কেরানীগঞ্জে হত্যা মামলার বাদী এখন স্বামী হত্যার প্রধান আসামি
১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে হত্যা মামলার বাদী এখন স্বামী হত্যার অন্যতম আসামী। এই ঘটনায় স্ত্রী সহ চারজনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। গ্রেফতারা হচ্ছে স্ত্রী আসমা বেগম (৩০), মোঃ রাকিবুল ইসলাম(২২), মোঃ জিহাদ (২০) ও মোঃ শামীম(২১)। আজ দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাজাহার সুমনের অফিস কক্ষে কেরানীগঞ্জ সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বগুড়া জেলার শেরপুর থানার রাকিবুলের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক টি আসমা বেগমের স্বামী আলী মোল্লা জানতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াঝাঁটি হয়। দীর্ঘ দেড় বছর যাবত আসমা ও রাকিবুলের পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল। এই পরকীয়া প্রেমের বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী আলী মোল্লা। অবশেষে আসমা ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাকিবুল পরিকল্পনা করে আলী মোল্লাকে হত্যা করার। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৬ নভেম্বর স্ত্রী আসমা তার পরকীয়া প্রেমিক রাকিবুল ও তার দুই সহযোগী মোঃ জিহাদ ও মোঃ শামীমকে ঢাকায় আসতে বলে। আসমার কথামতো রাকিবুল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে আসে। রাত ৯ টায় আসমার কথা অনুসারে রাকিবুল আসমার স্বামী অটো চালক আলি মোল্লাহকে হাসনাবাদ যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। রাকিবুলের ফোন পেয়ে আলী মোল্লা তার অটো নিয়ে রাজেন্দ্রপুর আসে। এ সময় রাকিবুল তার দুই সহযোগী নিয়ে ওই অটোতে উঠে নাজিরাবাগ চন্ডীতলায় যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাকিবুল ও তার দুই সহযোগীরা দাঁড়ালো চাকু দিয়ে আলী মোল্লাকে এলো পাতাড়ি আঘাত করে। এতে আলী মোল্লা রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। নাটক সাজিয়ে রাকিবুল আলী মোল্লার ফোনের মাধ্যমে আসমাকে ফোন দিয়ে বলে যে আপনার স্বামী নাজিরাবাগ চন্ডীতলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ খবর পেয়ে আসমা আলী মোল্লার ভাইয়ের ছেলেদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আলী মোল্লা কে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে সে মারা যায়। এই ঘটনায় আসমা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন মামলার বাদী আসমা বেগম নিজেই এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক গত ১০ নভেম্বর সকালে বগুড়া জেলার শেরপুর থানার খামারকান্দি এলাকা থেকে পরকীয়া প্রমিক রাকিবুল ও তার দুই সহযোগী জিহাদ ও শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কনসার্টের ভীড়ে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
অনলাইন জুয়ার প্রচারণায় বুবলী
রিংয়ে আমিনুল-সানজিদাদের উৎসব
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত
আওয়ামী লীগকে কবর দিয়েছেন শেখ হাসিনা
রোচ-গ্রেভস জুটি ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ
মোমবাতি প্রজ্বলনে তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ
সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ১৩ মামলার আসামী আ‘লীগ নেতা লায়েক গ্রেফতার
যার হাত ধরে পরীমনি এসেছিলেন চলচ্চিত্রে,তার মরণ দিনে করলেন খাসি জবাই
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন হচ্ছে লেকের নাম, নতুন নাম ‘মুগ্ধ সরোবর’
সোনারগাঁয়ে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন
সেনবাগে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবী
পঞ্চগড়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে তেঁতুলিয়ায় ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!