বিজিএপিএমইএ’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন নিয়ে ফের জটিলতা
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম
বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৪-২৬ অনুষ্ঠান নিয়ে আবারও জটিলতা শুরু হয়েছে। আগামী ১১ মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তবে নির্বচানকে কেন্দ্র করে মামলা আর বার বার উকিল নোটিশের ঘটনায় সময় মতো নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত সোমাবার চূড়ান্ত প্রার্থী এবং প্রত্যাহারকৃত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের শেষ দিন ছিল। তবে প্রার্থীরা জানেন না ঢাকা ও চট্টগ্রামে কিভাবে নির্বাচন হবে। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিজিএপিএমইএ নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাণজ্যি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, সমিতির সংঘবিধি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী তফসিলে বলা হয়েছে পরিচালনা পরিষদে ২১ জন পরিচালকের মধ্যে ১৬ জন ঢাকাস্থ কারখানার সদস্যদের মধ্য থেকে এবং ৫ জন চট্টগ্রামস্থ কারখানার সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। একজন ভোটার কতটি ভোট দেবেন বা অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের মতো সব প্রার্থীকে ভোট দিবেন কিনা এব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু উল্লেখ না থাকায় জানতে চাইলে রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে তারা এখনও কিছু জানেন না। আগামীকাল বুধবার প্রার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ছাড়া এবছর চট্টগ্রামে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে কিনা এব্যাপারেও বুধবারের সভায় তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, পোশাক খাতের প্রধ্যান বাণিজ্য সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র নির্বাচনে একজন ভোটার ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক পরিচালক পদে ভোট দিয়ে থাকেন। তবে গতবার বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনে ঢাকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শুধু চট্টগ্রামের ভোটারদের ভোটে চট্টগ্রামের পরিচালকরা নির্বাচিত হন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গতবারের নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। একই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত প্রশাসকও পক্ষপাত মূলক আচরণ করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উপসচিব ও সংগঠনটির প্রশাসক মশিউর রহমান তা অস্বীকার করেন। এ ছাড়া মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করেন সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ বেলাল সদস্যদের কাছ থেকে তাদের প্রাপতার অনুমতিপত্র (ইউপি) পাশ করিয়ে দেয়ার নাম করে জন প্রতি আড়াই হাজার টাকা নিয়ছিলেন, যা সংগঠনের তহবিলে জমা হয়নি। তার অভিযোগ মোহাম্মদ বেলাল একই সঙ্গে আমাদানিকারক ও উৎপাদক সমিতির নেতেৃত্বে আছেন, যা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী অবস্থান। এ ছাড়া তিনি ৫০টির বেশি নিস্ক্রয় বন্ড লাইসেন্স নিজের কাছে রেখে তা দিয়ে ব্যবসা করছেন বলেও অভিযোগ করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। এসব প্রশ্নের জবাবে এবিএস কার্টন অ্যান্ড এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ বেলাল বলেন, সাবেক সভাপতি জাল জালিয়াতির কারণে বরখাস্ত হয়েছেন। তিনি ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, গতবার যেভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আলাদাভাবে নির্বাচন হয়েছে। এবারও একইভাবে হতে হবে। ইতিমধ্যে আমরা উকিল নোটিশ দিয়ে রেখেছি। এর ব্যতয় হলে আদালতে যাবো। একটিভ মেম্বারর্স ইউনিয়ন নামে একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পলি প্ল্যান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরুল আলম। তিনি বলেন, আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন ঢাকা ও চট্টগ্রামে আলাদাভাবে নির্বাচন হবে। বুধবারের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। বাণিজ্য সংগঠনটির নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ নামে অন্য প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আদজি ট্রিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএপিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মো. শাহরিয়ার। তিনি বলেন, আমারা কোনো ধররের কাদা ছোঁড়াছুড়িতে নাই। ভোটাররা যদি আমাদেরকে নির্বাচিত করে ব্যবসা-বান্ধব, আধুনিক, শক্তিশালী এবং প্রগতিশীল ও স্মার্ট বিজিএপিএমইএ গঠনে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো। এ ছাড়া ভোটারা যদি অন্যদেরকে নির্বাচিত করে তাদেরকে সহযোগিতা করবো সংগঠনকে এগিয়ে নিতে। নির্বাচনী তফসিলের ১২০ দিন আগে সদস্য হয়েছে এমন কারাখানার ভোটার হওয়ার শর্ত থাকলেও প্যারাগন এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ ইসমাম, এসআরসি এক্সেসরিজের মো. মুরাদ ও অধুনা এক্সেসরিজের চৌধুরী জুনায়েদ হোসেনের ক্ষেত্রে তার ব্যতয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রাজ্জাকুল ইসলাম। বোর্ডের সদস্যরা হলেন উপসচিব আশরাফুর রহমান ও তানিয়া ইসলাম। বিজিএপিএমইএ দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য সরবরাহকারী কারখানা মালিকদের সংগঠন। এই সংগঠনের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনকে অপসারণ করেছে। এর ৯ দিন পর সংগঠনটিতে প্রশাসক বসায় মন্ত্রণালয়।
বিভাগ : ব্যবসা-বাণিজ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ