প্রশ্ন : কোনো কাজে যাত্রা করার সময় বেপর্দা মহিলা নজরে পড়লে কি বুঝতে হবে যে, কাজটি অশুভ হবে? বহু দীনদার ও জ্ঞানী ব্যক্তির নিকট শোনা যায় যে, এভাবে কাজ অশুভ হয়, আপনার মতামত জানতে চাই।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
উত্তর : ইসলামে প্রচলিত অর্থের শুভ-অশুভ বলতে কিছু নেই। কোথাও বৈধ উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে বা কোনো বৈধ কাজে যাত্রা করলে আল্লাহর নামে, তার ওপর ভরসা করে শুরু করলে রাস্তায় বা নজরে যা কিছুই পড়–ক অশুভ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর অপকর্মে, অবৈধ উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে রাস্তায় যত ভালো কিছুই নজরে পড়–ক, এ যাত্রা বা উদ্দেশ্য শুভ হতে পারে না। সৎ-অসৎ, পাপ ও পূণ্য ইত্যাদি ধারণা ইসলামে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু প্রচলিত শুভ-অশুভ ইসলামে নেই। অতএব, আপনার জিজ্ঞাসার বেপর্দা নারী প্রসঙ্গটির সিদ্ধান্তও এই আলোচনার আলোকেই গ্রহণ করুন। আশাকরি দীনদার ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও এ বিষয়ে আমার সাথে একমত হবেন।
প্রশ্ন : উমরী কাযা কি? তা আদায় করার পদ্ধতি কি? অন্তত: বিশ বছরের নামাজ এখন আদায় করলে কীভাবে করতে হবে? এশার সুন্নত না পড়ে কাযা নামাজ পড়া উচিত হবে কি?
উত্তর : দীর্ঘ দিনের বা সারা জীবনের কাযা নামাজকে ‘উমরী কাযা’ বলা হয়। উমরী কাযা আদায়ের বিশেষ কোনো পদ্ধতি নেই। সাধারণ নামাজের মতোই তা পড়া যায়। অতীত বিশ বছরের নামাজ এখন আদায় করলে প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ ও বিতরসহ মোট ছয়টি নামাজ আদায় করতে হবে। সুন্নত ও নফল নামাজের কাযা করতে হয় না। প্রতি দিনের নির্দিষ্ট নামাজের সঙ্গে পূর্ববর্তী দু’টি নামাজ নিয়মিত আদায় করলে দশ বছরে উমরী কাযা শেষ হবে। আরও বেশি করে পড়লে আরও দ্রুত শেষ হবে। কাযা নামাজ অনেক বেশি থাকলে উপস্থিত সুন্নতের স্থলে কাযা আদায় করা যেতে পারে। তবে সুন্নতে মোয়াক্কাদা ছেড়ে দেয়া কিছুতেই উচিত হবে না।
প্রশ্ন : কালোবাজারী ও চোরাচালানের মাধ্যমে পয়সা কামাই করা শরীয়তে বৈধ কি না, এ সব পয়সা মসজিদ মাদ্রাসার জন্যে গ্রহণ করা জায়েজ হবে কি?
উত্তর : দেশ ও জাতির জন্যে ক্ষতিকর কোনো পন্থায় তথা সরকারী কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ ভেঙ্গে কালোবাজারী করা ইসলাম সম্মত নয়। এ ধরনের কোনো কাজ করা ক্ষেত্র বিশেষে, তাকওয়ার পরিপন্থি, কখনো মাকরুহ আর কখনো বা হারাম। সুতরাং সুনির্দিষ্টভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়ে শরীয়তের বিজ্ঞ ব্যাখ্যাদাতাগণ সঠিক রায় দিতে পারবেন। হামার উপায়ে অর্জিত টাকা পয়সা দান করে কোনো সওয়াব আশা করা যায় না। হারাম উপায়ে অর্জিত টাকা পয়সা কেউ মসজিদে বা মাদ্রাসায় দান করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্যে তা গ্রহণ করা অবৈধ হবে না। যে সচেতনভাবে এসব দান করলো, তার ওপরই এসবের সকল দায়-দায়িত্ব বর্তাবে। কারণ, কোনো ভিক্ষুক, শ্রমিক বা সমাজকর্মীর জন্যে যে পারিশ্রমিক বা দান লাভ করা বৈধ হয়, তার উৎস সন্ধান করা সংশ্লিষ্ট গ্রহীতার জন্যে অপরিহার্য নয়। এ ক্ষেত্রে পবিত্র ও হালাল অর্থ-সম্পদ প্রদান করা দাতারই কর্তব্য।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীর ঠাঁই হবে না: আমিনুল হক
আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির
৪ দিনে ভারত থেকে এলো ৭২৫ মেট্রিক টন চাল
পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিবিরের শোক
নিরীহ কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি
দেশকে এগিয়ে নিতে মেয়েদের সুশিক্ষা অর্জনের বিকল্প নেই - শেরপুরের পুলিশ সুপার
গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা: জোনায়েদ সাকি
নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার চায় - মাওলানা এবিএম জাকারিয়া
বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে ন্যাটো প্রধানের বৈঠক
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয় -প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না
অপরিকল্পিত বাধ-রাস্তা নির্মাণে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়েছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
সাটুরিয়ায় তেলের পাম্পে ভয়াবহ আগুন
নির্বাচনব্যবস্থা আমূল পুনর্গঠনের তাগিদ রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের
কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা
ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬
রাজশাহীর বাঘায় আম বাগানে যুবকের লাশ
মতামত গ্রহণে ওয়েবসাইট চালু করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন
ওরেশনিক সমগ্র ইউরোপে হামলা করতে পারে: রুশ কমান্ডার