দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী সিন্ডিকেট দায়ী: খন্দকার মোশাররফ
০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:১৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবদ্ধির জন্য ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দায়ী মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ লুটপাটকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য বেশি। কারণ তারা দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। ডলারের অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারে না।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘রমজানে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে অসহায় শিক্ষক পরিবার’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট। সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের টাঙ্গাইল থেকে আব্দুল আহাদ, ফরিদপুর বিভাগের অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, কুমিল্লার আব্দুর রহমান, দিনাজপুর জেলার মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুলসহ শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের নেতারা। শিক্ষক নেতারা অবিলম্বে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানান। সেইসঙ্গে শিক্ষকদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানান।
সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিদ্যুত খাতে লুটপাটের জন্য ইনডেমনিটি আইন করেছে। এই সরকারের আমলে গরিব আরও গরিব হয়েছে। ধনী আরও ধনী হয়েছে। বিশে^র একটি গবেষণা সংস্থা বলছে বাংলাদেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। অথচ সরকার কথায় কথায় বলে তারা উন্নয়ন করেছে। আসলে উন্নয়ন করেছে নিজেদের লোকদের। প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের কোনও উন্নতি হয়নি।
তিনি বলেন, আজকে দেশে কথা বলার ও লেখার স্বাধীনতা নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে তারা নির্যাতন করছে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই এই আইনে মামলা দিচ্ছে। দেশের মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। সুতরাং শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক সবাইকে যার যার জায়গা থেকে ঐক্যব্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট অগ্রণী ভুমিকা রাখবে। যাতে করে দেশের মানুষের মুক্তির জন টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। যেই আধুনিক ও গণতান্ত্রিক এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি রেমিটেন্স কিন্তু জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম
নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা