সুস্থ আছে পরিমণির ছেলে তাই ভালো আছেন মা পরি
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৫ এএম | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
'মা' একটি শব্দ যেন শান্ত করে ফেলে সন্তানদের সকল যন্ত্রনা। মা যেমনই হোক সে মা। এই পৃথিবীতে মায়ের মতো আসলে কেউ ভালোবাসতে পারে না,কস্মিনকালেও না। জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিমণি জীবনে প্রথম মা হওয়ার অনুভূতি পেয়েছিলেন বছর দুয়েক আগে। দেখতে দেখেতে তার চোখের সামনে একটু একটু করে পরিনত হচ্ছে ছোট্ট পূণ্য। ছেলে যখন অসুস্থ থাকে তখন মা কিভাবে ভালো থাকে?
ভালো নেই পরিমণির ছেলে পূণ্য'র শারীরিক অবস্থা। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভালো নেই মা পরি। সম্প্রতি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলের একটি ছবি পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী যেখানে দেখা যায় পূণ্য'র চোখ ফুলে একপ্রকার বন্ধই হয়ে গেছে তাছাড়াও চোখের ওপরের অংশ লাল হয়ে রয়েছে।
গতকাল (৩০ অক্টোবর) বুধবার রাতে এমন অবস্থায় ছেলের আকস্মিক ছেলের আহত হওয়ার একটি ছবি শেয়ার দিয়ে পরিমণি লিখেছেন, ‘দুর্ঘটনা’ তবে এই বাইরে অতিরিক্ত কোন তথ্য দেননি তিনি। জানা যায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছোট্ট পূণ্য।
কিছুদিন আগে পূণ্য'র দ্বিতীয় জন্মদিন পালিত হয়েছে মহা সমারোহ এবং সম্প্রতি নিজের জন্মদিন পালন করেছেন পরির অস্তিত্বতে মিশে থাকা দুই ছেলে মেয়েকে নিয়েই। ছবি দেওয়ার পূর্বে পরিমণি লিখেছিলেন,'দূর্ঘটনা ঘটে গেছে'। তবে আসলে কি করে ঘটলো এমন দূর্ঘটনা তা রয়ে গিয়েছিল অস্পষ্ট। এবার সেই বিষয়টি খোলাসা করলেন পরিমণি নিজেই।
ফেসবুকে আবারও একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন পরি যেখানে তিনি লিখেছেন,' গত ২৯ তারিখ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ 'রঙ্গিলা কিতাব' এর ট্রেলার লঞ্চিং এর আয়োজন ছিলো। সেখানে আমি আমার ছেলে কে নিয়ে যাইনি বা নিতে চাইও নি । তার অনেক গুলো কারণ এর মধ্যে একটি হলো আমি আসলেই চাইনি আমার বাচ্চা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ক্রাউড ফেইস করুক ।
দ্বিতীয়ত আমি আমার ছেলের জন্য দ্বায়িত্বরত (তিন জন) মানুষদের একটা সুন্দর/ প্রপারলি দ্বায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফেইল্ড ! আমার ছেলে টা ইনজুর্ড। স্বাভাবিক ভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি ইঞ্জুরড কিভাবে হয়েছে!? কেউ ই সত্যি/ ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি! তাদের একটাই উত্তর “আমি/আমরা কিছু জানিনা। কই কি হইছে দেখি তো “ !!! আমি একটা পর্যায়ে আমার কন্ট্রোল হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী অগুন লাগাতে ইচ্ছা হয়েছিল।
কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল। আমার ও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলে কে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই । ঘুম থেকে উঠে দেখি ছেলের এক চোখ আর খোলে না! কি করব বুঝতে পারি না। এভারকেয়ার হসপিটাল থেকে বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ছুটতে থাকি……এতো অসহায় লাগছিল আমার। যাই হোক ,আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।'
ভালো আছে পরির ছেলে। কেটে গেছে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। আসলে মায়ের স্থান কেউই নিতে পারেনা তিনজন কেন তিন হাজার কেয়ারটেকার হলেও একজন মায়ের অভাব পূরণ করা যায় না। এই পৃথিবীর সকল মায়ের সন্তানেরা ভালো থাকুক, ভালো থাকুক মা পরিরা।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
টানা তিন সেঞ্চুরিতে তিলাকের বিশ্ব রেকর্ড
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক
জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা: জ্বালানি উপদেষ্টা
গৌরনদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকান ঘরে বাস নিহত-১ আহত-৬
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ২ আ'লীগ নেতা গ্রেপ্তার
লাওসে ভেজাল মদপানে ৬ বিদেশির মৃত্যু
না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি
‘পতনের’ মুখে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন
বিশ্বব্যাংক আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির প্রদর্শনী
আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
সিলেট সীমান্তে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
২ মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানালেন মঈন খান
সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম
সিংগাইরে সাংবাদিক মামুনের বাবার ইন্তেকাল
বিরামপুরে ধান-ক্ষেত থেকে হাত বাধা আদিবাসী দিনমজুর মহিলার লাশ উদ্ধার!
আওয়ামী শুধু ফ্যাসিস্ট নয়, তাদের আরেকটা নাম দিয়েছি স্যাডিস্ট: মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুবিকে ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা
লাল পাহাড়ের দেশকে বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অরুণ চক্রবর্তী