আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারি কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা
২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন, জিবুতি, ইরাক, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, তিউনিসিয়া, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ব্রুনাই, ক্যামেরুন, জর্দান, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, মিসর, সোমালিয়া, ইরান, বাহরাইনসহ আরো অনেক দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এসব দেশের রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামী। এসব দেশে শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক। ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার যে দ্বৈত প্রায়োগিক ব্যবস্থা তার আঁতুড়ঘর হলো মধ্যপ্রাচ্য। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবগুলো দেশের শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। এসব দেশে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। ইসলামী শিক্ষার সাথে বাস্তবতা ও যুগসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সমন্বয় করে শিক্ষাকারিকুলাম প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে সেসব দেশে একজন শিক্ষার্থী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞানেও যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়ে থাকেন। সেখানে কোনো শিক্ষার্থী আধুনিক জ্ঞানে যেমন পিছিয়ে নেই, ঠিক তেমনি ধর্মীয় ক্ষেত্রেও তার মধ্যে কোনো শূন্যতার উপস্থিতি নেই।
সৌদি আরবের সরকারি স্কুলব্যবস্থা সাধারণত দু’ধরনের। প্রথমত: জেনারেল স্কুল, দ্বিতীয়ত: তাহফিজুল কোরআন স্কুল। জেনারেল স্কুলব্যবস্থায় আধুনিক বিষয়গুলো বেশি পড়ানো হয়। এখানে ইসলামী বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে কম পড়ানো হয়। তথাপিও এ ব্যবস্থায় ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোকে আবশ্যিক করে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। তাওহীদ, তাফসীর, হাদীস ও ফিকহÑ এই চারটি বিষয় সব ধরনের জেনারেল স্কুলে বাধ্যতামূলক। ফলে একজন শিক্ষার্থী যেকোনো স্কুলেই পড়ুক না কেনো, সে ধর্মীয় বিষয়ে মৌলিক জ্ঞানের অধিকারী হয়ে থাকে।
আর দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের আলিয়া শিক্ষা ব্যবস্থার মতো। এ ব্যবস্থায় একজন ছাত্র হাফেজ হতে পারে। তাফসির, হাদিস, ফিকহ, আকিদা ও আরবি সাহিত্যে ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে পারে। পাশাপাশি ইংরেজি, অংক, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞানসহ আধুনিক জ্ঞানে যোগ্য ও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর শেষ করে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঐ শিক্ষার্থী নিজের পছন্দের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জ্ঞান গবেষণার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, সেহেতু সেখানে রয়েছে উচ্চতর ইসলামী গবেষণার অবারিত সুযোগ। সেখানে একজন শিক্ষার্থীর নির্ধারিত বিষয় যা-ই হোক না কেনো, সময়োউপযোগী ইসলামী বিষয়ে পড়াশোনা বাধ্যতামূলক। সেটা সায়েন্স হোক, মেডিক্যাল হোক বা অন্য যেকোনো বিষয় হোক না কেনো। সৌদিতে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ব্রিটিশ স্কুল, বাংলাদেশি স্কুল, গ্লোবাল স্কুলসহ বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলের প্রত্যেকটিতে আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় রয়েছে। তবে প্রাইভেট স্কুলগুলোর চেয়ে সরকারি স্কুলগুলোতে ধর্মীয় বিষয়ের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়।
সৌদি আরবের ন্যায় কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, ইয়েমেন ও ওমানে শিক্ষার সর্বস্তরে আধুনিক শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয় সাধিত হয়েছে। গোটা মধ্যপ্রাচ্যের শিক্ষাকাঠামো ঘুরেফিরে প্রায় অভিন্ন সিলেবাসের আওতাধীন। আরব আমিরাতে কিছু আধুনিক শিক্ষাঙ্গন গড়ে উঠেছে। যারা এ প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলেছেন তাদের উদ্দেশ্য হলো, একজন শিক্ষার্থী একদিকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী হবে পাশাপাশি সে ধর্মের মৌলিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবে। তবে বিদেশিদের জন্য কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তাতে ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব কিছুটা কম। তবে একেবারে শূন্য নয়। কুয়েত সরকার ইসলামী শিক্ষাকে অন্য দেশের তুলনায় আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে কুয়েতের শিক্ষা কারিকুলামে। সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা দেশ গঠনে এগিয়ে নিচ্ছে জোর কদমে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো ওমান সরকারও সমন্বিত শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার চমৎকার সমন্বয় ঘটেছে ওমানের সরকারি শিক্ষাকারিকুলামে। অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনও এক্ষেত্রে একটুও পিছিয়ে নেই। ইয়েমেনের একটি আধুনিক স্কুলেও ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। দেশের সকল পদ্ধতিতে আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার শিকড় প্রোথিত করেছে ইয়েমেন সরকার।
এটা স্মর্তব্য যে, মধ্যপ্রাচ্যের শিক্ষাব্যবস্থা সর্বদিক থেকে বিশ্বমানের। এসব দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তারা তাদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখেছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষাকে বাদ দিয়ে কিংবা খাটো করে তারা এগিয়ে যায়নি। বরং ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গনের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষালয়েও ইসলামী শিক্ষার প্রাণপ্রবাহ অব্যাহত রেখে তারা ক্রমবর্ধমান উন্নতি করে যাচ্ছে।
কোস্টারিকা, লিশটেনস্টাইন, মাল্টা, মোনাকো, ভ্যাটিকান, অ্যানডোরা, আর্জেন্টিনা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, এলসালভাদর, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, পোল্যান্ড, স্পেন, গ্রিস, জর্জিয়া, বুলগেরিয়া, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, টোঙ্গা, টুভালু, স্কটল্যান্ড, ফ্রান্স ও হাঙ্গেরির রাষ্ট্র ধর্ম খ্রিষ্টান। এসমস্ত দেশের কোথাও ধর্ম শিক্ষাকে বাদ দেওয়া হয়নি। এসব দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ধর্মতত্ত্ব নামে একটি বিভাগ বা অনুষদ রয়েছে। সেখানে দেশ-বিদেশের যেকোনো শিক্ষার্থী তার পছন্দের ধর্ম নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এদেশে ৯০ ভাগের বেশি জনসংখ্যা মুসলিম। এদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা ৫০ এর অধিক। কিন্তু মাত্র সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ আছে। যাও আছে তা আবার অযত্ন আর অবহেলায় জর্জরিত। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলাম সম্পর্কে জানার কোনো ব্যবস্থা নেই!
একটা মুসলিম দেশ হিসেবে যে ধরনের শিক্ষা কারিকুলাম থাকা উচিত সেটা বাংলাদেশে আজও প্রণীত হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর দেশে মোট সাতটি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে ২০১০ সালে। এ শিক্ষানীতিতে ধর্ম, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। আর এ নীতির উপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতি জাতীয় শিক্ষাক্রমে প্রতিফলিত হয়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২-এ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ইসলামী শিক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শাখা থেকে ইসলামী শিক্ষাকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর বর্তমানে মানবিক শাখায় ইসলামী শিক্ষাকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ শিক্ষা কলেজগুলোতে অবহেলিত অবস্থাতেই পড়ে আছে। এতে কলেজের ইসলামী শিক্ষার শিক্ষকগণ ঐচ্ছিক বিষয়ের একজন গুরুত্বহীন শিক্ষকে পরিণত হয়ে আছেন। অন্যদিকে এ বিষয়ের ছাত্রসংখ্যাও আস্তে আস্তে লোপ পেতে পেতে তলানীতে গিয়ে থেমেছে। অথচ, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষেও কলেজগুলোতে মানবিক, বিজ্ঞান এবং ব্যবসায়-সকল শাখার শিক্ষার্থীগণ ইসলামী শিক্ষাকে আবশ্যিক সাবজেক্ট হিসেবে গ্রহণ করতো।
এটা সর্বজনবিদিত যে, এই উপমহাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়েছিল মাদরাসা শিক্ষা দিয়ে। ১২৭৮ সালে শারফুদ্দীন আবূ তাওয়ামা কর্তৃক সোনারগাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি বিশাল মাদরাসা। তৎকালীন সময়ে এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় বলা হতো। এ মাদরাসার পাঠ্যসূচিতে ছিল আরবী, নাহু, ছরফ, বালাগাত, মানতিক, কালাম, তাছাউফ, সাহিত্য, ফিক্বহ, দর্শন ইত্যাদি। মোগল আমলে (১৫২৬ থেকে ১৮৫৭ সালে) বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা এ পাঠ্যসূচির সাথে সংযুক্তি ঘটে। জীববিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, গণিত, ভূগোল, কৃষি, লোকপ্রশাসন, চারুকলা ইত্যাদি জ্ঞানের এ শাখাগুলো মাদরাসাশিক্ষার সাথে সংযুক্ত হয়। এভাবেই প্রাচীনকালে মাদরাসাশিক্ষার মাধ্যমে উপমহাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার সোনালি অধ্যয়ের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ইংরেজ আমলে (১৭৫৭-১৯৪৭) দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাদরাসাশিক্ষার পথ সংকুচিত হতে থাকে। আর এ সংকুচিত শিক্ষার পিঠে শেষ পেরেকটি মারেন শেখ হাসিনা।
বর্তমানে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ড. ইউনূস একজন বিশ্বনন্দিত নোবেল লরিয়েট। দুনিয়াময় রয়েছে তার সুখ্যাতি। প্রকৃত শিক্ষাবান্ধব বলতে যা বোঝায় তার সবই তিনি লালন করেন। ইতোমধ্যে তিনি রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ উপলক্ষে তিনি কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। জাতি আশা করছে তার নেতৃত্বেই শিক্ষা ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত সংস্কার সাধিত হবে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে অনেক শিক্ষানীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু তার বেশির ভাগই ছিল তাদের গোষ্ঠিগত চেতনাকে সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার নোংরা প্রয়াস। ছিল ভারতের চাপিয়ে দেওয়া এক ভাঁওতাবাজি শিক্ষা কারিকুলাম। প্রতিবছর যেটাকে কেটে ছিঁড়ে ঘঁষামাজা করে চাপিয়ে দেওয়া হতো কিশোর ছেলে-মেয়েদের উপর!
ছাত্রজনতার নেতৃত্বে ভারতপ্রেমী সেই শক্তির পতন ঘটেছে। আমরা মনে করি, এ পতনের মাধ্যমে বাংলায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। এ মুহূর্তে জাতি তাদের কাছে একটি নৈতিকতা নির্ভর টেকসই শিক্ষাকারিকুলাম প্রত্যাশা করছে। তারা আশা করছে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কাক্সিক্ষত সংস্কার ও পুনর্গঠনের মাধ্যমে শক্তিশালী ও কার্যকর একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
বিগত সরকার ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপে দেশের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলামশূন্য করেছিল। জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা থেকে তারা ইসলামী শিক্ষাকে উঠিয়ে দিয়েছিল। ফলে তরুণ প্রজন্ম ধর্মহীন শিক্ষানীতির কবলে পড়ে নির্জীব ও অনৈতিক নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। সরকারসৃষ্ট দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আয়-বৈষম্য ও পর্নোগ্রাফির বিষাক্ত ছোবলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। অনৈতিক সরকারের বিদায় হলেও ঠিক এই মুহূর্তে যুবসমাজ এক অন্ধকারময় জীবন অতিবাহিত করছে। একধরনের ট্রমাটাইজড অবস্থায় তারা নিপতিত হয়ে আছে। এমতাবস্থায়, তাদেরকে ন্যূনতম একটু ধর্মের শিক্ষা প্রদান সময়ের অনিবার্য দাবি। তাই কোমলমতি শিশু ও কিশোরদের সিলেবাসে অনতিবিলম্বে ইসলামী শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করুন! এ শিক্ষা স্কুল ও কলেজের সকল স্তরে বাধ্যতামূলক ঘোষণা দিন! বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামী শিক্ষার উচ্চতর গবেষণা প্রকল্প চালু করুন! প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব নামে একটি অনুষদ চালু করুন। উক্ত অনুষদের অধীনে ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামী দর্শন, ইসলামী কলা ইত্যাদি বিভাগ চালু করুন! শিক্ষাকারিকুলামে আইন করে এ শিক্ষাকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করুন।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি
‘পতনের’ মুখে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন
বিশ্বব্যাংক আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির প্রদর্শনী
আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
সিলেট সীমান্তে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
২ মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানালেন মঈন খান
সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম
সিংগাইরে সাংবাদিক মামুনের বাবার ইন্তেকাল
বিরামপুরে ধান-ক্ষেত থেকে হাত বাধা আদিবাসী দিনমজুর মহিলার লাশ উদ্ধার!
আওয়ামী সরকার শুধু ফ্যাসিস্ট নয় তাদের আরেকটা নাম দিয়েছি স্যাডিস্ট : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুবিকে ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা
লাল পাহাড়ের দেশকে বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অরুণ চক্রবর্তী
বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান
আগামী রোববার-সোমবারও বন্ধ থাকবে ঢাকা সিটি কলেজ
অত্যাধুনিক সব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাব ইউক্রেনে: পুতিন
নির্বাচনে যত দেরি ষড়যন্ত্র তত বাড়বে: তারেক রহমান
‘ফিফা ছিল খুবই দুর্বল, আমিই একে বিশাল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছি’
ফ্যাসিস্ট হাসিনা কাউকে রেহাই দেয়নি, জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে পালিয়ে গেছেন: রিজভী
স্বৈরাচার সরকারের দোষররা এখনো মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে: রফিকুল ইসলাম খান