দক্ষিণ সুদানে তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে ২০ লক্ষাধিক শিশু
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, দক্ষিণ সুদানে প্রায় ২০ লাখ শিশু ও ১০ লাখ গর্ভবতী নারী বা স্তন্যদানকারী মা ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার। নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যবিধির অভাব এবং রোগের বিস্তার এই সঙ্কটকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইএফএসপিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস শুরুর আগেই দক্ষিণ সুদানের এক কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৮০ লাখ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়বে। ইউনিসেফ বলছে, দেশটি কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধ ও আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ঘুরপাক খাচ্ছে এবং ২০ লাখের বেশি শিশু ও ১০ লাখের বেশি গর্ভবতী নারী বা স্তন্যদানকারী মাকে অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে বিশ্বকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা উচিত। দক্ষিণ সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি হামিদা লাসেকো বলেন, ‘জরুরি সহায়তা প্রয়োজন এমন শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীর সংখ্যা প্রত্যাশা-মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই শুধু এমনটা ঘটেনি, বরং অপুষ্টির স্থায়ী সমস্যা বহু গ্রামকে ধরাশায়ী করছে।’ প্রতিবেশী সুদানে দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা আট লাখ শরণার্থী ও ফিরে আসা লোকেরা দক্ষিণ সুদানের খাদ্য নিরাপত্তাকে আরো চাপের মধ্যে ফেলছে এবং ইতোমধ্যে সীমিত হয়ে আসা সম্পদে টান পড়ছে। জুবার ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বর এলাকায় নিয়ানতুর আদুর রিয়াক নিজের জীবনকে পুনরায় গড়ে তোলার জন্য বাড়ি ফিরে এসেছেন। তিনি পাঁচ সন্তানের মা এবং বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে সংঘাতের সময় তারা যখন এই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তখন তার শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছিল। রিয়াকের আশা, তার অনাগত সন্তান একটা সুস্থ ভবিষ্যৎ পাবে। তার পাকা বাঁশে ঘেরা বাড়িতে রয়েছে ছোট্ট একটা বাগান। এটাই আশার আলো দেখাচ্ছে তাকে। রিয়াক বলছেন, ‘রাইট টু গ্রো’ প্রকল্পের হাত ধরে তার সন্তানরা এখন আর অপুষ্টিতে ভুগছে না। আনিয়েত আনায়াং ডেং আরেকজন মা। তার মতে, নিরাপত্তাহীনতা ও বন্যা বেঁচে থাকাকেই দৈনিক লড়াইয়ে পরিণত করেছে। বরের কাউন্টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জেকব আজাক অপুষ্টির প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে দেখছেন। আজাক বলেন, ‘জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যের অভাব একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি আজ একটি শিশুকে ভর্তি করি ও তার চিকিৎসা করি তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু যখন তারা বাড়িতে ফিরে যাবে, সেখানে কোনো খাবার নেই।’ তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, কিন্তু ওষুধের অভাব। যেটুকু তারা পায় সেটুকু আসে ইউনিসেফের মতো অংশীদারদের কাছ থেকে। আজাক বলেন, একটি শিশু যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার পরিবারের পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিকের ব্যয় বহন করার মতো সামর্থ্য থাকে না। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ নামের সংস্থাটি অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে বহু কেন্দ্র তৈরি করছে, তবে ইউনিসেফ বলছে, অপুষ্টি রুখতে ও এর মোকাবেলা করতে আরও উদ্যোগ প্রয়োজন। ভিওএ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ