ক্ষমতায় ফিরতে সেনাবাহিনীতে গোলযোগ-চোরাগুপ্তা হামলাসহ যেসব ষড়যন্ত্র করছে আ'লীগ, জানালেন জুলকারনাইন
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক সংঘাতের চেষ্টা, সেনাবাহিনীতে গোলযোগ, চোরাগুপ্তা হামলা, শিল্পকারখানায় অস্থিরতা সহ ক্ষমতা ফিরে পেতে সকল চেষ্টাই তারা করেছে। করে চলেছে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইতিহাসে ফ্যাসিজম মুক্ত হবার পর পোস্ট ফ্যাসিস্ট এরা — দেখার সুযোগ খুব বেশি হয়নি। এবং আধুনিক বিশ্বে নারী স্বৈরশাসক দেখার মতো দূর্ভাগ্যও কোন জাতির হয়নি, যা আমাদের বাংলাদেশীদের হয়েছে। অনেকে যুক্তি দেখাতে পারেন যে ইসাবেলা পেরন (আর্জেন্টিনা), ইমেলদা মার্কোস (ফিলিপিন), এলেনা চশেস্কু (রোমানিয়া) — এরাও তো কর্তৃত্ববাদী ছিলেন। তা ছিলেন তো বটেই, কিন্তু ফার্স্ট লেডি হিসেবে এবং পেরন স্বামীর মৃত্যুর পর। কিন্তু টানা ১৫ বছর একটা দেশের জনগণের জীবন-ভাগ্য নিয়ে ছডুকো খেলা, সেটা একবিংশ শতাব্দিতে খুঁজে পাওয়া বরং কষ্টকর হবে।
শাসক হিসেবে শেখ হাসিনার মধ্যে মুসোলিনি কিম্বা পল কাগামে'র প্রায় সব হলমার্কই বিদ্যমান। নিজ পিতা ও পরিবার'কে কেন্দ্র করে একটা কাল্ট পলিটিকস স্টাবলিশ করার যে প্রবণতা, সেটা বারবারই উত্তর কোরিয়া শাসকদের মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু হাসিনা রেজিমের পতন যে রক্ত বন্যার বিনিময়ে এসেছে এমন রক্তস্নাত বিপ্লব বিশ্ব সহসা দেখেনি। কোন ছাত্র আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ফ্যাসিস্ট দলের হাতে হাজারো ছাত্র হত্যা এবং পরবর্তীতে হাজারো সাধারণ জনগণ হত্যা — এ ছিলো এক বিভীষিকাময় ঘটনা।
তিনি আরও লিখেন, সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের পরো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে না থাকতে পারা এবং সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আত্মগোপন এটাই নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ নামের দলটির গ্রহণযোগ্যতা আসলে কোথায়। হতে পারে ঐতিহ্যবাহী দল কিন্তু এই রক্তস্নানের পর তারা পরিণত হয়েছে রক্তখেকো'তে। এবং এত বছরের যত্ন করে রাখা ক্ষমতা হারানোর পরে এহেন কোন চেষ্টা নাই যে তারা করছেনা, পুনরায় ক্ষমতা ফিরে পেতে — ভাবলেশহীন এবং অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে। সাম্প্রদায়িক সংঘাতের চেষ্টা, সেনাবাহিনীতে গোলযোগ, চোরাগুপ্তা হামলা, শিল্পকারখানায় অস্থিরতা সহ গত দেড় দশকের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের শিকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অচলতা — ক্ষমতা ফিরে পেতে এই সকল চেষ্টাই তারা করেছে। করে চলেছে।
পোস্টের শেষের দিকে সামি লিখেছেন, দিল্লীতে বসে ঢাকা জ্বালানোর পরামর্শ কেবল কোন সন্ত্রাসীর পক্ষেই দেয়া সম্ভব। হাজারো ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান তো নয়ই, বরং ঘৃণা প্রদর্শনকারী কোন নরকের কীটের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত জনগণ এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে। যারা স্বাধীনতা রক্ষায় বারবার বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে, তারা সেটা রক্ষায় শুধু দাঁড়াবেই না, বরং ঝাঁপিয়ে পড়বে। বন্দুকের গুলি হয়তো শেষ হয়ে যাবে কিন্তু তার নলের সামনে দাঁড়ানো থামবেনা।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ