ঢাকা   রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ২৫ কার্তিক ১৪৩২

টক দই খাই

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০৩ এএম

দই খেতে হবে টক অবস্থায়। এতে অনেক অপকারী উপাদান মিশানো থাকে না। টক দইয়ের মধ্যে আলাদা করে চিনি মিশিয়ে দইকে মিষ্টি করা হয়। সুগার মানেই অতিরিক্ত ক্যালোরি। সেখান থেকে ওজন বৃদ্ধি। তা ছাড়া মিষ্টি দইয়ে চিনি ছাড়াও থাকে ঘি। সেটা বরং কারও কারও স্বাস্থ্যের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকারক। অবশ্য রক্তে টাইগ্রিসারাইডস, শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকলে একজন ব্যক্তির মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে বাধা নেই।

সব ভিটামিন, খনিজ কোনও একটি খাদ্য প্রস্তুতে থাকে না। দইয়েও নেই। ফলে শুধু দই খেয়ে কোনও ব্যক্তি জীবনধারণ করতে পারেন না। কীভাবে দই খাবেন ? মূল খাদ্যের সঙ্গে দই রেখে খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ লাঞ্চ ও ডিনারের শেষে দই খেতে পারেন। এভাবে দৈনিক গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম দই খাওয়া যায়। দই খাদ্য হজমে সাহায্য করে।

ঘরে পাতা দই সব সময়ই নিরাপদ। তবে পাতা দই নিয়ে কয়েকটা কথা বলে রাখা ভালো। মোটামুটিভাবে রাতে দই পাতাবেন, তার পরের দিন বিকালের মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন, ২৪ ঘন্টা পেরুতে শুরু করলেই দই-এর পুষ্টিগুণ কমতে থাকে।

কোনও কোনও সংস্থা আজকাল প্যাকেটজাত দইয়ে শরীরের পক্ষে জরুরি কিছু মিনারেল মিশিয়ে দিচ্ছে। যেগুলো ঘরে পাতা দইয়ে পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও বলা যায়, ঘরে পাতা দই খাওয়াই শ্রেয়। তবে ঘরে দই পাতলে, ডাবল টোনাড দুধের পাতা ভালো। কারণ ডাবল টোনড দুধে ফ্যাট অনেক কম থাকে। অযথা ওজন বৃদ্ধি রোধ হয়।

কাদের দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয় ? ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং ডায়াবেটিসের রোগীরা দই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। কারণ দইয়ে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। কিডনি ডিজিজের রোগীর পক্ষে অতিরিক্ত ফসফরাস ক্ষতিকারক। অন্যদিকে, সুগারের রোগীকে ক্যালোরি মেপে খেতে হয়। তাই ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত দই খাওয়া যাবে না। আরও একটা কথা বলা উচিত তা হল, দইয়ে যে প্রোটিন থাকে, সেই প্রোটিনের প্রতি কারও কারও অ্যালার্জি থাকে। এমন মানুষের দই না- খাওয়াই উচিত।

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৯৫
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৮৮
চিকিৎসকদের বদলি ও পদায়ন বন্ধে নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু
ফুসফুসের ক্যান্সার : লক্ষণ ও কারণ
আরও

আরও পড়ুন

নাসিরনগরে তিন আওয়ামী নেতা গ্রেফতার

নাসিরনগরে তিন আওয়ামী নেতা গ্রেফতার

ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রথম ১২ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা জানালেন জ্যেষ্ঠ ইরানি জেনারেল

ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রথম ১২ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা জানালেন জ্যেষ্ঠ ইরানি জেনারেল

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাপনের কাপড় জড়িয়ে মশাল মিছিল

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাপনের কাপড় জড়িয়ে মশাল মিছিল

“মোস্ট ইনোভেটিভ ফিনটেক প্রোডাক্ট ডিজাইন অব দ্য ইয়ার” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ

“মোস্ট ইনোভেটিভ ফিনটেক প্রোডাক্ট ডিজাইন অব দ্য ইয়ার” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ

যারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে: শামীম

যারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে: শামীম

২৬টি সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ৩য় বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড

২৬টি সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ৩য় বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড

ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার : ব্যারিস্টার মীর হেলাল

ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার : ব্যারিস্টার মীর হেলাল

সরাইলে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেছেন মো. আবুবকর সরকার

সরাইলে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেছেন মো. আবুবকর সরকার

আগামী নির্বাচন হতে যাচ্ছে মাইলফলক : সিইসি

আগামী নির্বাচন হতে যাচ্ছে মাইলফলক : সিইসি

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজে আছেন জেসি

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজে আছেন জেসি

পদ ফিরে পেলেন বিএনপির বহিষ্কার হওয়া ৩৯ নেতা

পদ ফিরে পেলেন বিএনপির বহিষ্কার হওয়া ৩৯ নেতা

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এনসিপি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় যুগ্ম সমন্বয়কারী সৈয়দ ইমরান সাময়িক বহিষ্কার

এনসিপি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় যুগ্ম সমন্বয়কারী সৈয়দ ইমরান সাময়িক বহিষ্কার

নাইম-শহিদুলের ফিফটি

নাইম-শহিদুলের ফিফটি

৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৩ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ

৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৩ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ

শেরপুরে বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জেলহাজতে

শেরপুরে বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জেলহাজতে

কিনব্রিজের ঐতিহাসিক ঘড়ির সামনে ট্রফি উন্মোচন

কিনব্রিজের ঐতিহাসিক ঘড়ির সামনে ট্রফি উন্মোচন

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

কারাগার থেকে হাজতি পালানোর ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

কারাগার থেকে হাজতি পালানোর ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

ঝিনাইদহে শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

ঝিনাইদহে শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন