ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৭ নভেম্বরের পোস্টার ছিড়ে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন সমীচীন কাজ নয় : ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ নভেম্বরের পোস্টার ছিঁড়া নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার দিন৷ বাকশালি ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের দিন ৭ নভেম্বর৷ ৭ নভেম্বরের চেতনা শুধু বিএনপি বা ছাত্রদলের নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, আধিপত্যবাদবিরোধী প্রতিটি নাগরিকের জন্য ৭ নভেম্বর একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের মুহূর্ত৷

 

বিপ্লবী সিপাহী-জনতার দেশপ্রেমে সেদিন রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা৷ সিপাহী-জনতা সেদিন তাঁদের নেতা হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছিলেন তুমুল জনপ্রিয় সেনানায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমানকে৷ জিয়াউর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব সেদিন বাংলাদেশকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে রক্ষা করেছিল৷ জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্ব সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছিল৷ ৭ নভেম্বরের বিপ্লব না ঘটলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হতো৷ লুপ্ত হতে পারতো আমাদের স্বাধীনতা৷ ফলে ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন৷

 

 

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৭ নভেম্বর উপলক্ষে ক্যাম্পাসে পোস্টার লাগিয়েছে৷ পোস্টারে সংক্ষেপে ৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে৷ এটা কোনো ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণা বা দলীয় কর্মসূচির প্রচারণা ছিল না৷ জাতির একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের স্মরণে একটা ক্যাম্পেইন হয়েছে।

 

ছাত্রদলের সাথে আপনার মতবিরোধ থাকতে পারে, পোস্টারিংয়ের ধরন নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে৷ এটি একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ৷ কিন্তু বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের পোস্টার ছিড়ে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন সমীচীন কাজ নয়৷ পোস্টার ছেড়ার জন্য আপনি মব তৈরি করতে পারেন না৷ ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মব উসকে দিতে পারেন না৷ এভাবে পেশীশক্তি প্রদর্শন করে একটি পক্ষকে কোণঠাসা করা অগণতান্ত্রিক আচরণ, যা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের পরিপন্থী। এর ফলে জুলাই-আগস্টে গণতন্ত্রকামী সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে যে অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফাটল ধরবে৷ আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে পরাজিত অপশক্তি কোনো সুবিধা হাসিল করতে না পারে।

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার সকল ছাত্রসংগঠনকে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে৷ পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র চর্চার প্রাথমিক শর্ত৷ আমরা সবাইকে সহনশীলতা বজায় রাখার অনুরোধ করছি৷


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন
মোমবাতি প্রজ্বলনে তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ
ফ্যাসিবাদের দোসররাই সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করছে: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীর ঠাঁই হবে না: আমিনুল হক
পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিবিরের শোক
আরও

আরও পড়ুন

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ