বিকেএমইএ ও জার্মান অ্যাম্বাসির অনুষ্ঠানে বক্তারা ত্রিমুখী সঙ্কটে পোশাক খাত
১১ জুন ২০২৩, ০৯:০০ পিএম | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
একদিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট। অন্যদিকে কমপ্লায়েন্সের নামে তৈরি পোশাক খাতে একের পর এক শর্ত দিচ্ছে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো, এই ত্রিমুখী সঙ্কট মানতে গিয়ে খরচের বোঝা চাপছে মালিকদের ঘাড়ে। অথচ শত অনুরোধেও পোশাকের দাম বাড়াচ্ছে না এক সেন্টও। বিদেশি ক্রেতাদের এমন দ্বিমুখী আচরণে ক্ষুব্ধ পোশাক মালিকরা।
রোববার (১১ জুন) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও জার্মান অ্যাম্বাসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান উদ্যোক্তারা।
দামে ও মানে ভালো হওয়ায় বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানই যার বড় প্রমাণ। ইইউর পরিসংখ্যান বিভাগ ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, ইউরোপে সস্তায় পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতি কেজি পোশাক বিক্রি হচ্ছে ১৭ দশমিক ২৭ ডলারে। যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দী ভিয়েতনাম বিক্রি করছে ৩০ দশমিক ৭৬ ডলারে, যা বাংলাদেশের চেয়ে ৭৮ শতাংশ বেশি।
তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে কারখানাগুলো। পাশাপাশি কাঁচামালের দাম বাড়ায় কমেছে উৎপাদন। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে কমপ্লায়েন্সের নামে ক্রেতাদের নানা শর্ত। এতে আরও বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। অথচ পোশাকের দাম বাড়াতে মালিকদের আলোচনা, শত অনুরোধ আমলে নিচ্ছে না বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো।
এ অবস্থায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ব্র্যান্ডগুলোকে আবারও পোশাকের দাম বাড়ানোর আহ্বান উদ্যোক্তাদের। এ ছাড়া বিকেএমইএ’র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, কমপ্লায়েন্সের শর্ত মেনে ও গুণগতমান বজায় রেখে সস্তায় পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব নয়। আর ব্যবসা টিকিয়ে পোশাক মালিকরা সময়মতো কমপ্লায়েন্সের শর্ত বাস্তবায়ন করছে বলে জানান বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানিকারক দেশ হিসেবে কমপ্লায়েন্স সংক্রান্তু ইস্যু দেশের বাণিজ্যে কোনো বাধা হবে না।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে দেশে সাড়ে ৪২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে, যা মোট পণ্য রফতানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ