ঢাকা   শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রশ্ন : ঢাকা থেকে বরিশাল গমনকারী যাত্রী সদরঘাট লঞ্চে (লঞ্চ ছাড়ার আগে, ঘাটে থাকা অবস্থায়, লঞ্চে ওঠে) কসর পড়বে না পূর্ণ নামাজ পড়বে?

Daily Inqilab ইনকিলাব

৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

উত্তর : নিজ অবস্থানের এরিয়া থেকে বের হওয়া মাত্রই দূর যাত্রার যাত্রী মুসাফির হয়ে যায়। এরিয়া নিয়ে ভিন্নমত আছে। কেউ মনে করেন, মহল্লা ছাড়লেই এরিয়া ছাড়া হয়। আবার কেউ মনে করেন, নগরী বা মহানগরী ছাড়তে হয়। যেমন উত্তরা থেকে বরিশাল রওনা হওয়া যাত্রী বনানী কাকলীতেও মুসাফির। সদরঘাটে তো তিনি কসরই পড়বেন। দ্বিতীয় মতে ঢাকা ত্যাগ মানে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়া। কমলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়া কিংবা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান ছেড়ে যাওয়া। গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, বসবাসের মহল্লা ত্যাগের পরই তিনি মুসাফির হিসাবে গণ্য হবেন। অতএব, সদরঘাটে সর্বাবস্থায়ই তিনি মুসাফির। যেমন, লালবাগের মানুষ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রার পর শহরের অন্য এরিয়ায় এবং কমলাপুর স্টেশনেও কসর পড়বে। বিদেশ যাত্রী মতিঝিলের লোক শহরের অন্য এরিয়া এবং এয়ারপোর্টেও কসর পড়বে।
প্রশ্ন : টয়লেটে আল্লাহর নাম বা জিকির করা যাবে কি ? সুন্নত তরিকার দাড়ি কিভাবে রাখতে হয়, আমি শুনেছি গোফ ছোট করে রাখতে হয়, কিন্তু দাড়িতে কি খুর লাগানো যাবে? অনেকে দাড়িকে খুর দিয়ে সাইজ করে রাখে? সুন্নত তরিকার দাড়ি কিভাবে রাখতে হয় জানালে খুব উপকার হবে?
উত্তর : পেশাব পায়খানার সময় জিকির করা নিষেধ। বিশেষভাবে লেট্রিনে জিকির করা নিষেধ। বড় বাথরুমে, যেখানে অজুর জায়গা লেট্রিন থেকে দূরে সেখানে জিকির দোয়া করা যায়। সুন্নত তরীকার দাড়ি কাটা বা ছাটা যায় না। দাড়ি সম্পূর্ণ মুক্তভাবে ছেড়ে রাখতে হবে। এক মুষ্টির পরের অংশ কাটতে হয়। মোচ কামানো নিষেধ। ছোট করে ছেটে রাখা সুন্নত। বিশেষ করে ঠোঁটের ওপর নেমে আসা অংশ ছাটা জরুরী। হযরত ওমর রা. মেসওয়াক ধরে এর ওপরের অংশ ছেটে দিতেন। মোচের পরবর্তী লম্বা যেই অংশ দাড়িতে এসে মিশে যেত, তা কাটতেন না। গলার নিচে কিংবা গালের অংশে থাকা দাড়ি কাটা নিয়ে ভিন্ন মত আছে। অনেকে এসব কাটেন, অনেকে দাড়িতে ক্ষুর বা কাঁচি কিছুই লাগান না। এসব সুন্নতের আওতায়ই বিভিন্ন রূপ। যে যেভাবে পালন করুন সমস্যা নেই, তবে দাড়ি রাখা জরুরী। মোচ বড় করে রাখা নিষেধ।
প্রশ্ন : আমি সরকারি চাকুরিজীবী। আমার স্থাবর অস্থাবর যা আয় আছে তা থেকে যদি সম্পত্তির কোন অংশ সওয়াবের আশায় লিল্লাহে ওয়াকফ করে দেই তাতে আমার গুণাহ হবে কিনা? আমার স্ত্রী ও সন্তানেরা এটা চায় না। সংসারের ভরণ পোষণ ও তাদের ভবিষ্যৎ আংশ রেখেই আমি এটা করতে চাই।
উত্তর : এক তৃতীয়াংশ আপনি এভাবে ওয়াকফ করতে পারেন। তবে, লিল্লাহে ওয়াকফ যে সরকার বা লোকজনের তত্ত্ববধানে করবেন, এর ভবিষ্যত খুব ভালো হবে না। আমাদের দেশে কারও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। তাই, স্ত্রী সন্তানের তত্ত্বাবধানে ওয়াকফে আওলাদ করুন। এতে তারাই নিয়ন্ত্রক থাকবে। বৈধ সুবিধা নিতে পারবে। আপনার প্রস্তাবিত অংশ আল্লাহর রাস্তায়ও ব্যয়িত হবে। স্ত্রী সন্তানকে স্বচ্ছল রেখে যাওয়া তাদের অভাবী রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম। তাদের দান করতে শিখিয়ে যান। যদি ভালো মনে করেন, নিজ হাতে সদকায়ে জারিয়ায় টাকা পয়সা বিনিয়োগ করে যান। ওয়াকফ না করাই ভালো। কারণ, এসবের ভবিষ্যত আশানুরূপ হয় না। এরচেয়ে বরং নিজ উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে যাওয়া উত্তম।


বিভাগ : ইসলামী জীবন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
আরও

আরও পড়ুন

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলে ঝাড়খণ্ডে জিততে পারে নি বিজেপি, তবে মহারাষ্ট্রে বড় জয়

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলে ঝাড়খণ্ডে জিততে পারে নি বিজেপি, তবে মহারাষ্ট্রে বড় জয়

আবু সাঈদকে নিয়ে হাসিনার দাবি কতটুকু সত্য

আবু সাঈদকে নিয়ে হাসিনার দাবি কতটুকু সত্য

বগুড়ায় কনসার্টের ভীড়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

বগুড়ায় কনসার্টের ভীড়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

অনলাইন জুয়ার প্রচারণায় বুবলী

অনলাইন জুয়ার প্রচারণায় বুবলী

রিংয়ে আমিনুল-সানজিদাদের উৎসব

রিংয়ে আমিনুল-সানজিদাদের উৎসব

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত

আওয়ামী লীগকে কবর দিয়েছেন শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগকে কবর দিয়েছেন শেখ হাসিনা

রোচ-গ্রেভস জুটি ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ

রোচ-গ্রেভস জুটি ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ

মোমবাতি প্রজ্বলনে তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ

মোমবাতি প্রজ্বলনে তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ

সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ১৩ মামলার আসামী আ‘লীগ নেতা লায়েক গ্রেফতার

সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ১৩ মামলার আসামী আ‘লীগ নেতা লায়েক গ্রেফতার

যার হাত ধরে পরীমনি এসেছিলেন চলচ্চিত্রে,তার মরণ দিনে করলেন খাসি জবাই

যার হাত ধরে পরীমনি এসেছিলেন চলচ্চিত্রে,তার মরণ দিনে করলেন খাসি জবাই

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন হচ্ছে লেকের নাম, নতুন নাম ‘মুগ্ধ সরোবর’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন হচ্ছে লেকের নাম, নতুন নাম ‘মুগ্ধ সরোবর’

সোনারগাঁয়ে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন

সেনবাগে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবী

সেনবাগে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবী

পঞ্চগড়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে তেঁতুলিয়ায় ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি

পঞ্চগড়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে তেঁতুলিয়ায় ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি