গোপনে বিয়ে করা স্ত্রীকে জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার পর তাকে আবার ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে।
২৪ মে ২০২৫, ১২:৩৩ এএম | আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ১২:৩৩ এএম

মাইনুদ্দীন ইসলাম
ইমেইল থেকে
প্রশ্ন : গোপনে আমরা ২ জন বিয়ে করেছিলাম। পরিবার জানতো না, কিন্তু সেখানে কাজীসহ ৩ জন স্বাক্ষী ছিলো। পরে জানাজানি হলে মেয়েকে তার পরিবার অন্যত্র পুনরায় বিবাহ দেয়, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোন প্রকার তালাক হয়নি। তো পুনরায় যে বিবাহ দিলো মেয়ের পরিবার, সে বিয়েটা কি ইসলাম মতে বৈধ হয়েছে? এখানে উল্লেখ্য যে মেয়ের পরিবার আমাকে মুত্যুর ভয় দেখিয়েছিলো বিধায় আমি বলেছিলাম যে, আমরা বিয়ে করিনি। ইসলাম এ ব্যাপারে কি বলে? এখন আমি আমার স্ত্রীকে কি ফিরিয়ে আনতে পারবো? আমি তাকে ফেরত আনতে চাই? কিভাবে আনতে পারি?
উত্তর : কেউ যদি কোনো রজপ্রাপ্ত বয়সে উপনীত সাবালিকাকে কমপক্ষে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতি দেন মোহর ধার্য করে বিয়ে করে তাহলে সে বিয়ে সংঘটিত হয়ে যায়।
যদি তাদের একান্ত সাক্ষাত বা মিলন না হয়ে থাকে, তাহলে তালাকের পরপরই অন্যত্র মেয়েটির বিয়ে হতে পারে। আর সাক্ষাৎ হয়ে থাকলে তালাকের পর কমবেশি তিনমাস সময় পার করে কিংবা বাচ্চা পেটে এসে গেলে প্রসব পর্যন্ত অপেক্ষা করে অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে। এই হলো মাসআলা।
যে কোনো উপায়ে বৈধ ও চলনসই শুদ্ধ একটি বিবাহ হয়ে গেলে তালাক ছাড়া আরেকটি বিয়ে হয়না। অভিভাবকরা না জেনে বা ছেলে মেয়ে তথ্য গোপন করায় কিংবা মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় যদি নতুন জায়গায় বিয়ে হয়, তবে এতে বড় একটি সমস্যা থেকে যায়। যা একটি সংবেদনশীল মাসআলা। অপরিবর্তনীয় লিখিত বিবৃতি দিয়ে ফতওয়া বিভাগ থেকে এর সমাধান নিতে হবে।
মনে রাখা কর্তব্য যে, পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে বিবাহ করা একটি অনৈতিক কাজ। পিতা চাচা বড়ভাই বা এ পর্যায়ের অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নাবালিকা মেয়েদের বিয়েই শুদ্ধ হয়না বলে হাদীস শরীফে এসেছে।
তাছাড়া নিজেদের বলয়ের জনসমাজে প্রচার বা ঘোষণা ছাড়া গোপনে বিয়ে করা শরীয়তে অপছন্দনীয় কাজ।
এক হাদীসে আছে, গোপন বিবাহ একধরনের অবৈধ কাজের মতো বিষয়।
তালাক সংক্রান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর মিডিয়ায় দেওয়া সমীচীন নয়। কেননা, এতে ব্যক্তি সমাজ ও পরিবারের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিবাদ বিসম্বাদ তৈরি হয়ে থাকে । এ ক্ষেত্রে সাধারণ মাসআলা আলোচনা করা যায়। নিজের জীবনের ঘটনা বা নির্দিষ্ট কেসস্টাডি কাগজে লিখিত জবানবন্দি বা বিবরণ আকারে লিখে কোনো ফতওয়া বিভাগের সহায়তা নিতে হবে। যেখানে যোগ্য মুফতিগণ শরীয়তের বিধান ও জীবনের বাস্তবতা বিবেচনায় সমস্যার সমাধান দিতে পারেন।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বাংলাদেশে দিনের ভোট আর রাতে হবেনা : সেনবাগে জয়নুল আবেদীন ফারুক

ইরানি মিসাইলের ভয়ে হার্ট অ্যাটাক ইহুদি নারীর

বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি: আবুল হোসেন আজাদ

একসঙ্গে ২৫টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ইরান, দাবি ইসরাইলের

মানিকগঞ্জে মানবপাচার মামলায় স্বামী স্ত্রী গ্ৰেফতার

জবিসাসের ১৯তম বর্ষপূর্তি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাহিদাকে সম্মান দিয়ে রাজনীতি করতে হবে : শহীদ উদ্দীন এ্যানি

রাজশাহীতে মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজ উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইসলামী নেতৃত্বই জাতিকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে পারে: অধ্যাপক আবদুল জব্বার

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

মির্জাপুর বসত বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

দোয়ারাবাজারে ছাত্রলীগ দুই কর্মী গ্রেফতার

জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধের রাজনীতি করে না: নূরুল ইসলাম বুলবুল

যাকাত অগ্রিম আদায় করা প্রসঙ্গে?

বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোকই নিরাপদ নয়-সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

তারেক রহমানের নেতৃত্বে নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী হবে আগামীর বাংলাদেশ - শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস

ছাগলনাইয়ায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

হজযাত্রীর কোটা এক হাজারই বহাল রাখতে অনুরোধ ধর্ম উপদেষ্টার

নরসিংদীর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে কচুরিপানা অপসারণ অভিযান

মুরাদনগরে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মী জুয়েলের মৃত্যু