ইহুদি জাতি ইসলাম ও মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু
২২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

ইহুদিবাদ হচ্ছে হিব্রুদের ধর্ম। হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধরদের পরবর্তীতে ‘বনি ইসরাইল’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। ইসরাইল হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর আরেক নাম। বনি ইসরাইল মানে হলো, ইয়াকুবের বংশধর। এ জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ হযরত মুসা (আ.)-কে তাওরাত দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। বনি ইসরাইল পরবর্তীতে ইহুদি জাতি নামে পরিচিত হয়। ‘ইয়াহুদা’ নামক রাষ্ট্রের নামানুসারে বনি ইসরাইল ‘ইহুদি’ নামে পরিচিত হয়। ‘ইয়াহুদ’ শব্দ বলে ইহুদি জাতিকে বোঝানো হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে তারা বনি ইসরাইলের বংশধর। পবিত্র কোরআনে ৯ বার এই ইহুদি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
ইহুদি নাম মুসা (আ.)-এর মৃত্যুর অনেক পরে হয়েছিল। সুতরাং এটি কোনোভাবেই বলা যাবে না যে, ইহুদি ধর্ম হযরত ইবরাহীম বা মুসা (আ.) প্রবর্তিত। কারণ তারা দু’জনসহ সকল নবীই ইসলামের অনুসারী ছিলেন। ইবরাহীম (আ.) সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ইবরাহীম ইহুদিও ছিলেন না, নাসারাও ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। আর তিনি মুশরিকদেরও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। (সূরা আল ইমরান : ৬৭)। তেমনিভাবে হযরত মুসা (আ.) সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, মুসা বলল, হে আমার কওম, তোমরা যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে থাক তাহলে তারই ওপর তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুসলিম হয়ে থাকে। (সূরা ইউনুস : ৮৪)।
ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এ ধর্মের অনুসারী ছাড়া অন্য ধর্মের কেউ এ ধর্ম গ্রহণ করতে পারবে না। আবার এ ধর্ম ত্যাগ করাও সম্ভব নয়। তাই এ ধর্ম চরমপন্থী। ইহুদি ধর্ম অত্যন্ত গোঁড়া। এ ধর্ম থেকে কেউ একবার ধর্মান্তরিত হলে পরবর্তীতে সে আর এ ধর্মে ফিরে আসতে পারে না। একজন ইহুদি সব সময়ই ইহুদি।
ইহুদিরা মূলত তাওহীদপন্থী ও এক আল্লাহতে বিশ্বাসী। কিন্তু তাওরাত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর উজাইর তা লোকদের কাছে শুনে শুনে পুনরায় লিপিবদ্ধ করায় তারা তাকে ‘আল্লাহর সন্তান’ বলে অভিহিত করে শিরকে লিপ্ত হয়। তাদের মতে, ইবরাহীম (আ.) ইসমাইল (আ.)-কে নয় ইসহাক (আ.)-কেই জবেহ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছিলেন। কারণ, যার নামে বনি ইসরাইল নামকরণ সেই ইয়াকুব (আ.)-এর পিতা হযরত ইসহাক (আ.)। আর ইহুদিদের সবচেয়ে বড় শত্রু আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হযরত ইসমাইল (আ.)-এর বংশে জন্মগ্রহণ করেছেন।
ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর আগমনের সুসংবাদ রয়েছে। অন্য সকল আসমানী কিতাবগুলোতেও সেই একই সুসংবাদ আছে। আগের সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম তাদের অনুসারীদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন, শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যখন নবুওয়াত লাভ করবেন তখন আগের সকল ধর্ম বাতিল হয়ে যাবে। তাই তাদেরকে শেষ নবীর আনীত কিতাব ও জীবনব্যবস্থার অনুসরণ করতে হবে।
তাদের নবী ও আসমানী কিতাবের নির্দেশ অনুযায়ী যুক্তির দাবি ছিল, হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর অনুসরণ করে মুসলিম হয়ে যাওয়া। কিন্তু তারা মুসলমান তো হয়ইনি, বরং ইসলাম ও শেষ নবীর বিরুদ্ধে হিংসা ও ক্রোধে জ্বলে-পুড়ে মরতে থাকে। কেননা, তাদের ধারণা ছিল, তাদের কাওম বনি ইসরাইলে শেষ নবীর আগমন ঘটবে। তাই তারা কিছুতেই মক্কার ইবরাহীম (আ.)-এর বংশের ইসমাইলি ধারার কোরাইশ বংশে আখেরি নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর অস্তিত্ব সহ্য করতে পারেনি। তারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে হাজারো ষড়যন্ত্র শুরু করে দেয়। নবী করিম (সা.)-এর জন্মের দিন থেকে শুরু করে তাদের ষড়যন্ত্র আজও চলমান।
তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, আর যখন একখানা কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের নিকট এলো, যে কিতাব পূর্ব থেকে তাদের নিকট যা আছে তারই সত্যতা সাক্ষ্য দেয় এবং এ কিতাবের আগমনের পূর্বে তারা কাফিরদের মোকাবেলায় যার দ্বারা বিজয় ও সাহায্য প্রার্থনা করত। এতদসত্ত্বেও সে জিনিস যখন তাদের সামনে এসে গেল এবং তাকে তারা চিনতেও পারল, তথাপি তাকে মেনে নিতে অস্বীকার করল। (সূরা বাকারা : ৮৯)।
মুসলমানদের সবচাইতে বড় দুশমন হচ্ছে ইহুদি সম্প্রদায়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, তুমি মুমিনদের বিরুদ্ধে ইহুদি ও মুশরিকদের কঠোরতম দুশমন হিসেবে দেখতে পাবে। (সূরা মায়েদা : ৬৪)। কোরআন মাজিদের বিভিন্ন সূরা ও আয়াতে বনি ইসরাইল তথা ইহুদিদের সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বহু আয়াত নাযিল হয়েছে। কোরআনের মোট ১১৪টি সূরার মধ্যে ৫০টিতেই ইহুদিদের সম্পর্কে সরাসরি এবং পরোক্ষ ইশারা-ইঙ্গিতে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে এত বেশি আলোচনার উদ্দেশ্য হলো, মুসলমানগণ তাদের ব্যাপারে যেন যথেষ্ট সতর্ক থাকে।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল

আমিরাতের উন্নয়নে বাংলাদেশিদের অবদানের প্রশংসা এবং সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ভাটা, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা

ব্রিফিংয়ে জয়সোয়াল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ!

আমদানি বৃদ্ধি ও শুল্ক কমানোর পণ্য তালিকা চূড়ান্ত হচ্ছে

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে পতিত সরকারের করা চুক্তি স্থগিত করুন

কমলো উড়োজাহাজের তেলের দাম

লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ

আমরা কি নতুন কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি? প্রশ্ন মেজর হাফিজের

মঙ্গলের মাটির তলায় তরল পানির সন্ধান

পুঁজিবাজারে আবারো বড় দরপতন

পুঁজিবাজারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান বিএমবিএ

ক্রিলিক একটি পরিপূর্ণ জ্ঞান ভান্ডারে পরিণত হবে -এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী

হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারে স্থগিত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ

পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না : আইজিপি

হাসিনার ভয়ে যারা গর্তে লুকিয়ে ছিল তারা এখন সংস্কারের তালিম দিচ্ছে : আমীর খসরু

সিএজি কার্যালয়ে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

পদ্মা সেতু দিয়ে কি নদীর ক্ষতি করছেন না, প্রশ্ন মৎস্য উপদেষ্টার