পারমাণবিক যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করলেন কিম জং
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ও উসকানি বৃদ্ধির অভিযোগ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপ এর আগে কখনই পারমাণবিক যুদ্ধের বড় ঝুঁকির সম্মুখীন হয়নি। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পিয়ংইয়ং ও মস্কোর ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতা এবং ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থনে ১০ হাজারের বেশি সৈন্য পাঠানো নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের আন্তর্জাতিক সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছেন কিম জং উন।কেসিএনএ বলেছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক সামরিক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে কিম জং উন বলেছেন, ওয়াশিংটনের সাথে পূর্ববর্তী আলোচনা উত্তর কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘‘আক্রমণাত্মক এবং বৈরী’’ নীতিকে তুলে ধরেছে। উত্তর কোরিয়ার এই নেতা বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধরত পক্ষগুলো কখনই এত বিপজ্জনক এবং তীব্র সংঘাতের মুখোমুখি হয়নি। এই পরিস্থিতি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক থার্মোনিউক্লিয়ার যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার জন্য যতটা সম্ভব অগ্রসর হয়েছি। কিন্তু সেই আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের আক্রমণাত্মক ও বৈরী নীতির কখনই পরিবর্তন ঘটতে পারে না বলে প্রমাণিত হয়েছে।’’ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে তার প্রথম মেয়াদে সিঙ্গাপুর, হ্যানয় এবং কোরীয় সীমান্তে কিমের সঙ্গে নজিরবিহীন তিনটি বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান এবং নিষেধাজ্ঞা প্রশমনে কিমের দাবির মধ্যে ব্যবধান থাকায় দুই নেতার কূটনীতির সুনির্দিষ্ট কোনও ফলাফল দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে কিমের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা বলে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসে তিনি বলেছিলেন, দুই দেশের মাঝে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ছিল; যে যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতো। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় সেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পেরেছিলেন বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। সিউলের কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের রিসার্চ ফেলো হং মিন বলেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের আগে কূটনীতির দরজা খোলা রেখে উত্তরের পারমাণবিক ক্ষমতার ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন কিম। নতুন করে যে কোনও ধরনের আলোচনা পুনরায় শুরু করা এবং মার্কিন বৈরী মনোভাবের পরিবর্তনের আহ্বান জানানোর আগে ট্রাম্পকে তার ‘‘সহাবস্থানের ইচ্ছা’’ দেখানো উচিত; কিম হয়তো এমন ইঙ্গিত দিতে চাচ্ছেন। অপর এক খবরে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদের বেঁধে দেওয়া সীমা অতিক্রম করে চলতি বছর আট মাসে রাশিয়া থেকে ১০ লাখের বেশি ব্যারেল তেল আমদানি করেছে উত্তর কোরিয়া। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এই তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওপেন সোর্স সেন্টার ও দেশটির সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার তেলবাহী ট্যাংকারগুলো মার্চ মাস থেকে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ভোসটোচনি বন্দরে ৪০ বারের বেশি যাতায়াত করেছে। স্যাটেলাইট ছবি, অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ডাটা (এআইএস) ও উত্তর কোরিয়ার নিষেধাজ্ঞা লংঘনকারী কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী মেরিটাইম টহল মিশনের প্রকাশিত ছবিতে এ প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই বন্দরের তেল টার্মিনালে ট্যাংকারগুলোকে বারবার পণ্য নিতে দেখা গেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার কারণে বছরে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ব্যারেল পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি করার অনুমতি রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পিয়ংইয়ং তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার তেল আমদানি প্রতিরোধে চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অচলাবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর হয়েছে। জুন মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরে দুই দেশের নেতারা একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সম্মত হন। এদিকে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে, রাশিয়ায় সামরিক সরঞ্জাম এবং ১০ হাজারের বেশি সেনা সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া। রয়টার্স, বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ