কাশ্মীর হামলার জেরে ভারতীয়দের সব ভিসা স্থগিত করল পাকিস্তান
২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০ এএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ এএম

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চিরকালীন টানাপোড়েন আবারও নতুন করে চরমে উঠেছে কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক হামলার পর। এই হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক, যেটিকে সাম্প্রতিক কালে কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চূড়ায় পৌঁছেছে এবং একের পর এক পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে এখন গোটা অঞ্চল জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক।
এই মর্মান্তিক হামলাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল), যেখানে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। নিহতদের অধিকাংশই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যার মধ্যে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা স্থগিত এবং ঐতিহাসিক সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা অন্যতম। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় নাগরিকদের সব ভিসা স্থগিত করেছে, ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের কূটনীতিক সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে, এবং ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এখন ভারতের সমস্ত ফ্লাইটের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং ভারতের কিছু কূটনীতিককে বহিষ্কারও করা হয়েছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরজুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশের ব্যাপক অভিযান, প্রায় ১৫০০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল, দোকানপাট ধীরে ধীরে আবারও চালু হলেও এলাকায় এখনো চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মিরি মুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে মারধরের হুমকিসহ উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলা হচ্ছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দু’দেশের এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কে নয়, দুই দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকেও প্রভাবিত করছে। একদিকে যেখানে শান্তি ও সহাবস্থানের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি, অন্যদিকে রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়াগুলো উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে। এখনই সময়—যখন দু’দেশের নেতৃত্বকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে আলোচনার পথে ফিরে আসতে হবে। শান্তি বিনষ্ট হলে কেউ-ই জয়ী হয় না, হার হয় শুধু মানবতার। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আমিরাতের উন্নয়নে বাংলাদেশিদের অবদানের প্রশংসা এবং সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ভাটা, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা

ব্রিফিংয়ে জয়সোয়াল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ!

আমদানি বৃদ্ধি ও শুল্ক কমানোর পণ্য তালিকা চূড়ান্ত হচ্ছে

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে পতিত সরকারের করা চুক্তি স্থগিত করুন

কমলো উড়োজাহাজের তেলের দাম

লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ

আমরা কি নতুন কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি? প্রশ্ন মেজর হাফিজের

মঙ্গলের মাটির তলায় তরল পানির সন্ধান

পুঁজিবাজারে আবারো বড় দরপতন

পুঁজিবাজারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান বিএমবিএ

ক্রিলিক একটি পরিপূর্ণ জ্ঞান ভান্ডারে পরিণত হবে -এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী

হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারে স্থগিত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ

পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না : আইজিপি

হাসিনার ভয়ে যারা গর্তে লুকিয়ে ছিল তারা এখন সংস্কারের তালিম দিচ্ছে : আমীর খসরু

সিএজি কার্যালয়ে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

পদ্মা সেতু দিয়ে কি নদীর ক্ষতি করছেন না, প্রশ্ন মৎস্য উপদেষ্টার

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের সাঁড়াশি অভিযান