সার আমদানির ঋণপত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম
কৃষি উৎপাদনের অন্যতম উপকরণ সারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সার আমদানির ঋণপত্র খুলতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে সার আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে বলা হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এখন থেকে সার আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত এ সার্কুলার বলবৎ থাকবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন। চলতি অর্থবছরে এ চাহিদার পরিমাণ কিছুটা বেড়ে প্রায় ৬৯ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। যদিও এর বিপরীতে সরকারি গুদামগুলোয় সারের মজুদ আছে মাত্র ১৭ দশমিক ৭৪ লাখ টন। দেশে সারের মোট চাহিদার চার-পঞ্চমাংশ পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বোরো মৌসুমে সারসহ চাষাবাদের প্রয়োজনীয় উপকরণের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। দেশে মোট রাসায়নিক সারের ৭০ শতাংশেরও বেশি ব্যবহৃত হয় শুধু বোরো ও রবি মৌসুমে। ফলে আসন্ন বোরো মৌসুমে সারের প্রয়োজনীয় জোগান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সার না পাওয়ার কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত এবং এর ফলে দেশব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গ্যাস সঙ্কটে দেশে একের পর এক সারকারখানা বন্ধ, ডলার সঙ্কটে সার আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় সার সঙ্কটের আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে সারের যে মজুদ রয়েছে তা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সার দিয়ে চলমান আমন, আউশসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় রবি ও বোরো মৌসুমে সারের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সে সময় সারের চাহিদা থাকে বেশি। সেই চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সার আমদানি করতে হবে। এই বিবেচনা থেকে সরকার এই সার্কুলার জারি করেছে। এতে সার আমদানি দ্রুত হবে এবং আসছে বোরো মৌসুমে সারের কোন সঙ্কট হবে না কৃষি মন্ত্রণালয় এমনটাই প্রত্যাশা করছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ