর্তে ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের আমলে এই হলটির নাম কি দেওয়া হয়? নাম দেওয়া হয়, ‘মাস্টার দা সূর্যসেন’ হল। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়েরও একটি হলের নাম দেওয়া হয়েছে সূর্যসেন হল। 
কে এই সূর্যসেন? তার সাথে কি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে? অবশ্যই নাই। সূর্যসেন ছিলেন হিন্দুসন্ত্রাসী সংগঠন ‘অনুশীলন সমিতির’ সদস্য। এই সমিতির স্লোগান ছিলো, ‘বন্দে মাতরম’। হিন্দুদের দেবী মা কালীর নাম করে এই সমিতির সদস্য হতে হতো। অখ- ভারতের স্বাধীনতার জন্য ১৯৩০ সালে সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করা হয়। এই ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর আগে। আর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর আগে। 


(১৪) ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ করা হয়, ‘প্রীতিলতা হল’। কে এই প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার? ইনিও সন্ত্রাসী সংগঠন ‘অনুশীলন সমিতির’ সদস্য। সূর্যসেনের সাথে তিনিও সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত ছিলেন। 


॥পাঁচ॥অনেক কথা বলার রয়েছে। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরে আমাদের টুঁটি চেপে ধরে রাখা হয়েছিলো। জুলাই বিপ্লবের পর ঐসব অবরুদ্ধ কথা ফল্গুধারার মতো বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। সবই বলবো। তবে ধীরে ধীরে। এই বাংলাদেশ একদিন ছিলো পূর্ব বাংলা। সেই পূর্ব বাংলা অবশিষ্ট বাংলা থেকে আলাদা হতে বাধ্য হয়েছিলো কংগ্রেসের কারণে, মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাস ভূমি হিসাবে। 
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৪৭ সালের পর থেকে শুরু হয়নি। বরং মুক্তিযুদ্ধ যেমন আমাদের অহংকার, জুলাই বিপ্লব যেমন আমাদের বীরত্ব গাথা, তেমনি বালাকোটের যুদ্ধ আমাদের গর্বিত অতীত। আমরা হাজী শরিয়তুল্লাহর উত্তরসূরী, আমরা তিতুমীরের উত্তরসূরী। আমরা মুসলিম ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্তকে বাঞ্চাল করবো। 


আমি ইনসেটে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মনোগ্রাম দিতে চেয়েছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে লেখা ছিলো ‘রাব্বি জিদনী ঈলমা’ অর্থ ‘হে রব আমাকে জ্ঞান দাও’। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মনোগ্রামে লেখা ছিলো, ‘ইকরা বিস্মী রাব্বিকাল্লাজি খালাক’ অর্থ ‘পড় সে প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন।’


অথচ Google, Chat GPT, Gemmini, DeepSeek (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করলাম। তারাও উত্তর দিলো যে ঐ মনোগ্রামগুলো তারা আর্কাইভেও খুঁজেছে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় যে লোগো ছিলো সেটি পাওয়া গেছে। কিন্তু গুগল বা এআইয়ের কথা অনুযায়ী পাকিস্তান আমলের পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত সম্বলিত লোগো পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার সরকার সেটি সম্পূর্ণ গায়েব করে দিয়েছে। 


আগামী দিনে যারা এমপি হবেন, যারা সরকার গঠন করবেন তারা যেনো এই বিষয়গুলি মাথায় রাখেন। 
Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাবনা ও অঙ্গীকার
নতুন প্রজন্ম ও সময়ের প্রত্যাশাকে অগ্রাহ্য করা হবে আত্মঘাতী
একক দায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
অবনমিত শিক্ষা, অবমূল্যায়িত শিক্ষক
ঐকমত্য কমিশন ৯ মাস বৈঠক করলো অবশেষে পর্বতের মূষিক প্রসব
আরও

আরও পড়ুন

কমলগঞ্জে রেললাইনে স্লিপার ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা

কমলগঞ্জে রেললাইনে স্লিপার ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা

এবার ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন

এবার ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন

জাতীয় নির্বাচনে জটিলতা সৃষ্টির অর্থ পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ সুগম করা : তারেক রহমান

জাতীয় নির্বাচনে জটিলতা সৃষ্টির অর্থ পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ সুগম করা : তারেক রহমান

দিনাজপুরের হাকিমপুরে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তার্ণ ঔষধ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তার্ণ ঔষধ

স্বাধীনতা হারাতে পারে বিচার বিভাগ, বর্ধিত ক্ষমতা ও আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

স্বাধীনতা হারাতে পারে বিচার বিভাগ, বর্ধিত ক্ষমতা ও আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

কু‌ষ্টিয়া জেলা পরিষদের সা‌বেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরু‌দ্ধে দুদ‌কের মামলা

কু‌ষ্টিয়া জেলা পরিষদের সা‌বেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরু‌দ্ধে দুদ‌কের মামলা

রেলওয়ের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

রেলওয়ের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

নকলায় তিন বেকারিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

নকলায় তিন বেকারিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

নাশকতা প্রতিরোধে আমিনবাজারে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন

নাশকতা প্রতিরোধে আমিনবাজারে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন

খুলনার রূপসা নদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিঠুর লাশ উদ্ধার

খুলনার রূপসা নদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিঠুর লাশ উদ্ধার

এসি-ওসি স্যারের নির্দেশে আবু সাঈদকে গুলি করা হয়

এসি-ওসি স্যারের নির্দেশে আবু সাঈদকে গুলি করা হয়

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন: ডা. রানা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন: ডা. রানা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বিভাগের শিক্ষার্থী  সোনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বিভাগের শিক্ষার্থী সোনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরামর্শক নিয়োগের পাঁয়তারা

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরামর্শক নিয়োগের পাঁয়তারা

শেরপুরে আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়িতে হামলা: গ্রেপ্তার ২

শেরপুরে আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়িতে হামলা: গ্রেপ্তার ২

আ.লীগের কর্মসূচি উপেক্ষা করে গণপরিবহন চালানোর ঘোষণা মালিক সমিতির

আ.লীগের কর্মসূচি উপেক্ষা করে গণপরিবহন চালানোর ঘোষণা মালিক সমিতির

আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল ও পদায়নের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল ও পদায়নের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

ফেসবুক লাইভে প্রধান উপদেষ্টাকে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফেসবুক লাইভে প্রধান উপদেষ্টাকে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে অভিযান, ৭ জন আটক

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে অভিযান, ৭ জন আটক