ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ঢাকা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শহর। কিন্তু কালপরিক্রমায় নানা ধরনের সংকট বাড়তে বাড়তে ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন নেতিবাচক বিশেষণে ভূষিত হয়েছে ঢাকা, যার অন্যতম হচ্ছে: ব্যাপক যানজটের শহর, বায়ু দূষণের শহর, জলাবদ্ধতার শহর, নদী দূষণের শহর, দুর্গন্ধের শহর, মশা-মাছির শহর, মাদকের শহর, মার্কেটের শহর, জনজটের শহর, আবাসন সংকটের শহর, চিকিৎসা সংকটের শহর, বস্তির শহর, হকারদের শহর, শব্দ দূষণের শহর, দুর্ঘটনার শহর, রিকশার শহর, অবৈধ যানবাহনের শহর, দখলের শহর, অগ্নিকা-ের শহর, শিক্ষা সংকটের শহর, খেলা ও বিনোদন সংকটের শহর ইত্যাদি। সরকার ও নগর পিতাগণ ঢাকার সংকট দূর করে তিলোত্তমা ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বহুবার। তবুও ঢাকার কোনো উন্নতি হয়নি। বরং উত্তরোত্তর সংকট বেড়ে বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছে। ঢাকা সম্পর্কে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক কিছু তথ্য হচ্ছে: গত জানুয়ারিতে বিবিসি সায়েন্স ফোকাস সাময়িকী প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের তালিকায় ঢাকা ৭ম, মোট লোকসংখ্যা ২ কোটি ২ লাখ। জাতিসংঘের মতে, স্বাস্থ্যকর শহরে প্রতি একর এলাকায় সর্বোচ্চ ১২০ জন বাস করতে পারে। কিন্তু ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় ৭০০-৮০০ জন মানুষ বাস করছে। ইউএন হ্যাবিটেটের হিসাবে একটি আদর্শ বড় শহরে কমপক্ষে ২৫% সবুজ, ১৫% জলাভূমি ও ২০% সড়ক এলাকা থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ঢাকায় আছে সবুজ-২%, জলাভূমি-১.২৬% ও সড়ক-৮% এলাকা। গত জুলাই মাসে প্রকাশিত ফোর্বসের সূচক মতে, পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহর হিসেবে বিশ্বের ৬০টি শহরের মধ্যে ঢাকা ষষ্ঠ, স্কোর ৮৯.৫০। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স-২০২৪ অনুযায়ী, বাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকা ১৬৮তম (গত বছর ছিল ১৬৬তম)। মার্সার কষ্ট অব লিভিং সার্ভের প্রতিবেদন-২০২৪ মতে, বিশ্বের ব্যয়বহুল ২২৬টি শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৪০তম (২০২৩ সালে ছিল ১৫৪তম)। গত ২২ মে প্রকাশিত অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ১৬৩টি দেশের এক হাজার শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩০৯তম। ইকোনমিস্টের রেজিলেন্স সিটিস ইনডেক্স : আ গ্লোবাল বেঞ্চ মার্ক অব আরবান রিক্স, রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি শীর্ষক প্রতিবেদন-২০২৪ মতে, বাছাইকৃত বিশ্বের ২৫টি শহরের তালিকায় ঢাকা ২৪তম। ২০২৩ সালে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের যানজটের কারণে বিশ্বের ধীরগতির শহরের সূচকে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে, পয়েন্ট ০.৬০। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ঢাকার ৪টি নদী বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক দূষিত। বিআইডিএস›র তথ্য মতে, ঢাকা শহরের যানজটের কারণে বছরে দেশের জিডিপির ৬% ক্ষতি হচ্ছে।
ঢাকার সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেশের পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত কিছুদিন আগে বলেছেন, ঢাকা এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’ রয়েছে। নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরকে সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় আনার জন্য একের পর এক পরিকল্পনা হচ্ছে। কিন্তু তার বেশির ভাগ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে শহরের সামগ্রিক পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশের অবনতি হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষের অভিমত হচ্ছে, ঢাকা সিটিকে দু’ভাগ করে বিন্দুমাত্র লাভ হয়নি। বরং অবনতি হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে! দেশের সব কাজের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা হওয়ায় ঢাকার সর্বনাশ ঘটেছে।
হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও মধ্যম আয়ের দেশের রাজধানী ঢাকার বর্ণিত অবস্থা চরম লজ্জাজনক এবং উন্নতির অন্তরায়! তাই ঢাকার সংকটগুলো দূর করে একটি বাসযোগ্য ও আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তোলা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে জলাবদ্ধতা দূর করার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার প্রায় সর্বত্রই ডুবে যায়, পানি থৈ থৈ করে। মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম বিঘœ ঘটে। কোথাও কোথাও বাড়ি, অফিস ও দোকানে পানি ওঠায় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়। সমগ্র শহর স্থবির হয়ে পড়ে। নৌকা ব্যবহার করতে হয় অনেক স্থানে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নামতে না পারার কারণেই এই দুর্গতি হয়। তাই বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য ঢাকার সব নদী ও খাল উদ্ধার করে সংস্কার করতে হবে। গত ৯ অক্টোবর ‘ব্লু নেটওয়ার্ক অ্যারাউন্ড ঢাকা সিটি’ শীর্ষক এক সেমিনারে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, রাজধানীর ৯টি জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৪টি খাল খনন করতে পারলে নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার ৮০% সমাধান হবে। এই ১৪টি খাল হচ্ছে: রূপনগর মেইন খাল, বাউনিয়া খাল, বাইশতেকি খাল, সাংবাদিক কলোনি খাল, কল্যাণপুর খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, পান্থপথ বক্স কালভার্ট খাল, রায়েরবাজার খাল, জিরানী খাল, রামপুরা খালের দক্ষিণ প্রান্ত, দোলাই খাল, কদমতলী খাল ও মান্দা খাল। এই খালগুলো দ্রুত দখলমুক্ত করে সংস্কার করতে হবে।তাহলে বৃষ্টির পানি খালে পতিত হয়ে দ্রুত নদীতে নেমে যেতে পারবে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
ঢাকায় ৪টি নদী (তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা) রয়েছে, যার বেশিরভাগই দখল হয়ে ছোট হয়ে গেছে।এ দখলদারের সংখ্যা প্রায় নয় হাজার বলে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অভিমত। নদীগুলো দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজিং না করার কারণে মজে গেছে।ফলে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। নদীগুলোর পানি দূষিত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।মাছ এবং জীব বৈচিত্র্যেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। ঢাকার পানি সর্বাধিক দূষিত হওয়ার কারণ হচ্ছে, অনবরত কলকারখানার বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা নদীতে পতিত হওয়া। তাই ঢাকার ৪টি নদীকে দখলমুক্ত করে ড্রেজিং করতে হবে মাঝে মধ্যেই। তাহলেই নদীগুলো জীবন্ত হবে। পানির ধারণ ক্ষমতাও অনেক বেড়ে যাবে। তাতে শহরের জলাবদ্ধতা বন্ধ হবে। মাছের উৎপাদন বাড়বে। নৌ চলাচলের সুবিধা হবে। উপরন্তু নদীগুলোতে কলকারখানার বর্জ্য ও নগরের ময়লা-আবর্জনা এবং পলিথিন ও প্লাস্টিক পতিত হওয়া বন্ধ করতে হবে। তাহলে পানি দূষণ মুক্ত হয়ে ব্যবহারের উপযোগী হবে। খাল ও নদীগুলো দখলমুক্ত করার পর সীমানা স্থায়ী করার জন্য দুই তীরে স্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণসহ পার্ক, বাগান ও হাঁটার পথ তৈরি করতে হবে। এসব হলেই নদীগুলোর ঐতিহ্য ফিরে আসবে। দখল হওয়া বন্ধ হবে। আমিন বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ওয়াটার বাস চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষার সময় ১০টি স্থানে পানি থেকে ব্রিজের উচ্চতা কম হওয়ায় ব্রিজের নিচ দিয়ে ওয়াটার বাস চলতে না পারায় সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকার চারিদিক দিয়ে বৃত্তাকার নৌ সার্ভিস গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যা বাস্তবায়ন করা জরুরি (এখনই টঙ্গী থেকে যাত্রা শুরু করে সদরঘাট হয়ে ডেমরা ব্রিজ, সেখান থেকে ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেট, তারপর আবার টঙ্গী এসে যাত্রা শেষ করা যায়। এই ১০৭ কিলোমিটারের বেশি নৌ পথে ঢাকাকে ঘিরে থাকা চার নদ-নদী ছাড়াও ধলেশ্বরী ও টঙ্গী খালের কিছু অংশ পড়ে)। এসব হলে পণ্য ও মানুষ পরিবহনের ব্যয় হ্রাস পাবে এবং রাস্তার উপর থেকে চাপ কমবে। সর্বোপরি আন্তঃজেলা বাস ও ট্রাক ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে ঢুকতে না দিয়ে সেগুলোর টার্মিনাল শহরের বাইরে করা হচ্ছে। এই কাজ শিগগির শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে অবৈধ যানবাহন, চালক চলাচল এবং অবৈধ পার্কিং, স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদ করতে হবে। তাহলে ঢাকা শহরের যানজট দূর হবে ও দুর্ঘটনা কমবে। উন্নতি ত্বরান্বিত হবে।
ঢাকার স্যুয়ারেজ লাইনগুলো বহু পুরাতন তাই অধিকাংশই ভেঙ্গে ও মজে গেছে। পাইপও ছোট। তাই পয়োঃপ্রণালী দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে না। ফলে বহু স্থানে ময়লা পানি উপচে রাস্তায় পড়ে। তাতে চলাচলের ব্যাপক অসুবিধা হয়। ব্যাপক গন্ধ সৃষ্টি হয়, যা সৌন্দর্য্য ও স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। সব স্যুয়ারেজ লাইন আধুনিক এবং বড় পাইপ স্থাপন করতে হবে এবং ড্রেন ও স্যুয়ারেজ লাইন ঘনঘন পরিষ্কার করতে হবে। ড্রেনগুলোতে পলিথিন ও প্লাস্টিক জমে নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়, নদী ও খাল খননেও অসুবিধা হয়। অবশ্য নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ও ওয়ান টাইম ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা কার্যকর করতে পারলে পরিবেশের যেমন অনেক কল্যাণ হবে, তেমনি ঢাকার সব খাল, নদী ও ড্রেনের অনেক কল্যাণ হবে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজিওয়ানা হাসান গত ২০ অক্টোবর বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব মার্কেট সম্পূর্ণ পলিথিন মুক্ত হবে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। তিনি গত ২২ অক্টোবর বলেছেন, বায়ু, শব্দ, প্লাস্টিক এবং নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার উদাহরণ স্থাপন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবেলার অভিযান চালিয়েছে গত ২১ অক্টোবর। তাতে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা প্রযুক্তিগত এবং ঢাকাস্থ নরওয়ে দূতাবাস আর্থিক সহায়তা করেছে। কিন্তু দূষণ, পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও পুরস্কার ঘোষণা করেই ক্ষান্ত হলে চলবে না, ঘোষণা বাস্তবায়নে ও অভিযানে কঠোরতা অবলম্বন করা না হলে সুফল মিলবে না।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি
‘পতনের’ মুখে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন
বিশ্বব্যাংক আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির প্রদর্শনী
আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
সিলেট সীমান্তে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
২ মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানালেন মঈন খান
সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম
সিংগাইরে সাংবাদিক মামুনের বাবার ইন্তেকাল
বিরামপুরে ধান-ক্ষেত থেকে হাত বাধা আদিবাসী দিনমজুর মহিলার লাশ উদ্ধার!
আওয়ামী সরকার শুধু ফ্যাসিস্ট নয় তাদের আরেকটা নাম দিয়েছি স্যাডিস্ট : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুবিকে ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা
লাল পাহাড়ের দেশকে বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অরুণ চক্রবর্তী
বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান
আগামী রোববার-সোমবারও বন্ধ থাকবে ঢাকা সিটি কলেজ
অত্যাধুনিক সব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাব ইউক্রেনে: পুতিন
নির্বাচনে যত দেরি ষড়যন্ত্র তত বাড়বে: তারেক রহমান
‘ফিফা ছিল খুবই দুর্বল, আমিই একে বিশাল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছি’
ফ্যাসিস্ট হাসিনা কাউকে রেহাই দেয়নি, জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে পালিয়ে গেছেন: রিজভী
স্বৈরাচার সরকারের দোষররা এখনো মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে: রফিকুল ইসলাম খান