উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনে এখনো ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছবি
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
উত্তরা দিয়াবাড়ী বটতলা মেট্রোরেল স্টেশন উত্তরা উত্তর এর সিঁড়ির পাশে ফুটপাতে এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ছবি।ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেড এর মালিকানাধীন মেট্রোরেল স্টেশনের মতো একটা জায়গায় ছাত্র-জনতার বুকের উপর গুলি চালিয়ে রক্ত চোষা খুনি হাসিনার ছবি দেখে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।
স্থানীয়রা বলেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ এ জায়গাতে খুনি হাসিনার ছবি দেখতে চায় না।
রাজধানী ঢাকার যানজট এড়াতে দিয়াবাড়ী বটতলা উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ মিরপুর, শাহবাগ,ঢাবি,সচিবালয় ও মতিঝিল যাতায়াত করেন। এদের বেশির ভাগই সরকারি ও বেসরকারি চাকুরীজীবি। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার মানুষ।
জানা যায়, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর এই প্রকল্পটি উত্তরার সার্বিক পরিবেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। যাতায়াত নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এখানকার ফ্লট মালিকেরা অনিশ্চিয়তার মধ্যে থাকলেও মেট্রোরেল স্টেশন চালু হওয়ায় এখানে মানুষ বসবাস করা শুরু করেছে। বর্তমানে এখানকার প্রতিটি সেক্টরে বড় বড় ভবন তৈরি হচ্ছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
দিয়াবাড়ি উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের আশপাশের সড়কে গড়ে উঠেছে নামি-দামি গাড়ির শোরুম ও বড় বড় গ্যারেজ।খালি ফ্লট গুলোতে হরেক রকম দোকানপাট বসিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য শুরু হয়েছে। এতে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রা সহজ ও উন্নতি হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মেট্রোরেল স্টেশনের কাজ শুরু হওয়ার পর পর এখানকার জায়গা জমির দাম কিছুটা বেড়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে এ স্টেশনটি চালু হওয়ার পর থেকে এখানকার জায়গা জমিনের দাম অনেক গুন বেড়েছে, কোথাও কোথাও প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশন ঢাকা মেট্রোরেলের একটি স্টেশন। এই স্টেশনটি ঢাকার উত্তরার ১৫ নং সেক্টরে অবস্থিত। স্টেশনটি এমআরটি লাইন ৬-এর অন্তর্গত।
এশিয়ার মধ্যে এটি ২২তম দেশ হিসেবে মেট্রোরেল সিস্টেম চালু হয়েছে বাংলাদেশে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরা ১৫নং সেক্টর উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের প্লাটফর্মে উঠার সিঁড়ি ব্যবহার করার আগেই ফুটপাতের পূর্ব পাশে রেলিং এ-র ভিতর দেশের গনতন্ত্র হত্যাকারী ও রাষ্ট্রিয় সম্পদ লুটপাটকারী খুনি হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি ওয়ালা বিলবোর্ড/ভাস্কর্য
এখনো রয়েছে। এতে স্থানীয় জনগণ , মেট্রোরেল যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় কয়েকজন পথচারীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন,শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। যে পালিয়ে গিয়েছে তার ছবি আমরা দেখতে চাই না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন পথচারী বলেন,শেখ হাসিনার নির্দেশেই বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের নামে চৌকস ও মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। সে নিজে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম,হত্যাসহ গণমানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে,তার ছবি আমরা দেখতে চাই না।
তারা আরো বলেন,খুনি শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছর যাবত পাতানো নির্বাচন দিয়ে অবৈধ সরকার গঠন করে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে রেখেছিলো।
প্রসঙ্গতঃ গত ৫ই আগষ্ট কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর তার পালিত ছাত্র লীগ ও গুন্ডা পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়।ঐ সময় ছাত্রদের রক্তে রাজপথ লাল হয়ে উঠে।
ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের মানুষ এক হয়ে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে উত্তরা দিয়াবাড়ী
মেট্রোরেল স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এমন একটা জায়গায় খুনি হাসিনার ছবি দেখে এলাকায় মানুষ হতবাক। স্থানীয়রা এটি অপসারণের জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মহাব্যবস্থাপক (পি-ওয়ে ও সিভিল) অতিরিক্ত দায়িত্ব মোহাম্মদ শাহজাহানকে মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করে ও পাওয়া যায় নি।
উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে থাকা খুনি হাসিনার ছবি সরানোর বিষয় জানতে চাইলে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মোঃ আব্দুল বাকী মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, এটি ডেমেজ অবস্থায় আছে। তিনি প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবে। কতোদিনের মধ্যে নিবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ন এমন জায়গায় শেখ হাসিনার স্পষ্ট ছবি সেখানে থাকা কথা নয়। তবে তিনি তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান এর সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ