ঢাকা   শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মুসলিম উম্মাহর বুদ্ধিভিত্তিক সঙ্কট ও মুক্তি

Daily Inqilab তাজুল ইসলাম তারেক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

বর্তমান সময়ে মুসলিম উম্মাহের সবচেয়ে বড় সঙ্কটকে যদি এক বাক্যে প্রকাশ করতে হয় তবে বলতে হবে বুদ্ধি ও মনস্তাত্ত্বিক সঙ্কট । আজকের বস্তুবাদী পাশ্চাত্য সভ্যতা শুধু রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, আদর্শিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও পুরো বিশ্বের উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছে, মুসলিম বিশ্বের উপর যার প্রভাব স্পষ্ট দৃশ্যমান। বিগত কয়েক শতকের চেষ্টায় মুসলিম উম্মাহকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দাসে পরিণত করা হয়েছে । তাই সাধারণ থেকে শুরু করে আধুনিক শিক্ষিত মুসলিমরা আজ পাশ্চাত্যের লেন্সে ইসলামকে দেখে, তাদের মনে ইসলামের বিধান নিয়ে নানা সংশয়-সন্দেহ। খোদ অনেক সচেতন আলেম-উলামা পর্যন্ত ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে পশ্চিমা স্ট্যান্ডার্ডকে ব্যবহার করে আতœরক্ষার চেষ্টা করছে। তাদের মুসলিম জাতিসত্তা ও দ্বীনি গাম্ভীর্য নষ্ট হয়ে গেছে পশ্চিমা ও অন্যান্য জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক আঘাতে । তাই আজ রাষ্ট্র সমাজ , পরিবার সর্বত্র ধর্মহীনতায় সয়লাব।ইসলামকে নিয়ে বর্তমান পৃথিবীর অভিযোগের যেন শেষই নেই। ইসলাম কেনো দাসপ্রথা সমর্থন করে,কেনো চার বিয়ের অনুমতি দেয়,পর্দার নামে মেয়েদেরকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হয়ে দেয় না, দাড়ি কেনো রাখতেই হবে,এমন অনেক প্রশ্ন যেনো লেগেই আছে ইসলামের পেছনে।

পাশ্চাত্য সভ্যতা বিশ্বনেতৃত্বের আসন গ্রহন করার পর থেকে তাদের নিজেদের জন্য সবচেয়ে হুমকিস্বরুপ মনে করছেন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহকে। এই সভ্যতা মানুষকে সর্বোচ্চ স্বেচ্ছাচারিতার অনুমোদন দেয়। তাই ইসলামের মূল বিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পাশ্চাত্য সভ্যতা একদমই সাংঘর্ষিক। তাই আমাদের উচিত ঈমানকে মজবুত করে সকল হীনমন্যতা দূরে সরিয়ে উল্টো পাশ্চাত্য সভ্যতাকেই চ্যালেঞ্জ করা। এজন্য আমাদের জানা দরকার মানবসত্ত্বাকেই সৃষ্টিকর্তার আসনে বসানো পাশ্চাত্য সভ্যতার মৌলিক ভিত্তি কি,কোথায় তার আদর্শিক অবস্থান,উৎপত্তিস্থল,তাদের মোকাবেলায় আমাদের করণীয়। নতুন পশ্চিমা সভ্যতা মৌলিকভাবে যে ৩ টি বিশ্বাস বা আকিদার উপর দাড়িয়ে, স্বাধীনতা, সমতা ও উন্নতির পশ্চিমা ও ইসলামিক ব্যাখা।

পশ্চিমারা তাদের মনস্তাত্বিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে মানুষকে লিবারেল, ডিসেন্ট আর আউট ল’ এই তিন ক্যাটাগরি ভাগ করেছে । আর এদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে এই নিয়ে একটু ধারনা আগে থেকে থাকলেও একটা শ্রেনী নিয়ে এদের উদ্দেশ্য নিয়ে ধারনা ছিলো না। আর তারা হলো পশ্চিমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন এনজিও । এনজিও গুলোর মাধ্যমে পশ্চিমারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এমনভাবে টাকা ঢালছে যাতে সুবিধা বঞ্ছিত মানুষদের এরা লিবারেল আর ডিসেন্ট শ্রেনীতে উন্নতি(!) করতে পারে। এর ফলাফল আমরা দেশের উত্তরাঞ্চল ও আফ্রিকার দরিদ্র দেশ গুলোর দিকে তাকালেই দেখতে পাব। স্বভাবতই পশ্চিমা পলিসি কখনোই প্রোফিট ছাড়া এমন ত্যাগ করার কথা মাথায় আনতে পারেনা।

পশ্চিমাদের মতে মানুষ নিজে স্বাধীন এবং এমন এক সত্ত্বা যে নিজেই নিজের ভালোমন্দ এবং যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করার মত ক্ষমতা রাখে। ইসলাম বলে মানুষ আল্লাহর ‘আবদ’ বা দাস কিন্তু পশ্চিমা দর্শন বলে মানুষ স্বাধীন। ইসলাম বলে বিধান দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর; কিন্তু পশ্চিমা দর্শন বলে মানুষ নিজের ভালো-মন্দের সিদ্ধান্ত নিজেই নিবে। পশ্চিমা সভ্যতা মানুষকে সংজ্ঞায়িত করেছে বিধিদানকারী হিসেবে, নিজেই নিজের নৈতিকতার স্রষ্টা হিসেবে। আর ইসলাম মানুষকে সংজ্ঞায়িত করেছে বিধি পালনকারী হিসেবে, আল্লাহ প্রদত্ত নৈতিকতার অনুগত হিসেবে। পাশ্চাত্য সভ্যতা একটি স্বতন্ত্র বিশ্বাস, স্বতন্ত্র ধর্ম। পশ্চিমা মতবাদের মৌলিকত্ব, ব্যাপকতা, সর্বজনীনতা, মানুষের হৃদয় ও মস্তিষ্ক বশীভূত করার ক্ষেত্রে ইসলামের পর জন্ম নেওয়া সবচেয়ে বড় এবং ভয়ংকর ধর্ম।

ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে প্রাচ্যের দিকে ইশারা করে বললেন : এই দিকেই ফিতনার স্থান, যে প্রান্ত হতে শয়তানের শিং উদিত হয়। (সহীহ, তাখরীজ ফাজা-ইলুশশাম হাদীস নং ৮, বুখারী, মুসলিম)। পশ্চিমারা তাদের বিভিন্ন এজেন্ডার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই করে চলছে পাশ্চাত্য দর্শন। বিশ্বয়ন ও আধুনিক প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানদের প্রতিটি ঘর, পরিবার, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, শিল্প -সাহিত্য, ব্যবসা, ধর্মীয় আসনসহ সবকিছুর উপর আগ্রাসী থাবা বিস্তার করেছে এই পাশ্চাত্য সভ্যতা। বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষমতা যাদের হাতে রয়েছে তাদের মগজেও চেপে বসেছে পাশ্চাত্য দর্শন ও সভ্যতা। পাশ্চাত্য সভ্যতা আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে – নাস্তিকতা, পর্নগ্রাফী, সুদি কারবার, সমকামিতার মতো ভয়াবহ কিছু মাধ্যম। বর্তমানে মুসলিম তরুনদের মাঝে মুভি, সিরিজ, ভিডিও গেইমিং, টিকটকসহ অন্যান্য মিডিয়া গুলো যে ভয়াবহ বিস্তার করেছে সেই পাশ্চাত্য সভ্যতারই তৈরী। প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার বর্তমান আধুনিক ভার্সন হলো পাশ্চাত্য সভ্যতা ও দর্শন। প্রাচীন গ্রিকরা যুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে ইসলাম,নবী-রাসূল এমনকি আল্লাহকে পর্যন্ত বিচার করতো । ইসলামকে জাস্টিফাই করার মাপকাঠি যেমন বাইবেল হতে পারে না, তেমনি পাশ্চাত্য দর্শন ও আদর্শের ভিত্তিতে ইসলামকে জাস্টিফাই করা যাবে না। । পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম নেই যেটা দিয়ে ইসলামকে বিচার করা যাবে।

মুসলিম তরুনরা বর্তমানে পশ্চিমা সভ্যতার সেই লোকদের হাজারো আপত্তিকর প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ায় যাতে সৃষ্টি হচ্ছে হাজারো আপত্তি ও সংশয়ের। তারা যেন পাশ্চাত্য মাপকাঠিকেই সঠিক মনে করছেন। যদি কুরআন-সুন্নাহকে ইসলামি শরীয়াহর একমাত্র মাপকাঠি ধরা হয় এবং অন্য সমস্ত সভ্যতা ও দর্শনকে মূলনীতি হিসেবে প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে ইসলামের ব্যাপারে কোনো আপত্তিই থাকবে না। মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি নাস্তিকতা নয় বরং পাশ্চাত্য সভ্যতা। নাস্তিকতার চেয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতার বিস্তার বিশাল। আমাদের আলেমগণ নাস্তিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার কিন্তু পাশ্চাত্য সভ্যতার ব্যাপারে প্রায় উদাসীন। সভ্যতার কবলে পড়লে ধর্মকর্ম ত্যাগও করতে হয়না বরং ধর্মে থেকেই মানুষ ধর্মহীন হয়ে পড়ে। আমরা মুসলিমরা পাশ্চাত্য সভ্যতার সাথে ইসলামের সাম্যঞ্জস্য খোঁজার চেষ্টা করছি। কিন্তু ইতিহাস বলে, যে জাতি নিজেদের আকিদা ও দর্শন, ভিন্ন দর্শনের সাথে মেলানোর চেষ্টা করেছে, সেই জাতির মাঝে ঈমান ও আক্বিদা কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি।

খিলাফাহ, ইমারাহ, শরীয়াহ, দাওয়ার পরিবর্তে যেদিন থেকে আমরা সেক্যুলারিজম, গণতন্ত্র চাওয়া শুরু করেছি সেদিন থেকেই সমাজে খিলাফাহ, ইমারাহ শব্দগুলো জঙ্গিবাদের সমর্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মুসলিম সমাজে যেভাবে পাশ্চাত্য সভ্যতার চাষাবাদ চলছে, তাতে আমরা দিনকে দিনে ঈমানীশক্তি হারিয়ে ফেলছি। এর থেকে উত্তরন খুবই দরকার। তাই আমাদের উচিৎ ইসলামের সোনালী দিনের ইতিহাস তরুণদের সামনে তুলে ধরা ও তরুণদের মাঝে দাওয়াতি কাজ পরিচালনা করা এবং পরিশেষে আল্লাহ্র উপর নিজের ভালো মন্দের সিদ্ধান্ত ন্যাস্ত করে নিজের ঈমানকে শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরা।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন তো তারাই যাদের হৃদয় আল্লাহকে স্মরণ করা হলে কম্পিত হয় এবং তার আয়াতসমূহ তাদের কাছে পাঠ করা হলে তা তাদের ইমান বাড়ে। আর তারা তাদের রবের ওপরই নির্ভর করে।’ (সুরা আল আনফাল : ০২)। অন্তরসমূহের উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ বিশেষণ, যাকে কোরআন মাজিদ ‘কম্পিত অন্তর’ নামে আখ্যায়িত ও চিহ্নিত করেছে। ইমান যার গভীর পর্যন্ত পূর্ণ করে দিয়েছে এবং তার অঙ্গগুলো রবের কাছে বিনয়াবনত হয়েছে। ফলে তার মর্যাদা সুউচ্চ হয়েছে ও তার সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মহান রবের প্রশংসাপ্রাপ্ত হয়েছে। হৃদয়ের মধ্যে আল্লাহর ভীতির অন্যতম ফলাফল হলো এটি ব্যক্তিকে সৎকাজে প্রতিযোগিতা করতে অনুপ্রাণিত করে এবং তার দোয়া কবুল হয়। আল্লাহর ব্যাপারে কোনো ব্যক্তির হৃদয়ে ভয়ভীতি এবং শঙ্কার পরিমাণ অনুপাতে সে ফেতনা ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিরাপদে থাকবে এবং আল্লাহ তার কাছে ইমানকে প্রিয় করে দেবেন ও সেটাকে তার হৃদয়গ্রাহী করবেন।


বিভাগ : ইসলামী জীবন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
আরও

আরও পড়ুন

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলে ঝাড়খণ্ডে জিততে পারে নি বিজেপি, তবে মহারাষ্ট্রে বড় জয়

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলে ঝাড়খণ্ডে জিততে পারে নি বিজেপি, তবে মহারাষ্ট্রে বড় জয়

আবু সাঈদকে নিয়ে হাসিনার দাবি কতটুকু সত্য

আবু সাঈদকে নিয়ে হাসিনার দাবি কতটুকু সত্য

বগুড়ায় কনসার্টের ভীড়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

বগুড়ায় কনসার্টের ভীড়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

অনলাইন জুয়ার প্রচারণায় বুবলী

অনলাইন জুয়ার প্রচারণায় বুবলী

রিংয়ে আমিনুল-সানজিদাদের উৎসব

রিংয়ে আমিনুল-সানজিদাদের উৎসব

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত

আওয়ামী লীগকে কবর দিয়েছেন শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগকে কবর দিয়েছেন শেখ হাসিনা

রোচ-গ্রেভস জুটি ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ

রোচ-গ্রেভস জুটি ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ

মোমবাতি প্রজ্বলনে তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ

মোমবাতি প্রজ্বলনে তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ

সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ১৩ মামলার আসামী আ‘লীগ নেতা লায়েক গ্রেফতার

সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ১৩ মামলার আসামী আ‘লীগ নেতা লায়েক গ্রেফতার

যার হাত ধরে পরীমনি এসেছিলেন চলচ্চিত্রে,তার মরণ দিনে করলেন খাসি জবাই

যার হাত ধরে পরীমনি এসেছিলেন চলচ্চিত্রে,তার মরণ দিনে করলেন খাসি জবাই

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন হচ্ছে লেকের নাম, নতুন নাম ‘মুগ্ধ সরোবর’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন হচ্ছে লেকের নাম, নতুন নাম ‘মুগ্ধ সরোবর’

সোনারগাঁয়ে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন

সেনবাগে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবী

সেনবাগে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবী

পঞ্চগড়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে তেঁতুলিয়ায় ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি

পঞ্চগড়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে তেঁতুলিয়ায় ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি