ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে দিলেন
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫ এএম
গত ৯ মাস ধরে বাংলাদেশে রাজনীতির চাকা যেভাবে ঘুরছিলো, গত ৩ নভেম্বর সোমবার দুপুরের পর থেকে সেই চাকা যেনো হঠাৎ উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে। প্রফেসর আলী রিয়াজের সক্রিয় তত্বাবধানে ঐকমত্য কমিশন যেসব সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলো তার চূড়ান্ত সুপারিশ গত ২৮ অক্টোবর ড. আলী রিয়াজ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে তথা সরকারের কাছে দাখিল করেছেন। ড. আলী রিয়াজ বলেছেন যে, তার কাজ শেষ। ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দল সমূহের সাথে আর কোনো বৈঠক করবে না। এখন প্রধান উপদেষ্টা তাদের সুপারিশ পাওয়ার পর একটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করবেন। এই সাংবিধানিক আদেশ জারির পর সেই আদেশের অধীনে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হবে। সেই অধ্যাদেশ মোতাবেক দেশে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আলী রিয়াজ বলেন যে, কবে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে সেই বিয়ষটা নির্ধারণ করবেন অথবা ঘোষনা করবেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গণভোট হবে প্রধানত সংবিধান সংস্কার ইস্যুতে প্রণীত সুপারিশের ওপর। গণভোটের রায় যদি ইতিবাচক হয় তাহলে পরবর্তী পার্লামেন্ট পালন করবে দ্বৈত ভূমিকা অর্থাৎ ডুয়াল রোল। প্রথম ২৭০ কার্য দিবস পার্লামেন্ট তার স্বাভাবিক ভূমিকা ছাড়াও সংবিধান সভা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। এই সংবিধান সভাকে দেওয়া হবে গাঠনিক ক্ষমতা। আসলে গাঠনিক ক্ষমতা এবং সংবিধান সভা দুটি নতুন শব্দ বলে প্রতীয়মান হয়। আমরা এতদিন জেনেছি সাংবিধানকি ক্ষমতা (কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার বা গাঠনিক ক্ষমতা) এবং গণপরিষদ (সংবিধান সভা) । সংবিধান সভা যদি ২৭০ কার্য দিবসের মধ্যে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে ঐ ২৭০ দিন পর গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাব গুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্র্ভূক্ত হবে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২৪টি রাজনৈতিক দল এবং ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সহ সভাপতি ড. আলী রিয়াজ এবং ঐকমত্য কমিশনের সব সদস্য জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সংস্কার কমিশন প্রথমে ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দল সমূহের সাথে আলোচনা শুরু করে। আলোচনার এক পর্যায়ে শর্ট লিস্ট করে ১৬৬টি প্রস্তাবের বদলে ৮৪টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে। এই আলোচনায় অংশ গ্রহন করে দেশের ৩৩টি রাজনৈতিক দল। দীর্ঘ ৯ মাস রাজনৈতিক দল সমূহের সাথে আলোচনার পর ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬১টি প্রস্তাব বা সুপারিশে বিএনপি সহ বিভিন্ন দল নোট অব ডিসেন্ট বা আপত্তি জানায়। এই ৬১টি নোট অব ডিসেন্টের মধ্যে অন্তুত ২১টি ডিসেন্ট বা আপত্তি ছিলো সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত।
আগেই বলেছি যে, নোট অব ডিসেন্ট সহ ঐ ৮৪টি প্রস্তাব বা সুপারিশ ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার নিকট দাখিল করা হয়। ধারণা করা হয়েছিলো যে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ আদেশ জারি করবেন।
এই বিশেষ আদেশ জারি নিয়েও প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে মতভিন্নতা দেখা যায়। শুরুতেই যে ইস্যু নিয়ে মতদ্বৈধতা শুরু হয় সেটি হলো বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি নিয়ে। বিএনপির কঠোর অবস্থান হলো এই যে, ইন্টারিম সরকার সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সুপ্রীমকোর্টের মতামত নিয়ে গঠিত হয়েছে। বর্তমান সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকার বা উপদেষ্টা পরিষদের কোনো বিধান নাই। দ্বিতীয়ত জুলাই বিপ্লব সাধিত হয়েছে সাংবিধানিক পথ অনুসরন করে নয়। বিপ্লবের পর দেশে সরকার না থাকায় উড়পঃৎরহব ড়ভ হবপবংংরঃু মোতাবেক সুপ্রীমকোর্ট অন্তর্বর্তী সরকারের ধারণাকে বৈধতা দিয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের ১০৬ ধারা মোতাবেক গঠিত ইউনূস সরকার তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় একটি সাংবিধানিক সরকার।
পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি এবং আরো কিছু রাজনৈতিক দলের অবস্থান হলো, দেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বিপ্লব ঘটিয়ে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে।
জামায়াত এবং এনসিপি তাই এই অবস্থান গ্রহন করে যে, বর্তমান সরকার সাংবিধানিক সরকার নয়। এই সরকার বিপ্লব অথবা গণঅভ্যুত্থান প্রসূত সরকার। ১৮ কোটি মানুষ বিপ্লবের নেতৃত্ব দানকারী ছাত্র নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে তাদের অভিপ্রায় প্রকাশ করে। সেই অভিপ্রায় মোতাবেক ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
॥দুই॥
ওপরের এই আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন, চরিত্র এবং ক্ষমতার উৎস নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াত সহ অন্যান্য দলের তীব্র মতভেদ রয়েছে। আজ রাজনৈতি অঙ্গনে যে অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সেগুলো সবই ঐ মতদ্বৈধতার অনভিপ্রেত ফসল।
তাই দেখা যায় যে, বিএনপির দাবি হলো, একটি সাংবিধানকি সরকার কোনো দিন প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন অর্ডার বা আলোচ্য ক্ষেত্রে বিশেষ আদেশ জারির ক্ষমতা রাখে না। এখানে আরো উল্লেখ করা দরকার যে, ‘আদেশ’ বলে যে শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিকে এদেশের মানুষ এতদিন ধরে জেনে এসেছে ফরমান হিসাবে যার ইংরেজি হলো প্রোক্লামেশন। এতদ্বসত্বেও যদি কোনো ধরণের প্রোক্লামেশন জারি করতে হয় তাহলে সেটি জারি হবে প্রেসিডেন্টের নামে (যদিও সাংবিধানিক সরকারে প্রেসিডেন্টেরও এই ক্ষমতা নাই)। পক্ষান্তরে জামায়াত এনসিপি প্রমুখের অবস্থান হলো, যেহেতু এটি বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থান প্রসূত সরকার এবং বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিভূ ড. ইউনূস, সেহেতু তার নামে ঐ বিশেষ আদেশ বা প্রোক্লামেশন জারি হবে। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পরেও এব্যাপারে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সহমত প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বিগত ৯ মাস ধরে ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দল সমূহের যে আলোচনা হয়েছে সেখানে একটি পয়েন্ট উত্থাপন করা হয়েছিলো। সেটি হলো, জুলাই সনদের বিধানাবলি নিয়ে ঐকমত্য হলেও ঐ সনদ বাস্তবায়িত হবে কিভাবে? এব্যাপারে বিভিন্ন দল বিভিন্ন রকম মত দেয় এবং অবশেষে গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়নের ব্যাপারে সবগুলি দলই একমত হয়। কিন্তু তার পরই বেধে যায় গোল।
বিএনপি দাবি করে যে, যেদিন দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ঐ দিনই গণভোট করতে হবে। পক্ষান্তরে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন প্রভৃতি দল দাবি করে যে, নির্বাচনের দিন নয়, তার আগে গণভোট করতে হবে। গণভোটের একটি সময় হিসাবে জামায়াত পরামর্শ দেয় এই নভেম্বর মাসকে। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পরেও এব্যাপারে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সহমত প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সভা (গণপরিষদ) যদি একটি ফয়সালায় আসতে না পারে তাহলে ২৭০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমিশনের সুপারিশ সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত হবে। বিএনপি এব্যাপারে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য হলো, কমিশন বা বিশেষ আদেশ বা প্রোক্লামেশন ভবিষ্যত পার্লামেন্টকে ডিক্টেট করতে পারে না। কিন্তু ২৭০ দিনের বিধান জাতীয় সংসদকে ডিক্টেট করার শামিল। কিন্তু জামায়াত এব্যাপারে কমিশনের বক্তব্যকে সমর্থন করেছে।
॥তিন॥
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৮৪টি প্রস্তাব বা সুপারিশের মধ্যে ৬১টি, মতান্তরে ৪৮টি সুপারিশে নোট অব ডিসেন্ট বা আপত্তি রয়েছে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে যে সুপারিশ সম্বলিত রিপোর্ট দাখিল করেছে সেখানে কোনো নোট অব ডিসেন্ট নাই। কমিশনের মতামত হলো, নোট অব ডিসেন্টের ওপরে কোনো দিন গণভোট হয় না। সংবিধানেও কোনোদিন নোট অব ডিসেন্ট থাকে না। পক্ষান্তরে বিএনপির দাবি হলো, গণভোটে নোট অব ডিসেন্টও থাকতে হবে। মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৩ নভেম্বর সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান যে, যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে সেসব ব্যাপারে রাজনৈতিক দল গুলোকেই একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহবান জানিয়েছে সরকার। সরকার আশা করে যে, রাজনৈতিক দল সমূহ নিজেরাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন এবং তারাই যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন সেটিকেই একটি দিক নির্দেশনা হিসাবে সরকার গ্রহণ করবে।
কবে গণভোট হবে, নোট অব ডিসেন্ট গণভোটে থাকবে কি না, প্রেসিডেন্ট না প্রধান উপদেষ্টা, কে বিশেষ আদেশ সই করবেন ইত্যাদি যাবতীয় বিরোধীয় ইস্যু ফয়সালা করবেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সময় হাতে অত্যন্ত কম। তাই সরকার আশা করে যে, আগামী ৭ দিনের মধ্যেই (এটি সম্ভবত হবে ৩ নভেম্বর থেকে ৭ দিন অর্থাৎ ১০ নভেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলো যেনো তাদের সিদ্ধান্ত সরকারকে জানায়। অন্যথায় সরকার নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সোমবার রাতে যখন আমি এই উপসম্পাদকীয় লিখছি তখন পর্যন্ত কোনো দলের বা ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া আমি পাইনি। তবে আমার নিজস্ব প্রতিক্রিয়া হলো এই যে, ড. ইউনূসের সরকার সুকৌশলে বলটি রাজনৈতিক দল সমূহের কোর্টে ঠেলে দিয়েছে। ইংরেজিতে যেটিকে বলা হয়, ইড়হব ড়ভ ঈড়হঃবহঃরড়হ, অর্থাৎ যেগুলো বিরোধীয় বা বিবদমান ইস্যু সেগুলোর কোনো দায় দায়িত্ব সরকার নিজের কাঁধে নিচ্ছে না। নিজের কাঁধ থেকে সরকার সেগুলো পলিটিক্যাল পার্টিদের কাঁধে চাপিয়ে দিলো।
ঐদিকে আরেকটি খবর হলো, ড. আলী রিয়াজ রবিবার রাত ১টা ২২ মিনিট অর্থাৎ সোমবারের প্রথম প্রহরে কুয়েত এয়ারলাইন্স যোগে তার কর্তব্য স্থল আমেরিকা চলে গেছেন। তিনি সহসা ফিরবেন কিনা সেটি জানা যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে, যদি রাজনৈতিক দল গুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে কোনো সমাধানে আসতে ব্যর্থ হয় তাহলে কি হবে? আলী রিয়াজ কি আবার দেশে ফিরে আসবেন? বলা হয়েছে যে, সরকার নিজ থেকেই সেই বিশেষ আদেশ দেবে। যদি সেই বিশেষ আদেশ (ফরমান) রাজনৈতিক দলগুলির কাছে, বিশেষ করে বিএনপি অথবা জামায়াত- যে কোনো একটি দলের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয়, অথবা তারা প্রত্যাখান করে তাহলে কি হবে? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একদিন আগে এই মর্মে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, “শেষ পর্যন্ত কোনো অগণতান্ত্রিক কিংবা অপশক্তির কাছে বিনা শর্তে আত্মসমর্পনের পথে হাঁটতে হয় কিনা। এই মুহুর্তে মাঠে থাকা সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দলকে এমন সম্ভাব্য বিপদ আমাদের মাথায় রাখতে হবে।”
তারেক রহমানের এমন শঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া তো যায়ই না, বরং সেটিকে সচেতন মানুষের সিরিয়াসলি গ্রহণ করা উচিত।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হাসিনার ফাঁসির রায়, ট্রাইব্যুনালের সামনে জনতার উল্লাস
সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফের বিরুদ্ধে নারীদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ
শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধের আহ্বান ডিপজলের
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে: হান্নান মাসউদ
উইগ্রো’র নারিশ ৫৫: মাঠে নেমেই কৃষকের আশাবাদের গল্পে শামিল হচ্ছে যেই ভুট্টা বীজ
ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশে ভূমিধসে নিহত ১৮, নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে
ভাঙ্গায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম
জুলাই গণহত্যার দায়ে রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড
জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট কামালের ফাঁসির রায়
মামলার রায়ে দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে : শামসুজ্জামান দুদু
খুলনায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ
জুলাই গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে : ট্রাইব্যুনাল
কুড়িগ্রামে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালো, ডান-বামের তীব্র লড়াই
ন্যায়বিচারই জাতিকে ট্রমা থেকে মুক্তি দিতে পারে: ফারুকী
ঝিনাইদহের মাহাবুব হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রীর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল
নির্বাচন ভণ্ডুল করতে কিছু মহল উঠে পড়ে লেগেছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
রাজধানীতে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার