টোল প্লাজার দুর্ঘটনা সন্তান বেঁচে নেই, এখনও জানেন না বাবা-মা
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ এএম
গোপালগঞ্জে ননদের স্বামীর মৃত্যুতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে যাওয়া হলো না আমেনা বেগমের। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সঙ্গে দুই ভাগ্নি ও শিশু নাতি আইয়াজেরও মৃত্যু হয়। আইয়াজ যে মারা গেছে তা এখনও জানেন না হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবা সোহান ও মা অনামিকা।
‘তাদের এই অকাল মৃত্যুতে আমরা শোক কাটিয়ে উঠতে পারবো কিনা জানি না।’ দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে বলে কান্নাকাটি করছেন নিহত আমেনা বেগমের বোন জোসনা বেগম। তার দাবি- এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ভাগ্নি অনামিকা আক্তার ও তার স্বামী সোহান গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা এখনও জানে না, তাদের আদরের সন্তান জীবিত নেই। আয়াজ চিরকালের জন্য চলে গেছে এই পৃথিবী ছেড়ে। এ খবর জানার পর তাদের অবস্থা কি হবে তা বলতে পারছি না।’
এখন অনামিকার অবস্থা গুরুতর। তার হাত ও কোমরের হাড় ভেঙে গেছে। ওর স্বামী সোহানেরও একই অবস্থা।
অন্যদিকে স্ত্রী, দুই সন্তান ও নাতিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন আমেনা আক্তারের স্বামী ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জে তার ভায়রার মৃত্যর মিলাদের আয়োজনে যাচ্ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর এক সদস্যের ফোনে দুঃসংবাদ পাই। রাতে আমার শশুর বাড়ির নন্দনকোনা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানের দাফন করা হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জন নিহত হয়। এর মধ্যে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নন্দনকোনা গ্রামে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিহত আমেনা আক্তার, তাঁর দুই মেয়ে ইসরাত জাহান ইমু ও রিহারকে নন্দনকোনা গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এছাড়া আমেনা বেগমের নাতি শিশু আয়াজকে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (৭) মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা নিহত আয়েজের মা অনামিকা আক্তার, বাবা নূর আলম সোহান, আয়েজের ফুপু ও গাড়ির চালকও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিরাজদিখানের কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু জানান, এমন মৃত্যু কখনও মেনে নিতে পারছি না। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। প্রত্যেক ড্রাইভারের ডোপ টেস্ট করা উচিত।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইলন মাস্কের উগ্র-ডানপন্থী সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
বিজিবির সহায়তায় অবশেষে মুহুরী নদীতে সেচ পাম্প চালু
গাজায় নিহত ৩৬, হাসপাতালের পরিচালককে গ্রেফতারে বিশ্বজুড়ে নিন্দা
ইসলামি সংগীতে অনন্য মুজাহিদ বুলবুল
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় সাদপন্থী হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
বিমান থেকে ছিটকেও যান কেউ কেউ! দ.কোরিয়ার দুর্ঘটনায় যেভাবে ১৭৯ জনের মৃত্যু
যেখানে ভূতের ভয়, সেখানে প্রধানমন্ত্রী রয়!
বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে গেল অটোরিকশা, নিহত ৫
কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মোছে? ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি উমামার
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
হিন্দু সেজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নারীসহ গ্রেপ্তার ১০
তুরস্কে ৮ বছরের মেয়ে শিশু হত্যার ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
আটঘরিয়ায় বাঁশঝাড়ে কিশোরী খুন, টাঙ্গাইল আশেকপুর থেকে প্রধান আসামী গ্রেফতার
এখনও পুলিশের অনেক সদস্য দেদারসে ঘুষ খাচ্ছে : সারজিস আলম
সাভারে ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার-২
সিরিয়ার রক্তাক্ত ইতিহাস , গণহত্যা ক্ষেত্রে শিশুরা খুঁড়ে পেল মানুষের খুলি
পাঁচ লাখ টন ডাল উৎপাদনের লক্ষ্যে বরিশালের কৃষিযোদ্ধাগন মাঠে
উলিপুরে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
টিজারেই বাজিমাত 'সিকান্দার', ঈদে শুভ মুক্তি