পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টায় আ.লীগ দোসররা
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টায় রয়েছে আ.লীগ দোসররা। এখনো তারা হাসিনা সরকারের কতিপয় লোকের পরামর্শে এই সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার যড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছেন পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা। শনিবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টার এমন ঘটনা ঘটেছে। বিতর্কিত শ্রমিক ইউনিয়ন-২১৯৫ যা আওয়ামী লীগের সেলিম সারোয়ার ও মোহাম্মদ আলী শোভা নামে শ্রমিক নেতারা পরিচালনা করত। ৫ আগস্টের পর এই চাঁদাবাজ শ্রমিক নেতারা বিএনপিপন্থী নেতা আলমগীর ও মিজান ভান্ডারীর উপর ভর করে অবৈধ শ্রমিক ইউনিয়নকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই প্রেক্ষাপটে সকালে সায়েদাবাদ মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে সভা ডাকে যা তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পুলিশ তাদের সভাটি বন্ধ করে দেয়। এর সাথে জড়িত কয়েকজন আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী মালিক নেতাসহ অনেকেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এই শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কোন সম্পর্ক নাই বলে জানান তারা।
এর আগেও আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। গত ৩০ আগস্ট এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের শ্রমিক সংগঠনের দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের নামে লোকজন জড়ো হয়ে এ চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা ঘটায়। তবে আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে বিএনপি সমর্থিত লোকজনকেও এ ঘটনার সময় দেখা যায়।
সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আলমগীর ও মিজান ভান্ডারীর নাম উঠে আসে। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে ওইদিন সারাদিনই ছিল থমথমে পরিবেশ। শ্রমিকদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা গেছে। আতঙ্কগ্রস্ত শ্রমিকরা জানান, এই ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে কারণে বাস টার্মিনালের ভিতরে অনেক যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেক যাত্রী গন্তব্যে না গিয়েই টার্মিনাল ত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে বিএনপি সমর্থিত নেতারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে এ ঘটনা ঘটায়।
তবে পরিবহন নেতারা বলছেন, পরিবহন জগতে আরামদায়ক-আধুনিক বাস যোগ হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে। কিন্তু সরকার এই খাতে সঠিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়নি। একটি চক্র পরিবহন খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়। এরা সুযোগ সন্ধানী অপরাধীচক্র। এদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো বেশি তৎপর হতে হবে। এই খাতে স্বচ্ছতা আনতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা দরকার। গত ১৬-১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার পরিবহন খাতকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করেছে। ###
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ