এবারের সংক্ষিপ্ত পাক-ভারত যুদ্ধ : ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

১৩ মে ২০২৫, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ১৩ মে ২০২৫, ১২:২৬ এএম

গত ৬ মে গভীর রাত অর্থাৎ ৭ মে রজনীর প্রথম প্রহরে শুরু হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে চার দিনের আকাশ যুদ্ধ হলো সেটি হওয়ার কথা ছিলো না। কারণ, যে অছিলায় ভারত ৭ মে আজাদ কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ভূখ-ে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালিয়েছিলো সেই অছিলা ছিলো সারবত্তাহীন। ২২ এপ্রিল ভারতের দখলীকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক প্রাণ হারান। কারা ছিলো এই সন্ত্রাসী? কোনোরূপ তদন্ত হলো না। কিন্তু ঐ মর্মন্তুদ ঘটনার ২৪ ঘণ্টাও পার হলো না। ভারত সোজাসুজি বলে দিলো যে, পাকিস্তান এই হামলা করেছে। পাকিস্তান দৃঢ়তার সাথে ভারতের এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তখন ভারত বলে যে, পাকিস্তানের লস্করে তৈয়াবা নামক জঙ্গী সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। ভারত এ ব্যাপারে আরও যে বক্তব্য দেয়, সেগুলো ছিলো অসংলগ্ন। একবার বলে যে, লস্করে তৈয়াবার নামে পাকিস্তানের কিছু প্রশিক্ষিত ব্যক্তি এই হামলা চালায়। আর একবার বলে যে লস্করে তৈয়াবার আস্তানা পাকিস্তানে। পাকিস্তানই এই সংগঠনটি সৃষ্টি করেছে।

ভারতের এসব অসংলগ্ন অভিযোগের উত্তরে পাকিস্তান দাবি করে যে, পাহেলগাম হত্যাকা-ের একটি আন্তর্জাতিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। এই তদন্তকার্যে পাকিস্তান সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। এই হত্যাকা-ে যদি পাকিস্তানের কোনোরূপ হাত আছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে পাকিস্তান তাদেরকে শাস্তি দিতেও প্রস্তুত। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ২২ এপ্রিল থেকে ৬ মে দুপুর পর্যন্ত ভারত ভাঙ্গা কলের গানের রেকর্ডের মতো একই অভিযোগ বাজাতেই থাকে। এদিকে ভারতের এই সুসংগঠিত প্রচারণার ফলে ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তানবিরোধী জনমত প্রবল হয়ে ওঠে। তারা পাকিস্তান আক্রমণ করার জন্য নরেন্দ্র মোদির ওপর চাপ দিতে থাকেন। এমনকি কংগ্রেস দলও সেই প্রবাদ বাক্য Holier than the pope. অর্থাৎ, পোপের চেয়েও বেশি ধার্মিক, সেই প্রবাদ বাক্যের পথ ধরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোদির ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মর্মে হুমকি দেন যে, সন্ত্রাসীরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে।

তখনই বিবেকবান মানুষ বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই হত্যাকা- ভারতই তার গোয়েন্দা সংস্থা র’এর মাধ্যমে ঘটিয়েছে। এর সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য হলো দ্বিবিধ। প্রথমত, দেশে তার ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তা ফিরে পাওয়া। এটি তার দরকার। কারণ, এবছরই বিহারে বিধান সভা নির্বাচন হবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, তামিল নাড়–, মহারাষ্ট্র, দিল্লিসহ আগামী বছর ১৫টি প্রদেশে (রাজ্য) বিধান সভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচন থেকে বোঝা যাবে যে, জনগণ কোন দিকে হেলেছে। যদি এগুলোর মধ্যে বড় বড় রাজ্য যথা উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিল নাড়–, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি রাজ্যে বিজেপির পরাজয় ঘটে তাহলে সেই পরাজয় ভারতের পরবর্তী লোক সভার নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।

এবারের ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধটা হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘হিন্দু প্রাইডের’ যুদ্ধ। এর নামও দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশনের নাম অপারেশন সিঁদুর দেওয়া হলো কেনো? এখানেও আরএসএস তথা বিজেপির চরম হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নেওয়া হয়। হিন্দু বিবাহিত মহিলার চিহ্ন হলো মাথার সিঁদুর। এভাবে গোটা অপারেশনকে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ এবং পেছনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ হিন্দু ধর্মের রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের একটি সেক্যুলার চরিত্রের বাংলা দৈনিক পর্যন্তও লিখেছে যে প্রথমে শুরু হয়েছিলো কাশ্মীরের পাহেলগাম পর্যটকদের ওপর হামলাকে নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের নেতাদের বাগযুদ্ধ নিয়ে। এই কথার যুদ্ধ দিয়ে ব্যাপারটা চাপা দেওয়া যেতো।

কিন্তু মোদির ওপর পাকিস্তানের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো থেকে চরম চাপ শুরু হলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উগ্র হিন্দু জাতীয়বাদী আদর্শ সামনে রেখে রাজনীতি করেন এবং হিন্দু ভোটারদের কড়া সমর্থন নিয়ে বারবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। কাশ্মীরের এই হামলার জবাব না দিলে তাঁর ভোট ব্যাংকে ধস নামবে। তাই তিনি জেনারেলদের নির্দেশ দেন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে। মোদ্দাকথা, পাকিস্তানকে শাস্তি দিয়ে মোদির ‘হিন্দু প্রাইড’ ও হিন্দু ভোট ব্যাংক টিকিয়ে রাখাই ছিলো এ যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য। এখানে আরেকটি ফ্যাক্টর আছে। সেটি হলো, আগামী বছর বিজেপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনসমূহের প্যারেন্ট সংগঠন আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের ১০০ শত বছর পূর্তি হবে। এর আগেই তারা সারা ভারতকে আরএসএসের হিন্দুত্ববাদী আদর্শের মোড়কে ঢেকে দিতে চায়।

॥দুই॥
ভারতের এই হম্বিতম্বি দেখে শুধু পাকিস্তান নয়, পাকিস্তানের মিত্র তুরস্ক এবং বাংলাদেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষ বুঝেছিলেন যে, ভারত এবার সামরিকভাবে একটা কিছু করবে। প্রথম থেকেই আমার ব্যক্তিগত ধারণা ছিলো যে, আর যাই হোক, ভারত এমন কিছু করবে না যার ফলে দুইটি শক্তিধর দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ বেঁধে যায়। কারণ, ভারত এবং পাকিস্তান উভয়েই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। ভারত হামলা চালাবে প্রথমত তার হ্রাসকৃত জনসমর্থন পুনরুদ্ধার করতে। দ্বিতীয়ত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় একমাত্র পরাশক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। কিন্তু যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যেতো তাহলে সেটি পাকিস্তানের পক্ষে হতো অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। নিজের জীবনের ওপর আঘাত আসলে মানুষ শেষ নিঃশ^াস পর্যন্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়ে যায়, সে প্রতিপক্ষ তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হলেও।

ইতোমধ্যে সকলেই জেনে গেছেন যে, প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী। লন্ডনের বিশ^বিখ্যাত সামরিক জার্নাল ‘দি মিলিটারি ব্যালান্সের’ ২০২৪ সালের তথ্য মোতাবেক, ২০২৪ সালে সামরিক খাতে ভারতের ব্যয় ছিলো ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে পাকিস্তানের সামরিক খাতে ব্যয় ছিলো ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতের সামরিক ব্যয় পাকিস্তানের চেয়েও ৮ গুণেরও বেশি। অনুরূপভাবে ভারতের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৫৫ হাজার। সেখানে পাকিস্তানের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার। অর্থাৎ ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। ভারতের বিমান বাহিনীর বিমানের সংখ্যা ২২২৯টি। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের ১৩৯৯টি। ভারতের ট্যাংকের সংখ্যা ৪ হাজার ২০১টি। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের ২ হাজার ৬২৭টি। ২টি বিমানবাহী জাহাজসহ ভারতের রণতরীর সংখ্যা ২৯৩টি। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের ১২১টি।

বিমান বাহিনীতে ভারতের রয়েছে রাফাল, রুশ এসইউ-৩০, মিরাজ-৫, মিগ-২৯ প্রভৃতি। কিন্তু পাকিস্তানের রয়েছে মার্কিন এফ-১৬, চীনা জে-১০ সি, চীনা জে-১৭ থান্ডার, মিরাজ-৩ প্রভৃতি। বিস্তারিত বিবরণে দেখা যায় যে, সর্বাধুনিক জঙ্গী বিমান ভারতের রয়েছে অনেক বেশি। কিন্তু পারমাণবিক বোমায় দেখা যায় যে, ভারতের রয়েছে ১৪০টি। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের ১৫০টি। সুতরাং যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ লেগে যেতো তাহলে পাকিস্তানের অস্তিত্ব বিপন্ন হতো। সেক্ষেত্রে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা ছাড়া পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষা কঠিন হয়ে পড়তো। আর যদি পাকিস্তান অ্যাটম বোমা ফেলতো, তাহলে ভারতও ফেলতো। সেক্ষেত্রে ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতাসহ বড় বড় শহর ও জনপদ ধ্বংস হয়ে যেতো। অন্য দিকে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, করাচি, পেশাওয়ার, কোয়েটা প্রভৃতি শহর ও জনপদ ধ্বংস হয়ে যেতো। আর পারমাণবিক বোমা শুরু হলে আমেরিকা, চীন প্রভৃতি বিশ^ শক্তিও কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে পড়তো।

॥তিন॥
কিন্তু এবারের স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধ এতদিনের প্রচলিত ধারণাকে পাল্টে দেয়। গত ৬০/৭০ বছর হলো এই ধারণা চলে আসছে যে, আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশের যুদ্ধাস্ত্রসমূহ প্রযুক্তিগতভাবে চীনের চেয়ে অনেক উন্নত। সংখ্যাগতভাবে চীনের প্রচলিত অস্ত্র অনেক বেশি হলেও প্রযুক্তিগতভাবে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর সমকক্ষ নয়। কিন্তু গত চার দিনের লিমিটেড ওয়ার এই ধারণা পাল্টে দেয়। দেখা যায় যে, চীনের জে-১০ সি ফরাসি রাফায়েলকে ধরাশায়ী করেছে। অনুরূপভাবে চীন-পাকিস্তান জয়েন্ট কোলাবরেশনে নির্মিত জে-১৭ থান্ডার জঙ্গী বিমান রুশ এসইউ-৩০ এবং রুশ মিগ-২৯ কে ধরাশায়ী করেছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৪০০-কে সর্বাধুনিক বলা হলেও চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এসইউ-৩০০ কোনো অংশে পিছিয়ে নাই। চীনের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র সঠিক ও নিঁখুতভাবে আঘাত হেনেছে ফরাসি রাফায়েলকে।

॥চার॥
এই চার দিনের সীমাবদ্ধ যুদ্ধে প্রধানত ব্যবহৃত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। পাক-ভারত সীমিত যুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে, যুদ্ধ বিগ্রহের ক্ষেত্রে বিশ^ এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, যার নাম ড্রোন ওয়ার, অর্থাৎ ড্রোন যুদ্ধ। ড্রোন মনুষ্যবিহীন আকাশযান। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি একে রাডার ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। একই সাথে টার্গেটও নিপুণভাবে হিট করে। এবারের যুদ্ধে পাকিস্তান ব্যবহার করেছে নিজস্ব তৈরি ড্রোন, চীনের ড্রোন এবং তুরস্কের ড্রোন। পক্ষান্তরে ভারত ব্যবহার করেছে নিজস্ব তৈরি ড্রোন এবং ইসরাইলি ড্রোন। পাকিস্তানের দাবি, তারা ৬৯টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। পক্ষান্তরে ভারত দাবি করেছে যে তারা ৪০টিরও বেশি পাকিস্তানী ড্রোন ধ্বংস করেছে।

পাকিস্তানের ঝুলিতে ‘এক হাজারেরও বেশি ড্রোন’ রয়েছে, যার মধ্যে চীন, তুরস্কÑ এমনকি দেশীয় নির্মাতাদের মডেলও রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে চীনা ‘সিএইচ-৪’, তুরস্কের ‘বায়রাক্তার আকিনজি’ এবং পাকিস্তানের ‘বুরাক’ ও ‘শাহপার’ ড্রোন। উপরোন্তু পাকিস্তান তার আক্রমণের সক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে এবং যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করেছে।

এই যুদ্ধে প্রমাণ হলো যে, সর্বজনধিকৃত ইসরাইল ছাড়া ভারতের কোনো সমর্থক নাই। কিন্তু পাকিস্তানের পাশে রয়েছে চীন ছাড়াও তুরস্ক। এছাড়া মুসলিম জাহান তো আছেই। ভারত অনেক ভরসা করেছিলো আমেরিকার ওপর। কিন্তু আমেরিকা এবার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকেছে। বরং কেউ কেউ বলেন যে, আমেরিকার ডিপস্টেট পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারত এই এলাকায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হয়ে ওঠে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হওয়ায় ভারত আঞ্চলিক পরাশক্তি হয়ে ওঠে। কিন্তু ২০২৫ সালে প্রমাণিত হলো, ভারত, পাকিস্তান বলতে গেলে সমানে সমান। আগামীতে চীন এবং তুরস্ক পাকিস্তানকে আরও সর্বাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করবে বিপুল পরিমাণে। তখন পাকিস্তান ভারতের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে। আর পাকিস্তান যতো শক্তিশালী হবে বাংলাদেশও ভারতীয় রক্তচক্ষুর বিপরীতে ততো সুরক্ষিত হবে।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, অটুট সংহতিতে ইরান

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, অটুট সংহতিতে ইরান

নীলফামারী সরকারী কলেজের জায়গা হস্তান্তর না করার দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নীলফামারী সরকারী কলেজের জায়গা হস্তান্তর না করার দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নাসিরনগর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ে সেনাবাহিনী নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

নাসিরনগর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ে সেনাবাহিনী নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গণপিটুনিতে নিহত ডাকাত , দোকান মালিক সহ আটক-২

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গণপিটুনিতে নিহত ডাকাত , দোকান মালিক সহ আটক-২

ইরানের পুনর্গঠন সক্ষমতায় বিস্মিত ইসরায়েল : মার্কিন বিশ্লেষক

ইরানের পুনর্গঠন সক্ষমতায় বিস্মিত ইসরায়েল : মার্কিন বিশ্লেষক

ধামরাই থানায় ৫ মাস যাবৎ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নেই

ধামরাই থানায় ৫ মাস যাবৎ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নেই

লন্ডন থেকে দেশে ফিরে যে বার্তা দিলেন আমীর খসরু

লন্ডন থেকে দেশে ফিরে যে বার্তা দিলেন আমীর খসরু

দুই উপদেষ্টার বক্তব্যে আমরা আশাহত" - এক আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় সিলেটে বৃহত্তর জৈন্তিয়া উন্নয়ন পরিষদ

দুই উপদেষ্টার বক্তব্যে আমরা আশাহত" - এক আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় সিলেটে বৃহত্তর জৈন্তিয়া উন্নয়ন পরিষদ

সাংবাদিকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করলেন সমু চৌধুরী

সাংবাদিকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করলেন সমু চৌধুরী

স্টেম ইনোভেশন লিগ ২০২৫ -এ প্রথম স্থান অর্জন করল গ্লেনরিচ সাতারকুল

স্টেম ইনোভেশন লিগ ২০২৫ -এ প্রথম স্থান অর্জন করল গ্লেনরিচ সাতারকুল

হামজার পর এবার দেশে আসলেন যুক্তরাজ্যের পিপি রেঞ্জার্স ক্লাবের ফুটবলার সিলেটের তানভীর

হামজার পর এবার দেশে আসলেন যুক্তরাজ্যের পিপি রেঞ্জার্স ক্লাবের ফুটবলার সিলেটের তানভীর

সিলেটে করোনার আক্রান্ত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক : চিকিৎসায় প্রস্তুত শামসুদ্দিন হাসপতাল

সিলেটে করোনার আক্রান্ত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক : চিকিৎসায় প্রস্তুত শামসুদ্দিন হাসপতাল

ভ্যাপসা গরমে হাসপাতালে রোগীর ভিড়, সংকট স্যালাইনের

ভ্যাপসা গরমে হাসপাতালে রোগীর ভিড়, সংকট স্যালাইনের

গুমবিষয়ক স্থায়ী কমিশন গঠন করা হবে: আসিফ নজরুল

গুমবিষয়ক স্থায়ী কমিশন গঠন করা হবে: আসিফ নজরুল

নালিতাবাড়ীতে বিএনপি নেতার উপর আওয়ামী নেতার সন্ত্রাসী হামলা: গ্রেপ্তার দাবি

নালিতাবাড়ীতে বিএনপি নেতার উপর আওয়ামী নেতার সন্ত্রাসী হামলা: গ্রেপ্তার দাবি

চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী যুবক আটক

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী যুবক আটক

ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ছাত্রদলের শোক

ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ছাত্রদলের শোক

ঢাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচার দাবি সংবাদ সম্মেলন

ঢাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচার দাবি সংবাদ সম্মেলন

তেল আবিবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন দূতাবাস

তেল আবিবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন দূতাবাস