মহেশখালীর হোয়ানক বেক্সিমকো ঘোনার দক্ষিণে প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণের পায়তারা করছে একটি আওয়ামী ভূমিদস্যু চক্র।
গত বছর প্রায় ১০০ একর প্যারাবন ধ্বংস করেছিল এই চক্র। এই বছরও চিংড়িঘের নির্মাণ করার জন্য এক্সকাভেটর নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফার ভাই মারুফ ও হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান মীর কাশেমের ভাতিজা রুহুল। কিন্তু রহস্য জনক কারণে নিরবতা পালন করছে উপকূলীয় বন বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কক্সবাজারের মহেশখালীর পরিবেশ সংকটাপন্ন হোয়ানক ইউনিয়নের আমাবশ্যখালী মৌজার বেক্সিমকোর দক্ষিণ পার্শ্বে প্যারাবন নিধন করে চিংড়ি ঘের তৈরি করার জন্য এড. শাহাবুদ্দিনের ঘের দখলের পায়তারা করছে। এজন্য এক্সকাভেটর নিয়ে আসে পলাতক আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফার ভাই মারুফুল হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান মীর কাশেমের ভাতিজা রুহুল আমিন। রাতের আধারে প্যারাবনের গাছ কেটে তারা চিংড়ি ঘেরে নির্মাণকাজ করার জন্য এক্সেভেটর টি নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ওই ঘোনা দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে বড় মহেশখালী ইউপির মারুফুল হক,হোয়ানক ইউনিয়নের মোহরাকাটা এলাকার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল ভূমি দস্যু।
এড. শাহাবুদ্দিনের ঘেরে এক্সেভেটর দেখতে পেয়ে তিনি নিজে উপকূলীয় বন বিভাগ কে ২০ মে মৌখিক অভিযোগ জানান। যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কিন্তু সেই দিনও বনবিভাগ অভিযানের নামে গিয়ে নাটক করে কিছু দেখতে পায়নি বলে স্থানীয়দের জানান। জানা যায়, বন বিভাগ অভিযানে যাওয়ার আগে চক্রটির সাথে কর্মকর্তাদের গভীর সাক্ষাৎ গড়ে উঠায় আগেভাগে এক্সেভেটর সরিয়ে রাখে। অথচ ২২ মে বিকাল ৫ ঘটিকায় উক্ত এক্সেভেটর টি এড. শাহাবুদ্দিনের চিংড়ী ঘেরে অবস্থান করছে প্রকাশ্যে। সুযোগ বুঝে রাতের আধারে বন বিভাগ কে ম্যানেজ করে বনবিভাগের ১০০ একর জমিটিতে মাটি কেটে বাঁধ তৈরি করে চিংড়ী ঘের তৈরি করবে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
সূত্র মতে, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের আমাবশ্যখালী মৌজায় বেক্সিমকোর দক্ষিন পাশের প্যারাবনের জায়গার পার্শ্ববর্তী চিংড়ি ঘের ও জমির মালিক শাহাবুদ্দিন বনবিভাগে লিখিত অভিযোগের সূত্র মতে মহেশখালীতে প্যারাবনের জায়গায় চিংড়িঘের করার জন্য পলাতক আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড সিরাজুল মোস্তফার ভাতিজা সহ একটি গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে।
উক্ত ঘের নির্মান বন্ধ করার জন্য উক্ত সিন্ডিকেটর বিরুদ্ধে উপকূলীয় বন বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেন এডভোকেট শাহাব উদ্দিন। সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন, রুহুল আমিন, মারুবুল হক, মহসিন আনোয়ার, মোস্তাফা আনোয়ার, শাহেদ আজিজ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, সলিম উল্লাহ ।
বন বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে যে কোন সময় ভূমিদস্যূ চক্রটি শতাধিক শ্রমিক দিয়ে প্যারাবন গাছ কাটার পর খননযন্ত্র দিয়ে চিংড়ি ঘেরের জন্য বাঁধ নির্মাণ করবে।
তবে ২০ মে দুপুরে প্যারাবনে নাটকীয় অভিযান চালায় বনবিভাগ। এ বিষয়ে মহেশখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা আয়ুব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্যারাবনে এক্সকাভেটর ঢুকেছে এ ধরনে সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে তারা সে স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু সেখানে কোন আলামত পাওয়া যায় নি। যদি কোন সিন্ডিকেট প্যারাবন ধ্বংস করার পায়তারা করে সাথে তা প্রতিহত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।